
টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাটারা থানা ডি,এম,পি মামলা নং-২৬ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাঁদের ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। তার গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাতীয়

পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না: ডিসি সম্মেলনে ড. ইউনূস
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিধান তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার।
আজ (রোববার) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “পাসপোর্ট করতে হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার হয়। আমি জিজ্ঞেস করতে আরম্ভ করলাম, অনেকে হয়তো আগেও করেছে (যাচাইয়ের) কারণটা কী। পাসপোর্ট তো আমার নাগরিক অধিকারের একটা অধিকার। আমি চোর নাকি ডাকাত- সেটা ভিন্নভাবে পুলিশ আমাকে ভিন্নভাবে বিচার করবে। কিন্তু আমাকে যে জন্মসনদ দিয়েছেন, সেটা কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন দিয়ে করেননি। আমাকে এনআইডি দিয়েছেন- সেটাও কোনো পুলিশ ভেকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি; নাগরিক হিসাবে পেয়েছি, এই দেশের নাগরিক। পাসপোর্টও এই দেশের নাগরিকের একটা পরিচয়পত্র। এখানে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না; সে কথাটা গ্রামেগঞ্জে গিয়েছিল।”
এসময় জেলা প্রশাসকরা তালি দিলে সরকারপ্রধান বলেন, “তালি দেখে মনে হলো, এটা (বার্তা) পৌঁছে নাই। পৌঁছালে তো ‘এটা হ্যাঁ, আমরা জানি তো; এটা আবার বলার দরকার কী?’… আমার বলার কারণে তালি দেওয়ার অর্থ হলো যে সুন্দর কাজ হয়েছে তো; তার মানে এ কথা পৌঁছে নাই। অথচ আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছি বেশ কিছুদিন আগে। এই যে দূরত্ব- এটাও যেন না থাকে। এগুলোর কোনো কারণ নেই; বিনা কারণে মানুষ হয়রানি করা; হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি করা- এটার থেকে উল্টিয়ে দেওয়া। সরকার ভিন্ন জিনিস, অন্যের অধিকারগুলো দরজায় পৌঁছিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ, এটাই যেন আমরা স্মরণ করি।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। একই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।#
আজ (রোববার) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “পাসপোর্ট করতে হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার হয়। আমি জিজ্ঞেস করতে আরম্ভ করলাম, অনেকে হয়তো আগেও করেছে (যাচাইয়ের) কারণটা কী। পাসপোর্ট তো আমার নাগরিক অধিকারের একটা অধিকার। আমি চোর নাকি ডাকাত- সেটা ভিন্নভাবে পুলিশ আমাকে ভিন্নভাবে বিচার করবে। কিন্তু আমাকে যে জন্মসনদ দিয়েছেন, সেটা কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন দিয়ে করেননি। আমাকে এনআইডি দিয়েছেন- সেটাও কোনো পুলিশ ভেকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি; নাগরিক হিসাবে পেয়েছি, এই দেশের নাগরিক। পাসপোর্টও এই দেশের নাগরিকের একটা পরিচয়পত্র। এখানে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না।”
জাতীয়

আরো ১১৬ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল মার্কিন সরকার
আমেরিকা থেকে আরো ১১৬ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার রাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিমানটি ভারতের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস জি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এবার অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশের ৬৫ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর এটা দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগেও শতাধিক ভারতীয়কে অপরাধীদের মতো হাত কড়া পরিয়ে বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে মাত্র দুই দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এবারের ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটল। প্রশ্ন উঠেছে- তবে কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফর ব্যর্থ হলো?
আগে থেকেই খবর ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ মডেলের গ্লোবমাস্টার নামের বিমানে করে ১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু পরে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ১১৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এসব অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন করে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের। একজন করে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের।
ফেরত পাঠানো অবৈধ অভিবাসীদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর কোটায়। ভারতে ফেরত আসা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অনেকের পরিবারই বিমানবন্দরে ভিড় জমায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিবাসীদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠায়। সে সময় সবাইকে হাতকড়া পরিয়ে বিমানে তোলা হয়। একটি সি-১৭ মডেলের কার্গো বিমানে করেই ৪০ ঘণ্টার জার্নি শেষে তাদের অমৃতসরের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। বিষয়টিকে অমানবিক বলে শোরগোল তোলে ভারত।#
আন্তর্জাতিক

সাউথ আফ্রিকা বিএনপির নেতা আজম ও লিটন পেলেন সংবর্ধনা
মাছুদুর রহমান মিলন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান ও সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটনকে সংবর্ধনা দিল দেশবাসী। আজ সকাল নয়টার সময় সাউথ আফ্রিকা থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ।
এসময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার কর্মী-সমর্থকদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন দুই নেতা। পরে দোয়ার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান বলেন, বিএনপি সকল কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। নির্বাচনের পূর্বে কোন ধরনের চক্রান্ত যেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা আর না করতে পারে।
সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, পাঁচ আগষ্টের পর আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল ও কথা বলতে পারছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।ফ্যাসিস্ট হাসিনার সকল যড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
এ সময় প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান ও সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটনকে সংবর্ধনা দিল দেশবাসী। আজ সকাল নয়টার সময় সাউথ আফ্রিকা থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ।
রাজনীতি

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্বহালের দাবি
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ ফের মুদ্রিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাসের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে ইসরাইল থেকে অবৈধভাবে কেনা আড়িপাতা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ এর ব্যবহার বন্ধেও সরকারকে ঘোষণা দিতে বলা হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়েছে।
দলটির রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি গাজা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এখন গাজাকে দখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হবে। এর অংশ হিসেবে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'এক্সসেপ্ট ইসরাইল' পুনর্বহাল করে বার্তা দিতে হবে।
তিনি বলেন, গাজাকে দখল করতে সেখানকার ফিলিস্তিনি জনগণকে মিশর, জর্ডান ও সৌদি আরবে বিতাড়নের কথা বলা হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে গাজাবাসীকে জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ। সমগ্র বিশ্ববাসীকে আমেরিকা ও ইসরায়েলের এ জাতিগত নিধন পরিকল্পনা রুখে দিতে হবে।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, আমরা এক নিষ্ঠুর-নির্দয় ভারতীয় দালাল শেখ হাসিনার অধীনে ছিলাম, তার পতনের আগ পর্যন্ত এখানকার মুসলমানরা মুখ ফুটে কথা বলতে ভয় পেত। মানুষ দাড়ি টুপি নিয়ে বাইরে যেতে ভয় পেত, মসজিদে যেতে চিন্তা করত আমাকে জঙ্গি বলে কি না। সেই ভয় এখন কেটে গেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমাদের পাসপোর্টের `এক্সেপ্ট ইসরায়েল' লেখা এখনো পুনর্বহাল হয়নি। শেখ হাসিনা ভারত ও ইসরায়েলের দালাল ছিল বলে পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরায়েল অর্থাৎ ইসরায়েল ভ্রমণ নিষিদ্ধ কথাটা তুলে দিয়েছিল।
মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, পৃথিবীর মধ্যে শক্তিশালী একজন মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা আশায় বুক বেঁধেছি, আমরা শেখ হাসিনার সেই দুর্বৃত্ত, ভারতীয় আধিপত্যবাদের শাসন থেকে মুক্ত হব এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের হারানো গৌরব, হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। এখন পর্যন্ত আমরা পাসপোর্টে এক্সেপ্ট ইসরায়েল ফেরত পাইনি, আমার পাসপোর্ট সংশোধন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগাসাস কিনেছিল। এখনো পর্যন্ত এটি বন্ধ হওয়ার কোনো ঘোষণা আসেনি। আমরা জানি না এখনো আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ কি না কিংবা শেখ হাসিনার ছেলে জয় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে যে ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে তার কি হলো। জায়নবাদী ইহুদিরা যেকোনো সময় এসব তথ্য ব্যবহার করে আমাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানাতে হবে এসব তথ্যের ব্যাপারে তিনি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এসময় দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে আরব-আমেরিকান ভোটারদের বলেছিলেন তাকে নির্বাচিত করলে তিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর এখন ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দিয়ে গাজা দখল করার নীলনকশা করেছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানো যাবে না। তারা সেখানেই থাকবেন এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব আবদুস সালাম ও সৌরভ শাকিল, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌহিদ তপু, ওয়াসিম আহমেদ, রাজু আহমেদ ও নাহিদ রানা, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার ও নেছার আহমেদ তুহিন, সহকারী সদস্য সচিব এস এম রাফসানযানি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইসতিয়াক আহমেদ ইফাত ও সিহাব-উল হক প্রমুখ।#
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমাদের পাসপোর্টের `এক্সেপ্ট ইসরায়েল' লেখা এখনো পুনর্বহাল হয়নি। শেখ হাসিনা ভারত ও ইসরায়েলের দালাল ছিল বলে পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরায়েল অর্থাৎ ইসরায়েল ভ্রমণ নিষিদ্ধ কথাটা তুলে দিয়েছিল।
রাজনীতি

ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দুবাইয়ে দুদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতি বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, আমিরাতি কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে ড. ইউনূস আমিরাতি ব্যবসার জন্য একটি বিশেষ শিল্পপার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কম খরচে শ্রমসুবিধা পাওয়া যাবে।
এরপর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কম খরচে শ্রমসুবিধা পাওয়া যাবে।
জাতীয়

বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের (ছায়া রাষ্ট্র) কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভি-তে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতীয় এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করছেন। ওই সাংবাদিক বলেছেন, "আপনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশ ইস্যুতে কী বলবেন। আমরা দেখেছি এবং এটা স্পষ্ট যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসও (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) জুনিয়র সরোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?"
জবাবে ট্রাম্প বলেন, "সেখানে (বাংলাদেশে) আমাদের “ডিপ স্টেটের” কোনো ভূমিকা ছিল না...এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে (বলার ভার) আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব।"
ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন।
পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে—‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব’—ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব...দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।"
ডিপ স্টেট বা ছায়া রাষ্ট্র বলতে সাধারণত অনির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাইভেট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে, যারা বেআইনিভাবে সরকারি নীতিতে প্রভাব বিস্তার ও তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেছেন মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সীমান্তবেড়া নির্মাণ ইস্যুতে একাধিকবার কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে, যাতে ভারত এখনো সাড়া দেয়নি।#
আন্তর্জাতিক

ইসলামি আন্দোলন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
ফিরোজ ফরাজী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘ইসলামি আন্দোলনকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। ইসলামি আন্দোলনকে ছোট মনে করলে হবে না। যখন ইসলামের বিরুদ্ধে ও দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র তৈরি হয় তখন এর প্রতিবাদে ইসলামি আন্দোলন রাজপথে আওয়াজ তুললে অপরাধীদের কলিজা থরথর করে কেঁপে ওঠে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ইসলামি আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘৫৩ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তারা বারবার আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। আমাদেরকে সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়েছে। ওরা ক্ষমতার মসনদে বসে আর ইসলাম বা ইসলামি দলের কথা মনে রাখেনি। আমরা চাই আমাদেরকে আর কেউ ব্যবহার করে যাতে ইসলামকে ধ্বংস করতে করতে না পারে। ইসলামি আন্দোলনকে কখনোই তারা ব্যবহার করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও আমাদেরকে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামি আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোসাদ্দেক হোসেন বাচ্চু হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামি আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সাবেক উপজেলা সভাপতি আমির হোসেন মোল্লা, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল হান্নান, ইসলামি যুব আন্দোলনের সভাপতি এম এ ইউসুফ আলী, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ সালাউদ্দিন আরিয়ান প্রমুখ।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘ইসলামি আন্দোলনকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। ইসলামি আন্দোলনকে ছোট মনে করলে হবে না। যখন ইসলামের বিরুদ্ধে ও দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র তৈরি হয় তখন এর প্রতিবাদে ইসলামি আন্দোলন রাজপথে আওয়াজ তুললে অপরাধীদের কলিজা থরথর করে কেঁপে ওঠে।
ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়

ভারতে ২০২৪ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুবিদ্বেষী বক্তব্য ৭৫% বেড়েছে
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষকরে মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’-এর নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ১,১৬৫টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
এসব বিদ্বেষমূলক ঘটনার ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশই ঘটেছে দেশটির মুসলিমদের বিরুদ্ধে। হয় সরাসরি মুসলিমদের নিয়ে, নয়ত মুসলিম ও খ্রিস্টান মিলিয়েও বিদ্বেষমূলক কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে।
'ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’ ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর একটি প্রকল্প। তাদের প্রতিবেদনে ভারতে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর মিত্রদের শাসিত রাজ্যগুলোতে ঘৃণা বক্তব্য বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, যেকোনও ধরণের যোগাযোগ, বক্তৃতা, লেখা বা আচরণের মাধ্যমে যদি কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ধর্ম, জাতীয়তা, বর্ণ, বংশ, লিঙ্গ বা পরিচয়কে অবমাননা করা হয়, তবে তা ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে রেকর্ড করা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশই (৯৩১টি) বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ঘটেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
অন্যদিকে, ভারতে বিরোধীদল শাসিত রাজ্যগুলোতে ২০২৪ সালে ঘৃণামূলক বক্তব্যের মাত্র ২০ শতাংশ ঘটতে দেখা গেছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। মোট ঘটনার প্রায় অর্ধেকই বিজেপি-শাসিত এই তিন রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনাগুলোর ৩২ শতাংশই ঘটেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। এসব ঘটনার মধ্যে অন্তত ২৫৯টি ঘটনা সরাসরি সহিংসতা উস্কে দেওয়ার মতো ছিল বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বক্তব্যের প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রবণতা খুবই উদ্বেগজনক। এসব ঘৃণাত্মক বক্তব্য এখন আর শুধু সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের হাতিয়ার নেই, বরং ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্বাচনী প্রচারের অত্যাবশ্যক অংশ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে তাদেরও সমালোচনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্মগুলো ঘৃণা বক্তব্য বাড়াতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৯৫টি বিদ্বেষমূলক ভিডিও বক্তব্য প্রথমে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম বা এক্স-এ শেয়ার বা লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছে। অথচ এই ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীতিমালা লঙ্ঘন করার পরও এসব ভিডিও সরানো হয়নি।
'সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, মোদী সরকারের ধর্মীয় পরিচয়ের রাজনীতিকরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিরোধী দলগুলোর নেতারাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রকাশ্য নিন্দা করতে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যাপী ঘৃণ্য বক্তব্যের ঘটনা ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও কর্ণাটকে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, ২০২৪ সালে ৩২ টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছর ৪০ টি ছিল। এর মধ্যে ছয়টি ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়।
২০২৩ সালের মে মাসে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যটি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসন করত। নতুন প্রশাসন এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে, যা ঘৃণা বক্তব্যের ঘটনা হ্রাসে অবদান রেখেছে।#
আন্তর্জাতিক

'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দিল্লির বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত'
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।
বাঙালি পরিচয় ও গৌরবকে লালন করা স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত।
জয়সওয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ওই বিবৃতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই মন্তব্য অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশ একই প্রত্যাশা করে। #
রাজনীতি

পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে হবে: নিউ ইয়র্ক পোস্টকে ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুতিন এবং ট্রাম্পে মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি কথোপকথন।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প তাদেরকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ প্রশ্নের জবাব না দেওয়াই ভালো। তিনি (পুতিন) মানুষের মৃত্যু বন্ধ হওয়া দেখতে চান।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আশা করি এটা দ্রুত হবে। প্রতিদিনই লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। ইউক্রেনে এ যুদ্ধ খুবই বাজে প্রভাব ফেলেছে। আমি জঘন্য এই জিনিসটি শেষ করতে চাই।’
ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই ভালো এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য ট্রাম্প দেননি।
নিউইয়র্ক পোস্টে ট্রাম্পের ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর রাতে রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্রেমলিন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কাছ থেকেই সাড়া মেলেনি।
তবে রুশ বার্তা সংস্থা তাস-কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানি না, কিছু সম্পর্কে অজ্ঞও হতে পারি। অতএব, এক্ষেত্রে, আমি এটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করতে পারি না।"
গত মাসের শেষ দিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। ওয়াশিংটনও প্রস্তুত, এমন কথা শোনার অপেক্ষায় আছে মস্কো।
শুক্রবার ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।
আন্তর্জাতিক

গ্রেফতার আতঙ্কে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকা পুরুষশূন্য
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার পর গাজীপুর মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হওয়ার খবরে ওই এলাকায় বয়স্ক নারী ছাড়া অন্য নারীরাও বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
জাতীয়

গ্লোবাল র্যাংকিং এ সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?
বিশ্বের প্রতিটি দেশের পাসপোর্ট সক্ষমতা নিয়ে সম্প্রতি একটি সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। এই সূচকে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট এখন সিঙ্গাপুরের।
বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল পাসপোর্টের কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়।
গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।
সূচক অনুযায়ী, এ বছরের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
অপরদিকে সূচকের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৬টি দেশে।
সপ্তম স্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকের অষ্টম স্থানে আছে এস্তোনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৪টি দেশে।
সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮২টি দেশে।
এদিকে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। লিবিয়া এবং ফিলিস্তিন একই তালিকায় রয়েছে। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট সূচকে ভারতের অবস্থান ৮০তম, ভূটানের ৮৩তম, মিয়ানমার ৮৮ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৬তম।
সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক

পুলিশের ডিআইজিসহ ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।
একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।
বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।
জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।
একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।
বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।
জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জাতীয়

প্রথম ধাপের ৬ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
শনিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উল্লেখ্য, ছয় কমিশনের সর্বসম্মত যে সুপারিশমালা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখনো ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অক্টোবরে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করে।
এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
এখন বাকি রয়েছে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত আরও পাঁচ কমিশনের (গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন) প্রতিবেদন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা
ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ; যিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনেরও প্রধান।
বাকি পাঁচ সংস্কার কমিশন প্রধানরা হচ্ছেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
তারা হলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক -সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিব সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সম্প্রতি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। সেদিন থেকেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বসবে বলে আশা করছি। তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলমও বলেছেন, ছয় কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ প্রণয়ন করবে সরকার। পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে ‘জুলাই চার্টার’।
শনিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উল্লেখ্য, ছয় কমিশনের সর্বসম্মত যে সুপারিশমালা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখনো ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয়

চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে।
জাপান সরকারের এনএইচকে সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার তিনি ঢাকায় সাক্ষাৎকারটি দেন। তিনি কীভাবে দেশ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন, সে কথাও সাক্ষাৎকারে বলেন।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।
এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ যাতে স্বনির্ভর হয়, শক্তিশালী হয়, সেটি নিশ্চিত করতে চান শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটি ছিল পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা—সবকিছুই বিধ্বস্ত।’
গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় হতে পারে চলতি বছরের শেষ দিক।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন নির্বাচন হবে, যারা নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসবে, তারা কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ় ভিত্তি পাবে।
দেশের তরুণেরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণেরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তরুণেরা কী করতে চায়? তারা তাদের সৃজনশীল শক্তি দেখাতে চায়। এবং তা বাকি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায়। সুতরাং আমাদের মনে এই আকাঙ্ক্ষাটাই আছে। দেখা যাক, কীভাবে আমরা এগোতে পারি।’
বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।#
রাজনীতি

ইসরাইলই গাজা দখল করে আমেরিকার হাতে তুলে দেবে: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভ করে বলেছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চলে আসবে, তবে সে কাজ করার জন্য কোনো মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে না।
তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিজ সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি গাজাবাসীকে এই উপত্যকা থেকে বহিষ্কার করে সেটি দখল করার যে পরিকল্পনা আগে উত্থাপন করেছিলেন সে ব্যাপারে নতুন করে আরো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পোস্টে বলেন, “যুদ্ধ শেষে ইসরাইল গাজা উপত্যকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে।” ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দেয়া ওই পোস্টে ট্রাম্প আরো বলেন, “এ কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না! মধ্যপ্রচ্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রথম গাজাবাসীকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশেষ করে মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কায়রো ও আম্মানসহ প্রায় সব আরব দেশ এবং আরব লীগের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যাান করা হয়। এছাড়া, খোদ গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা মোকাবিলা করে এই উপত্যকায় টিকে রয়েছেন। তারাও ট্রাম্পের আহ্বানকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
কিন্তু তারপরও গোঁয়াড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৃশ্যত তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে নারাজ। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উয়িটকফ রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, গাজা দখলের কথিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্প সেখানে কোনো সেনা পাঠাবেন না এবং কোনো ডলারও খরচ হবে না। #
আন্তর্জাতিক

শেখ হাসিনাকে থামাতে ঢাকায় ভারতীয় দূতকে তলব
ভারতের দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার বিষয়ে ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি যে তিনি যাতে এ ধরনের বক্তব্য, বিবৃতি না দেন। এটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এখনো এটার কোনো জবাব পাইনি। গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহের কারণে আজ আমরা তাদের আবার প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে যাতে তাকে (শেখ হাসিনা) প্রতিহত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ এই ধরনের বক্তব্য (শেখ হাসিনার) বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে। পাশাপাশি তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয় বলেও প্রতিবাদলিপিতে জোর দেওয়া হয় ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে। ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে (শেখ হাসিনা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ৬ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাসহ নানা ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের অন্তত চারবার তলব করেছে।#
জাতীয়

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’: অন্তর্বর্তী সরকার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান ও অবমাননা করেছেন। শহীদদের মৃত্যু সম্পর্কে অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। তিনি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকিও দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সেই ক্ষতে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলেছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান ও অবমাননা করেছেন। শহীদদের মৃত্যু সম্পর্কে অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। তিনি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকিও দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সেই ক্ষতে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলেছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
জাতীয়

বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস'র সিইও সুজিত চক্রবর্তী কর্তৃক হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে 'মানববন্ধন'
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বেসরকারি টিভি চ্যানেল 'এস'র সিইও সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম ভাবে কুপিয়েছে হাফিজুর রহমান শফিকসহ পেশাদার ৬ জন সংবাদকর্মীদের। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক শফিক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা করার পরেও থানা পুলিশ আসামী ধরতে অনীহা প্রকাশ করায় বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার সোসাইটি আজ (বৃহস্পতিবার) যৌথ ভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ছাত্র জনতার গণহত্যায় সহায়তাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বক্তব্য জানতে চাইলে চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস'র অফিসে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক এইচ আর শফিক, ইমন, তারেক, কামাল, রাজা ও সবুজের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে।
উক্ত হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মানববন্ধন সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা পতিত আ.লীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত চ্যানেল এস'র চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তীসহ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে চ্যানেল এস' আ.লীগের পক্ষ নিয়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে ও গণহত্যার সহায়তা করেছে। আ.লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের অপকর্ম, লুটপাটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্যই ওই বেসরকারি চ্যানেল এস'টিকে উপহার হিসেবে ইসমত কাদের গামাকে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। চ্যানেল এস'র মালিক গামার ঘনিষ্ঠ সরকারি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে সুজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর চ্যানেল এস'র গণহত্যা সহায়তা, দেশবিরোধী গুপ্তচর ও দুর্বৃত্তপনার সংবাদের অনুসন্ধানে তথ্য বহুল ফলোআপ প্রতিবেদনের সরাসরি বক্তব্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিকসহ তার টীম নিয়ে ওই অফিসে গেলে তাদের ওপর সুজিত চক্রবর্তী ও তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও জামিন অযোগ্য পেলান কোড ১৮৬০ অপরাধের মামলায়ও খাস কামড়ায় বিচারক আসামিদের জামিন দিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার দোসরদের এই ঔদ্ধত্ত ভূমিকা হতাশার। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িত ভারতীয় র এর এজেন্ট সুজিত চক্রবর্তীসহ অবিলম্বে সকল সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।
রক্ত মানব কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এইচএম মোরশেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মহাসচিব মো. মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য' প্রতিষ্ঠাতা মুখপাত্র, ক্রাইমনিউজবিডি২৪ এর সম্পাদক মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ওয়াল্ড নিউজ এর সম্পাদক সাগর চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য- তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সহ আরও অনেক সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
