বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Logo
Add Image
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: দেশে ফের হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

 

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সোমবার (৯ জুন) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- 
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। 
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। 
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা। 
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

 

সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। 

 

একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। 

 

প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
 

Pic

বিশ্ব ফুটবলের এক পরিচিত মুখ ও ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার নিদারুণ পরিস্থিতি দেখে দেখে তিনি যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছেন, ভয়ও পাচ্ছেন।

 

৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ডিগ্রি নিতে গিয়েই গভীর কণ্ঠে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলেন। ফুটবল কৌশল নিয়ে আলোচিত এই কোচ ফিলিস্তিনি শিশুদের যন্ত্রণার কথা এবং বিশ্ববাসীকে এই অবিচারের বিরুদ্ধে চুপ না থাকার আহ্বান জানান।

 

গার্দিওলা বলেন, ‘গাজায় যা দেখছি, সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যন্ত্রণায় আমার শরীর কুঁকড়ে যায়। আমি স্পষ্ট করেই বলতে চাই, এটা আর রাজনীতি বা মতাদর্শের বিষয় নয়, এটা মানবতার প্রশ্ন। আমি ঠিক নাকি আপনি ঠিক, ব্যাপারটা তেমন কিছুও নয়। এটা পুরোপুরিই জীবনকে ভালোবাসার, প্রতিবেশীর ভালোমন্দ দেখার বিষয়।’

 

গার্দিওলা আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে যখন তিনি নিজের সন্তানদের দেখেন, তখন গাজার শিশুদের কথা মনে পড়ে যায়—যারা প্রতিদিনই জীবন হারাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি বিশ্ব চুপ করে থাকে, তাহলে আগামীকাল কার পালা?"

 

গার্দিওলার এই বক্তব্য শুধু কোনো নিন্দা ছিল না, বরং এটি ছিল নিস্তেজ বিবেককে জাগিয়ে তোলার এক আহ্বান।

 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "অবিচারের সামনে নীরবতা মানে হলো অত্যাচারীর পক্ষে থাকা। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ, যেখানে-ই থাকুক, তার দায়িত্ব রয়েছে—এই মানবিক বিপর্যয় থামাতে নিজের জায়গা থেকে কিছু না কিছু করা।"

 

ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল হামাসকে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করা। তবে তারা এই লক্ষ্যে ব্যর্থ হয় এবং হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

 

২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় এবং কিছু বন্দি বিনিময়ও হয়। কিন্তু এরপর ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ১৮ মার্চ ভোর থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় সামরিক আগ্রাসন আবার শুরু করে।

 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের থেকে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ৫৪,৯২৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং ১,২৬,৬১৫ জন আহত হয়েছেন।#

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: চারদিনের সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আগামী ১৩ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

 

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যে হোটেলে থাকবেন সেখানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’

 

লন্ডনে ১৩ জুনের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট এবং কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন পদত্যাগ করেছেন। 

 

মঙ্গলবার (২৭ মে), ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা গৃহীতও হয়। এখন পদত্যাগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পদত্যাগপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। 

 

সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “এখানে কোনো চাপ নেই বা অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা নেই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি।” উল্লেখযোগ্যভাবে, তার মেয়াদ আরও প্রায় ৯ মাস বাকি থাকলেও তিনি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন সেলিম আর. এফ. হোসেন। দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার নেতৃত্বে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যাংকিং খাতে এক শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি ২০২৪-২৫ মেয়াদে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন, যেখানে এখন নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

 

ব্যাংকটির কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক চিঠিতে সেলিম আর. এফ. হোসেন লেখেন,
“সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়েরও শেষ হতে চলেছে। গত প্রায় দশ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য একটি বড় সম্মানের বিষয় ছিল। আমরা একসঙ্গে একটি অসাধারণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

 

তিনি আরও লেখেন,
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ব্র্যাক ব্যাংক ভবিষ্যতেও উন্নতি অব্যাহত রাখবে এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। অনুগ্রহ করে আমাকে ও আমার পরিবারকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।”

 

পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞ এই কর্মকর্তার ওপরই আপাতত দায়িত্ব বর্তিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার।

 

সেলিম আর. এফ. হোসেন জানান, মঙ্গলবারই (২৭ মে) ছিল তাঁর শেষ কর্মদিবস। এই দিনটিতেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং ব্যাংকটির ইতিহাসে।
 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: দেশে ফের হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

 

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সোমবার (৯ জুন) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- 
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। 
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। 
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা। 
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

 

সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। 

 

একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। 

 

প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
 

Pic

বিশ্ব ফুটবলের এক পরিচিত মুখ ও ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার নিদারুণ পরিস্থিতি দেখে দেখে তিনি যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছেন, ভয়ও পাচ্ছেন।

 

৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ডিগ্রি নিতে গিয়েই গভীর কণ্ঠে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলেন। ফুটবল কৌশল নিয়ে আলোচিত এই কোচ ফিলিস্তিনি শিশুদের যন্ত্রণার কথা এবং বিশ্ববাসীকে এই অবিচারের বিরুদ্ধে চুপ না থাকার আহ্বান জানান।

 

গার্দিওলা বলেন, ‘গাজায় যা দেখছি, সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যন্ত্রণায় আমার শরীর কুঁকড়ে যায়। আমি স্পষ্ট করেই বলতে চাই, এটা আর রাজনীতি বা মতাদর্শের বিষয় নয়, এটা মানবতার প্রশ্ন। আমি ঠিক নাকি আপনি ঠিক, ব্যাপারটা তেমন কিছুও নয়। এটা পুরোপুরিই জীবনকে ভালোবাসার, প্রতিবেশীর ভালোমন্দ দেখার বিষয়।’

 

গার্দিওলা আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে যখন তিনি নিজের সন্তানদের দেখেন, তখন গাজার শিশুদের কথা মনে পড়ে যায়—যারা প্রতিদিনই জীবন হারাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি বিশ্ব চুপ করে থাকে, তাহলে আগামীকাল কার পালা?"

 

গার্দিওলার এই বক্তব্য শুধু কোনো নিন্দা ছিল না, বরং এটি ছিল নিস্তেজ বিবেককে জাগিয়ে তোলার এক আহ্বান।

 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "অবিচারের সামনে নীরবতা মানে হলো অত্যাচারীর পক্ষে থাকা। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ, যেখানে-ই থাকুক, তার দায়িত্ব রয়েছে—এই মানবিক বিপর্যয় থামাতে নিজের জায়গা থেকে কিছু না কিছু করা।"

 

ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল হামাসকে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করা। তবে তারা এই লক্ষ্যে ব্যর্থ হয় এবং হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

 

২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় এবং কিছু বন্দি বিনিময়ও হয়। কিন্তু এরপর ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ১৮ মার্চ ভোর থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় সামরিক আগ্রাসন আবার শুরু করে।

 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের থেকে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ৫৪,৯২৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং ১,২৬,৬১৫ জন আহত হয়েছেন।#

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেস অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল চতুর্থ দিন পার করেছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটিতে চলমান এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। 

 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর দমননীতি আগুনে আরও ঘি ঢালছে; বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতেও।

 

দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড দিয়েও পরিস্থিতি সামালাতে ব্যর্থ হয়ে এবার বিক্ষোভ দমনে লস অ্যাঞ্জেলসে আরও দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

 

৯ জুন, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তৃত এলাকায় ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে যেসব বাহিনী কাজ করছে মেরিন সেনারা তাদের সঙ্গে কাজ করবে। ওই এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী সরবরাহের জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। টাস্ক ফোর্স ৫১-এর মধ্যে ২ হাজার ১০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা রয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং বলপ্রয়োগের নিয়ম সম্পর্কে প্রশিকক্ষণপ্রাপ্ত।’

 

এদিকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বরাবরের মতোই নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

 

গ্যাভিন নিউসম আরও বলেন, ‘মেরিন সেনারা আমাদের বীর। একজন একনায়কোচিত প্রেসিডেন্টের উন্মাদ বাস্তবতা বর্জিত ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের দেশের মাটিতে তাদের দেশবাসীর মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত নয়। এটা আমেরিকান আদর্শের পরিপন্থী।

 

গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিই’র যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

 

এছাড়া নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি-এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার করা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

 

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বে ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য। কারণ অনেক দেশই এখন বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত।

 

তাছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। ওই তিন দেশের অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। যারা বেশ কয়েকবার ওসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভিসা আবেদনও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যুর জন্য নতুন অনেক শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে। অভিবাসন ও পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানা যায়। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত বছরের জুলাইয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দেশটি অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমিরাত সমপ্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। তাছাড়া ভারত ছিলো এ দেশের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ওই দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।


সূত্র জানায়, বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিবেশী ভারত ভিসা কড়াকড়ি করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে । ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সামপ্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের ওই আগ্রহেও ভাটা পড়ছে। বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। যে কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ওসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।


সূত্র আরো জানায়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রতি বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে।

 

তাছাড়া আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের বিশ্লেষণে বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ওই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে ওই দেশের নাগরিক বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেখানকার মানুষ তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।


এদিকে দেশের ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে যেতেন ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন ওই পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন।

 

আবেদনকারীদের চাপ বেশি হওয়ায় থাইল্যান্ড পর্যাপ্ত ভিসা দিতে পারছে না। বরং তারা যাচাই-বাছাই করে কিছু ভিসা ইস্যু করছে। আর নতুন পাসপোর্ট হলে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। আর গত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশীদের ৬০-৭০ শতাংশ দেশে না ফেরার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ ভিয়েতনাম থেকে অবৈধ পথে অন্য কোনো দেশে চলে গেছে। যে কারণে ভিয়েতনামের মতো দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশীদের জন্য চীনের ভিসা খুবই সহজ। আর অনঅ্যারাইভাল হওয়ার কারণে খুব সহজে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা যাওয়া যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।


অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির জানান, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না। দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন।

 

সেক্ষেত্রে সরকারের দেখা দরকার যে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শিক্ষিত ও দক্ষ হয়। আর ভুয়া ভিসা কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
 

Add

Site Counter

Online

32

Total

21k

Pic

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। 

 

বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলার লাউহাটী বাজারে কাতুলিসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোয় এ আওয়ামীলীগ নেতা দলিয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। ২০২৪ এর নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগের ডেমি প্রার্থী ছিলেন। এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি এক পক্ষের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে নিজে মামলা সাজিয়ে দেন এবং সে মামলাগুলো পরিচালনা করে লাভবান হন। নিজে আইনজীবী হওয়ার সুবাদে মামলা করিয়ে দিয়ে বাদী-বিবাদী উভয়কেই সর্বাসান্ত করেছেন এমন অনেক নজির রয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। 

 

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভূক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাতুলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফুল। যার ৬টিতে হাবিবুর রহমান ডিগ্রী পেয়েছেন। বাকি ৭টি এখনও চলমান রয়েছে। একই গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলের তাহের খানের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছেন ১৩ টি, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৩টি, আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১০টি, দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দিয়েছেন। 

 

আশরাফের বাহামভূক্ত সহযোগী সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সদস্য আরশাদুল ইসলাম, হাসান, কামাল, শিমুল, সাজ্জাদ, জুয়েল, জাকির, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী শাহিন মেম্বার, কৃষকলীগের ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। উল্লেখিত লোকজন ব্যরিস্টার আশরাফের বিভিন্ন অপকর্মের হাতিয়ার বলে দাবি দাবি করেছেন মানববন্ধনে অংশনেয়া অভিযোগকারীরা। 

 

উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামের মো. মজনু মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম লন্ডনে আইন বিষয়ে অধ্যয়নকাল থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। ওই সময়ে লন্ডনে সফরে যাওয়া জনৈক বিচারপতিকে হেনস্তা করেন আশরাফুল। ওই বিচারপতি দেশে এসে আশরাফুলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। পরে দেশে আসার সময় এয়ারপোর্টে গ্রেফতার হয়েছিলেন আশরাফুল ইসলাম। 

 

কাতুলী গ্রামে একই মাঠে গরু কুরবানী নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ গত কয়েক বছর যাবত। ৩ বছর যাবত প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওই গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও ৫ জুন উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহীনি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে সুষ্ঠু সমাধান দেন।  বিরোধপূর্ণ মাঠে গরু কোরবানী করবেন না মর্মে প্রতিস্রুতি দেন ব্যরিস্টার আশরাফুলের বাবা মজনু মিয়া। কিন্তু ঈদের আগের দিন ব্যরিস্টার আশরাফুল বাড়ী এসে ওই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিরোধপূর্ণ মাঠেই কোরবানী দেবেন এমন সিদ্ধান্ত নেন। প্রশাসনের নিকট এ খবর পৌছলে গরু কোরবানী দেওয়ার আগেই সেনাবাহীনি, থানা পুলিশ সহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই স্থানে হাজির হয়ে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে বিরোধপূর্ণ মাঠে কোরবানী না করার জন্য বলেন। কিন্তু ব্যরিস্টার আশরাফুল ইসলাম প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই স্থানেই কোরবানী করবেন এমন সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে ব্যরিস্টার আশরাফুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  লাইভে এসে প্রশাসন সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করেন।

 

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শে কাতুলী মসজিদ ও মাদরাসার সামনের খোলা জায়গার পরিবর্তে যার যার গ্রামে বাড়ীর সমনে পশু কোরবানী দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। এ বিষয়ে জনৈক ব্যক্তির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসন কার্যক্রম গ্রহণে সচেষ্ট থাকবে। কারও কল্পনা প্রসূত উস্কানীমূলক কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। 

 

অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আশরাফ বলেন, আমি বাদি হয়ে কারও বিরোদ্ধে মামলা করিনি।  জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী নারী। অভিযোগকারীরা ওই নারীর জমি বেদখল দিয়ে সেখানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন। এটাই আসল ঘটনা।
 


Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
“দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জেলা ক্রীড়া অফিসের কল্যাণে শুরু হলো ২১ দিনের সাঁতার প্রশিক্ষণ । অনেক আগেই সাঁতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিলো। আমার ছেলে সাঁতার পারেনা, যে কারণে আমার ছেলেকে গ্রামে নিতে ভয় পাই। যদি গ্রামের নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। যাহোক ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় ছেলে-মেয়েরা সাঁতার শিখবে, এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। এতে করে সাঁতারে টাঙ্গাইল এগিয়ে যাবে।” কথাগুলি আদালতপাড়া পুকুরপাড়ে বলেছিলেন সরকারী কুমুদিনী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী বসাক।  

 

তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সোমবার (২৬ মে) আদালতপাড়া পুকুর পাড়ে জেলার সাঁতার উন্নয়নে ২১ দিনের সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন নবনিযুক্ত জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। 

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদালত পাড়া নিবাসী জেলার সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় ও কোচ রিপন সরকার অনুর্ধ্ব-১৫ বয়সী ২০ জন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে নিয়ে ২১ দিনের সাঁতার প্রশিক্ষণের কোচ হিসেবে আছেন আনিসুর রহমান আলো ও বিপ্লব দাস। 

 

জানা গেছে, ২১ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে ৪০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হবে। দীর্ঘদিনের সাঁতার প্রশিক্ষণের চাহিদা পূরণে অত্যন্ত খুশি অংশগ্রহনকারী সাঁতারুরা।
 

Pic

লন্ডনে উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বসবেন তারেক রহমান

টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: চারদিনের সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আগামী ১৩ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

 

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যে হোটেলে থাকবেন সেখানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’

 

লন্ডনে ১৩ জুনের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট এবং কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

Pic

দৃশ্যমান সংস্কার হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে কোন দ্বিমত থাকবে না: সারজিস আলম

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সার্ভিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তবে তার আগে নির্বাচনকালীন সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। মৌলিক সংস্কারের দৃশ্যমান অবস্থা দেখতে চাই। 

 

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সংবাদকর্মীদের সামনে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।

 

তিনি বলেন, আমরা দেখে এসেছি যে, নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকা, পেশি শক্তির অপব্যবহার করা হয়। অদ্ভুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখতে চাই। কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়।

 

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির পঞ্চগড় সদর উপজেলার সমন্বয়ক তানভিরুল বারি নয়নসহ এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ফুটপাতের একটি দোকানে চা পানসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের দেশে ফেরা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, হাসিনা এবং তাদের যারা দোসর ছিলেন, যারা তাদের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠায় সহযোগিতা করেছেন, তাদের সামগ্রিক বিষয়ে আমরা কঠোর হস্তক্ষেপ চাই এবং এটা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেন হয়।
 

Pic

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা প্রচণ্ড বিএনপি বিদ্বেষী: রিজভী

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা আছেন যারা প্রচণ্ড বিএনপি বিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেনেএমন মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে কোনো ইস্যুতে ধর্ম ও শহীদদের টেনে এনে দু-একটি রাজনৈতিক দল সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। এক সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দু-একটি রাজনৈতিক দল শহীদদের রক্ত ও ধর্মকে টেনে নিয়ে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দু-একটি রাজনৈতিক দলের কথা শুনে পেন্ডুলামের মতো দুলছে। পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ এটি। 

 

সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ডিসেম্বর নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, কোনো এক রাজনৈতিক দলের নেতা বলছেন শহীদদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করা যাবে না। তারা একাত্তরের শহীদদের কথা কি ভুলে গেছেন? ৮৬ সালের নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন? আসলে তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চান। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে তো প্রচণ্ড খরতাপ থাকে, ঝড় বৃষ্টি হয়, এসএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা থাকে, মাদরাসার পরীক্ষা থাকে। সে সময় কেবল রোজার ঈদ শেষ হবে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে রমজানে প্রচারণা চালাতে হবে। রোজা রেখে প্রচারণা চালাবে কীভাবে! মানুষ রোজা রাখবে না নির্বাচনের প্রচারণা করবে। 

 

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জনগণের আবেগকে ধারণ করলে সরকার বিতর্কিত হবে না। তবে, বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দিতে গেলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে থেকে চামড়া বিক্রেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পেরেছে কি না- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, চাঁদাবাজ-দখলদারদের কেন ধরা হচ্ছে না? সব অন্যায়ের বিপক্ষে বিএনপির অবস্থান।
 

 

Pic

নাকের সৌন্দর্য রাইনোপ্লাস্টি, কারা করাতে পারেন এই ট্রিটমেন্ট?

মুখের গঠন ঠিক করতে এবং আরও নিখুঁত করে তুলতে আজকাল অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছে। আর এসব সার্জারির মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় রাইনোপ্লাস্টি।

এই সার্জারির মাধ্যমে চ্যাপ্টা, বোঁচা, বাঁকা, ছোট বা বড় নাককে পেতে পারেন আপনার মনের মতো করে। শুধু তা-ই নয়, মোটা নাক সরু করতে কিংবা সরু নাক বড় করতেও রাইনোপ্লাস্টি উপযোগী।

নাকে আঘাত পেলে কিংবা কোনো জন্মগত ত্রুটি থাকলে সেটাও সারিয়ে তোলা যায় এই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায়, নাকের গঠনের জন্য শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, তখনো রাইনোপ্লাস্টির সাহায্যে এটি ঠিক করা সম্ভব।

রাইনোপ্লাস্টি খুব ছোট অস্ত্রপচার। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সাধারণ কিছু পরীক্ষার পরই এই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে, যে কেউ এই সার্জারি করাতে পারবেন।

৫০-এর কোঠায় পৌঁছে অনেকেই শ্বাসকষ্টে সমস্যায় ভোগেন। নেপথ্যে যদি নাকের গঠন থাকে, তখন রাইনোপ্লাস্টি করা পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রাইনোপ্লাস্টি করার পর ৭ দিনের মধ্যে আপনি সুন্দর নাক পেতে পারেন। তবে অস্ত্রপচারের পর নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে নাকের ওপর চাপ না পড়ে।

এই কসমেটিক সার্জারি আজকাল যে কেউ করাচ্ছেন। মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার, অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই সাহায্য নেন রাইনোপ্লাস্টির। এই কসমেটিক সার্জারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এবং ভালো কসমেটিক সার্জেনের তত্ত্বাবধানে রাইনোপ্লাস্টি করা উচিত।

Pic

গরমে ক্লান্তি দূর করবে যেসব খাবার

তীব্র গরমে অতিষ্ট মানুষ। গরমের পাশাপাশি রয়েছে ব্যস্ততা। যতই দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। সারাদিনের কাজের চাপ, ব্যস্ততার কারণে শরীরে ক্লান্ত লাগাটাই স্বাভাবিক। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কিছু খাবার। এসব খাবার যেমন শরীরের ক্লান্তি দূর করে তেমনি শক্তিও জোগায়। তাই আসুন জেনে নিই গরমে ক্লান্তি দূর করতে যেসব খাবার খাবেন-

১. লেবু পানি
গরমের সময় লেবুর শরবত পান করলে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা স্বাদের জন্য সামান্য লবণও ব্যবহার করতে পারেন।

২. ওটস
কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন বি-এর পরিমাণ ওটসের মধ্যে প্রচুর। এই দুই উপকরণ শরীরে ভরপুর এনার্জির জোগান দেয়। সকালের নাশতায় তাই ওটস রাখা জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস অনেকক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। এতে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

৩. দই

দই এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার সবচেয়ে জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিন ১ কাপ দই খান। ক্লান্তি আসবে না শরীরে।

৪. চর্বিহীন প্রোটিন
চর্বিহীন প্রোটিন সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন প্রাণিজ প্রোটিন; যেমন মুরগি, ডিম, টার্কি, চর্বিযুক্ত মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন; যেমন লেগুম, টফু, সয়া পণ্য, ডাল ইত্যাদি রাখতে হবে।

৫. বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেরা খাবার। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারে বাদাম ও বীজ রাখুন। এটি আপনার শরীরে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তিভাব দূর করবে।

৬. কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের মাঝে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সাথে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।

৭. কম মশলা জাতীয় খাবার
মশলা জাতীয় ভারি খাবার খেতে ভালো লাগলেও গরমের সময় কম মশলা জাতীয় খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। কারণ এগুলো সহজে হজমযোগ্য।

৮. পালংশাক
এই শাকে থাকা আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করবে সহজেই। তাই খাদ্যতাীরকায় মাঝে মাঝে পালংশাকের রেসিপি রাখুন।তবে প্রতিদিন খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। এজন্য মাঝেমধ্যে খান। তবে কাঁচা না খাওয়াই ভালো। 

৯. চা বা কফি

শরীরকে চাঙা করতে চা বা কফি বিশেষ সহায়ক। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে চা বা কফি বেশি পান করলে রাত্রে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।

১০. কলা
কলা আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করার জন্য অন্যতম একটি ভালো খাবার। এতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহের একটি বড় উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং আপনাকে ক্লান্তিভাব দূর করতেও সহায়তা করবে।

১১. পাতলা স্যুপ
স্যুপকে অনেকে মজা করে রোগীর খাবার বলে থাকেন। তবে গরমের সময় একদম ‘ক্লিয়ার ভেজিটেবল’ স্যুপ (পাতলা করে সবজি স্যুপ) খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।

Pic

শিশুদের কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা শেখাবেন যেভাবে

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফ স্টাইল: 
শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা। শিশুরা তাদের পরিবারের পাশাপাশি স্কুল, প্রতিবেশী ও বাইরের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস শেখে ও এভাবেই তৈরি হয় একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব। তবে সঠিক পদ্ধতিতে অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো শিশুদের মনে গেঁথে দিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এটি কঠিন মনে হলেও পরিকল্পনা ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই শিশুদের মধ্যে এই গুণগুলো তৈরি করা সম্ভব। জেনে নিন কীভাবে শিশুদের আরও দয়ালু ও কৃতজ্ঞতাবোধ সম্পন্ন করে তোলা যায়- 

 

১. তাদের জন্য রোল মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠুন
শিশুরা আপনার কাছ থেকে শেখে এবং আপনার আচরণ অনুকরণ করতে খুব পটু। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ রোল মডেল হোন এবং এমন উদাহরণ দিন যা তারা নিজের জীবনে যোগ করতে পারে। যেমন, কারো সাহায্য নিলে ‘ধন্যবাদ’ বলা, অন্যের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা ইত্যাদি। এভাবে তারা ভালো মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে।

 

২. সহানুভূতি শেখান
কোনো বিষয় বুঝিয়ে বলার সময় শিশুকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনা বলুন। যেমন, কেউ যদি আপনার শিশুর কথায় কষ্ট পায়, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন - ‘তারা কেন মন খারাপ করেছে বলে তুমি মনে করো?’ এভাবে চিন্তা করা শিখলে আপনার শিশুর মনে সহানুভূতি ও অন্যকে বোঝার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

 

৩. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস করান
পরিবারে সদস্যদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। কারো দ্বারা উপকৃত হলে তা স্বীকার করা ও ধন্যবাদ দেওয়ার অভ্যাস করুন।

 

৪. শিশুকে ঈশপের গল্পের মতো মূল্যবোধ সৃষ্টিকারী বই পড়তে দিন
শিশুদের জন্য গল্প বা বই পড়া একটি মজার ও কার্যকরী উপায়। তারা গল্পের চরিত্রগুলো অনুকরণ করতে চায় এবং নিজেদের কল্পনা করে। তাদের জন্য একটি শক্তিশালী রোল মডেল তৈরি করুন যিনি দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং সবার প্রিয়।

 

৫. শিশুর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান
যখনই দেখবেন আপনার শিশু দয়াশীল আচরণ করছে, তাকে প্রশংসা করুন। যদি সে তার খেলনা অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে তাকে জানান যে তার এই কাজটি আপনাকে গর্বিত করেছে। এই প্রশংসা তাকে আরও বেশি দয়াশীল হতে উৎসাহিত করবে।

 

শিশুদের কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতা শেখাতে অভিভাবকের ভূমিকা সবচেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। আপনার শিশুর সামনে অনুকরণীয় রোল মডেল হাজির করা তাই আপনারই দায়িত্ব।
 

Pic

গ্রীষ্মকালে ত্বক-চুলের যত্নে পাঁচটি ঘরোয়া টিপস

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফ স্টাইল:
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রার বাড়বাড়ন্ত শুধু শরীরকেই ক্লান্ত করে না, ত্বক ও চুলের ওপরও ফেলে মারাত্মক প্রভাব। অতিরিক্ত ঘাম, ধুলোবালি আর রোদে ত্বক ও চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ আর বিবর্ণ। বাজারের দামি প্রসাধনী না কিনেও কিছু ঘরোয়া উপাদানে গরমকালেও আপনি রাখতে পারেন নিজেকে সতেজ ও সজীব। চলুন জেনে নেই, গরমে ত্বক ও চুলের যত্নে ৫টি কার্যকরী ঘরোয়া টিপস- 

 

• শসা ও মধুর ফেসপ্যাক: শসা ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং রোদে পোড়া দাগ হালকা করে। মধু ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ১ টেবিল চামচ শসার রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।


• লেবু ও গোলাপজলের টোনার: লেবুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট ও ভিটামিন সি, যা ত্বক উজ্জ্বল করে। গোলাপজল ত্বক ঠান্ডা করে এবং রোমছিদ্র বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।


যেভাবে ব্যবহার করবেন: সমান পরিমাণ লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে তুলায় নিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সন্ধ্যায় ব্যবহার করতে পারেন।


• লিচু ও দইয়ের হেয়ারপ্যাক: গরমে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং স্ক্যাল্পে ঘাম জমে খুশকি বাড়ে। লিচুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ২-৩টি পাকা লিচু চটকে তার রস বের করুন। এতে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগান। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।


• অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন ত্বক ও চুলে: অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি চুলের গোঁড়া শক্ত করে এবং রোদে পোড়া ত্বক ঠান্ডা রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: চুলে শ্যাম্পুর আগে অ্যালোভেরা জেল স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ত্বকে ঘুমানোর আগে পাতলা করে লাগান। ফ্রেশ গাছের পাতাও ব্যবহার করতে পারেন।


• পাকা কলা ও নারকেল তেলের প্যাক চুলের জন্য: পাকা কলা চুলের রুক্ষতা কমায় আর নারকেল তেল চুলে পুষ্টি জোগায়।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ১টি পাকা কলা চটকে ১ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

 

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭