শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

Logo
Add Image
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন স্থাপনের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।  


১০ জুলাই, ২০২৫ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।


এর আগে ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ওএইচসিএইচআরের একটি মিশন শাখা বাংলাদেশে খোলার লক্ষ্যে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সমঝোতা স্মারক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা চূড়ান্ত করে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে দ্রুতই এই চুক্তি স্বাক্ষরের পথ সুগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।


আসিফ নজরুল আরও জানান, ওএইচসিএইচআর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের আলোচনা এবং সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় এই কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নতুন মাত্রা পেল।


এদিকে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (৯ জুলাই) সিলেটে হেফাজতের সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে এ কার্যালয় স্থাপন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও।”


উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন’-এ পক্ষভুক্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, এই কনভেনশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঐচ্ছিক প্রটোকলেও বাংলাদেশ সম্প্রতি যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা আরও জোরদার করা।


ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার বার্তা দিচ্ছে বলে অভিমত অনেকের। তবে অভ্যন্তরীণ মহলে এ নিয়ে বিরোধী মতও দেখা দিয়েছে, যা বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

 

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হবার প্রাক্কালে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন।

 

তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় রাখাইনে দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব। রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও ‘আরাকান আর্মি’র মধ্যে চলমান সংঘাত সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে।”

 

শুধুমাত্র ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে-উল্লেখ করেন তিনি।

 

বাংলাদেশ প্রতিনিধি আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলনে সময়বদ্ধ ও বাস্তবমুখী সমাধানের ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান।

 

এদিকে, ৫৯তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত রেজ্যুলুশনে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
 

Pic

মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
আগামী ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরা শ্রীপুরের সদরের শহর এলাকায় মাগুরা -১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

৯ জুলাই বুধবার শ্রীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর সমাবেশ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চল চল ঢাকা চল ও নারায়ে- তাকবীর আল্লাহু আকবর শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে বাস ষ্ট্যান্ডসহ বাজারের বিভিন্ন অলি-গলি ও দোকানপাটে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে।গণসংযোগে শ্রীপুর ও শ্রীকোল  ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা -কর্মী ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ শেষে বাদ মাগরিবে উক্ত জামে মসজিদে বিশেষ  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইনছান আলীর  সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল মতিন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী আব্দুল আউয়াল সবুর, সেক্রেটারী মোল্লা মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার,সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আমিরুল ইসলাম,গয়েশপুর  ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, শ্রীকোল ইউনিয়ন আমীর, এম হাসিবুর রহমান রিপন,দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন আমীর মোঃ রিয়াদ হাসান নাসিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মোঃ মুক্তার হুসাইন,সেক্রেটারী মোঃ মুজাফফর হোসেন মুন্না, উপজেলা রিকশা-ভ্যান ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী মোল্লা, জেলা আই বি  ডব্লিউ ফাউন্ডেশনের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রাশেদুজ্জামান, গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান, আমলসার ইউনিয়ন সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা ফোরকান আলী, শ্রীকোল ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোঃ কামরুল ইসলাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ বাবর আলী, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ, নকোল ইউনিয়ন শ্রমিক নেতাসহ অন্যরা।

 

সমাবেশ শেষে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাবেশে শ্রীপুর ও খামারপাড়া বাজারের কয়েকশত ব্যবসায়ীসহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অর্থনীতি ডেস্ক :

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১.৫১ কোটি টাকার রাজস্ব বেশী আদায় হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কিন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে । 
 
৭ হাজার ২১.৫১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতকরা ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। 

 

কাস্টমস সুত্র জানায়, পূর্ববর্তী গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা, কিন্ত আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৭.৩৮ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৯. ৩৮ কোটি টাকা বেশী আদায় হয়েছিল। 

 

কাস্টমস ও বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার ঐক্য পরিষদের কলম বিরতী ও কপ্লিট শাট ডাউনের অস্থিরতার মধ্যেও রাজস্ব আদায়ের যে ধারাবাহিকতা চলছে, তাতে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার ঐক্য পরিষদের কলম বিরতী ও কপ্লিট শাট ডাউনের মধ্যেও বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কমিশনার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দফতরে উপিস্থিত থেকে রাজস্ব আদায়ের তদারকি করায় চলতি অর্থ বছরে ল´্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান, ইন্ডিয়া ুবাংলাদেশ চেস্বার অব কমার্স এন্ড ইনডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান।  

 

দূরত্ব কম ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশি বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বছরে পণ্য আমদানির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা থেকে সরকার প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ্যভাবে। 

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন বি আর) থেকে অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী গত অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে  ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৫৪.২৪ মে: টন পন্য আমদানি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভারতে ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৪০.২১ মে: টন পন্য আমদানি হয়েছে। আমদানি কম হলেও লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় হয়েছে। কাক্টমস কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাকি রোধে কঠোর নজরদারি ও সঠিক শুল্কায়ন করায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরন করা সম্ভব হয়েছে।  

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি হচ্ছে এবং ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক রপ্তানি হচ্ছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাকি রোধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।

 

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৭৪.৮৫ মে: টন রফতানি হয়েছে।২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩,৮১,৪৪০.৭৭ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল বন্রদ দিয়ে। এটি পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৩০,৬৬৫.১৫ মেট্রিক টন কম। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান রয়েছে। 


বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। বেনাপোল কাষ্টম হাউসে সার্বিক আমদানির পরিমান ৮ শতাংশ কম হলেও রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ১৪ শতাংশ। এটি হাউজের উল্লেখযোগ্য অর্জন। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় শুল্ক ফাকির প্রবনতা কমে গেছে। কোন অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব আদায়সহ কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা থাকায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে হেলথ পলিসি ওয়াচ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র পরিচালক ডাক্তার টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস স্টাফদের একটি ছোট ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন, “সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে পাঠানো হবে। তার জায়গায় আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডাক্তার ক্যাথরিনা বোহমি। তিনি ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।”

 

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন পুতুল। তবে তার এ নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অভিযোগ আছে, তার মা শেখ হাসিনা তাকে এই পদে নির্বাচিত করতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন।

 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় হেলথ পলিসি ওয়াচ। 

 

এদিকে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সংস্থাটি অভিযোগ করে, আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার সময় পুতুল তার শিক্ষাগত রেকর্ড নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সম্মানসূচক পদ থাকার দাবি করেন।

 

এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেছে দুদক।

 

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

 

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হবার প্রাক্কালে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন।

 

তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় রাখাইনে দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব। রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও ‘আরাকান আর্মি’র মধ্যে চলমান সংঘাত সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে।”

 

শুধুমাত্র ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে-উল্লেখ করেন তিনি।

 

বাংলাদেশ প্রতিনিধি আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলনে সময়বদ্ধ ও বাস্তবমুখী সমাধানের ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান।

 

এদিকে, ৫৯তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত রেজ্যুলুশনে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
 

Pic

দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। টাঙ্গাইল

 

সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, “৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। কাতারি ও মিসরীয়রা শান্তি আনয়নে অনেক কষ্ট করেছে। তারা এটির চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে। আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য, হামাস এ চুক্তি গ্রহণ করবে। কারণ এটি ভালো নয়, আরও খারাপ হবে।”

 

গত কয়েক মাস ধরেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। যেটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। ট্রাম্প সম্ভবত ওই প্রস্তাবটিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

 

তবে এ প্রস্তাবের আলোচনা থমকে ছিল দীর্ঘদিন। কারণ দখলদার ইসরায়েল এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবারও হামলা চালানোর অধিকার রাখতে চায়। অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট এবং সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে।

 

বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ইউএসএইডের বাজেট কমিয়ে দিচ্ছে, যুক্তি হিসেবে দেখানো হচ্ছে “অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো”।

 

তবে মানবাধিকারকর্মী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, এই তহবিলই বহু দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশে - বিশেষ করে আফ্রিকান অঞ্চলে - স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য অবিচ্ছেদ্য বিষয় ছিল।

 

গত দুই দশকে ইউএসএইড-সাপোর্টেড প্রোগ্রামগুলো বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯ কোটি ১০ লাখ প্রাণ বাঁচিয়েছে, যার মধ্যে ৩০ মিলিয়ন শিশুও ছিল। গবেষকরা বলছেন, বর্তমান বাজেট কমানো ও সংস্থাটি বিলুপ্তির পথে এগোলে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি নতুন মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু (৫ বছরের নিচে) থাকবে।

 

মূলত যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা দানকারী দেশ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মানবিক তহবিলের ৩৮ শতাংশই দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুধু গত বছরই তারা ৬১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সাহায্য দিয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি গেছে ইউএসএইডের মাধ্যমে।

দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত ওই গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, “যদি ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ঘোষিত তহবিল কাটছাঁট স্থায়ী হয় এবং পূর্বের সহায়তা ফিরে না আসে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিস্ময়কর মাত্রার অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু ঘটবে।”
 

Add

Site Counter

Online

41

Total

23k

Pic

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দিলরুবা আক্তার জুই (৩২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

 

১১ জুলাই, শুক্রবার উপজেলার নলুয়া এলাকায় নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। 

নিহত জুই ওই এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তার ছেলে আদীব (৯) ও তার শাশুড়িকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন।  কয়েকদিন পূর্বে তার শাশুড়ি আদীবকে সাথে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। গত কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধূ  বাড়িতে একা বসবাস করতেন এবং রাতে প্রতিবেশী পারুল বেগম তার সাথে থাকতেন।

 

প্রতিবেশী পারুল আক্তার জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আমার বাড়িতে চলে আসি। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জুই আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। 

 

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
 


Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আলোচনার টেবিলে বসেছেন লিওনেল মেসি। আলোচনার বিষয়টি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ফুটবল-বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন। 

 

আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী তারকার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল শেষেই পুরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিবেদনে মেসির অন্য লিগে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও মায়ামিতেই থাকার ব্যাপারে আগ্রহী আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। 

 

২০২৩ সালের জুলাইয়ে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। আড়াই বছরের চুক্তি অনুসারে এমএলএস ২০২৫ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকার কথা ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলারের। ক্লাবের সহ-মালিক হোর্হে মাস গত জুনে ইএসপিএনকে জানান, মেসিকে দলে রাখার জন্য তারা সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রস্তুত এবং চুক্তি নবায়ন নিয়ে আশাবাদী। হোর্হে মাস বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, আমার ইচ্ছা ও স্বপ্ন হলো, আমাদের নতুন স্টেডিয়াম মার্চে উদ্বোধন হোক আমাদের ১০ নম্বর জার্সিধারীর (মেসি) হাত ধরে। তবে এ সিদ্ধান্ত মেসির। 

 

আমরা চাই তিনি এখানেই তার ক্যারিয়ার শেষ করেন। আমি বলেছিলাম, গ্রীষ্মে এ বিষয়ে কিছু খবর পাওয়া যাবে, তবে আশা করি এর আগেই হবে।’ মেসির নেতৃত্বে মায়ামি ইতোমধ্যেই তাদের ইতিহাসের প্রথম ট্রফিগুলো জিতেছে। ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টারস শিল্ড এবং এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ড অন্যতম। এসব সাফল্যের সিড়ি বেয়ে চলতি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে মায়ামি। গ্রুপ এ-তে দ্বিতীয় হয়ে নকআউট পর্বে উঠলেও প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নেয়। মায়ামির জার্সিতে ৩৮টি এমএলএস ম্যাচে ৩১ গোল ও ২২ অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। জিতেছেন ২০২৪ সালের এমভিপি অ্যাওয়ার্ড। 

 

এছাড়া ২০২৪ ও ২০২৫ সালের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ৯ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট। যদিও মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো গত শুক্রবারও নতুন চুক্তির বিষয়ে জানাননি। মাচেরানো বলেন, ‘না, আমি এসব বিষয়ে কথা বলি না। আমরা কেবল ফুটবল ও পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করি। ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। শেষ ম্যাচটা বাদ দিলে আমরা ভালো খেলেছি এবং প্রতিযোগিতামূলক ছিলাম। ফুটবল সবসময় সুযোগ দেয় না, কিছু সময়ে নেয়ও।’
 

Pic

মাগুরায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
আগামী ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরা শ্রীপুরের সদরের শহর এলাকায় মাগুরা -১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

৯ জুলাই বুধবার শ্রীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর সমাবেশ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চল চল ঢাকা চল ও নারায়ে- তাকবীর আল্লাহু আকবর শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে বাস ষ্ট্যান্ডসহ বাজারের বিভিন্ন অলি-গলি ও দোকানপাটে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে।গণসংযোগে শ্রীপুর ও শ্রীকোল  ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা -কর্মী ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ শেষে বাদ মাগরিবে উক্ত জামে মসজিদে বিশেষ  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইনছান আলীর  সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল মতিন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী আব্দুল আউয়াল সবুর, সেক্রেটারী মোল্লা মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার,সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আমিরুল ইসলাম,গয়েশপুর  ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, শ্রীকোল ইউনিয়ন আমীর, এম হাসিবুর রহমান রিপন,দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন আমীর মোঃ রিয়াদ হাসান নাসিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মোঃ মুক্তার হুসাইন,সেক্রেটারী মোঃ মুজাফফর হোসেন মুন্না, উপজেলা রিকশা-ভ্যান ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী মোল্লা, জেলা আই বি  ডব্লিউ ফাউন্ডেশনের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রাশেদুজ্জামান, গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান, আমলসার ইউনিয়ন সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা ফোরকান আলী, শ্রীকোল ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোঃ কামরুল ইসলাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ বাবর আলী, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ, নকোল ইউনিয়ন শ্রমিক নেতাসহ অন্যরা।

 

সমাবেশ শেষে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাবেশে শ্রীপুর ও খামারপাড়া বাজারের কয়েকশত ব্যবসায়ীসহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
 

Pic

দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে সবাই সোচ্চার হউন -মাগুরার পথসভায় নাহিদ ইসলাম

মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ফ্যাসিজমের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। জুলাই অভ্যু্াত্থানের পরে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লড়াই শরু হয়েছে। একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য আমাদের এই লড়াই চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

 

১০ জুলাই বৃহস্পতিবার শহরের ভায়না মোড়ে পথসভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। পথসভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সাংগঠক উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই পথযাত্রায় অংশ নেন।

 

নাহিদ আরো বলেন, যেকোনো দেশের  অধিপত্যেবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাড়াতে হবে। বাংলাদেশে গণঅভ্যুাথেনের পরেও সংকটগুলো চলমান আছে। দেশের মৌলিক সংস্কার ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। আমারা মাগুরাবাসীকে বলছি আপনারা স্বোচ্চার হউন। আপনার এলাকার উন্নয়ন, এলাকার চলমান চাঁদাবাজ, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুাত্থানে মাগুরার ১০ জন শহীদ হয়েছে। আপনাদের সেই সন্তানদের রক্তের মর্যাদার সেই সনদ আমাদের দিতে হবে। এ জন্য আমরা রাজপথে আছি। জাতীয় নাগরিক পার্টি মাগুরাতে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তার করবে এবং দুর্নীতি চাঁদাবাজিমুক্ত মাগুরা গড়ে তুলবে। সে ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরব হতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদের জন্য আমরা ৫ আগস্ট এক বছর পূর্তি হবে। এই এক বছরের মধ্যেই আমারা এটি কার্যকর দেখতে চায়। সরকার যদি এক বছরের মধ্যেও এটি দিতে ব্যার্থ হয়। তাহলে সরাদেশে ছাত্রদেরকে নিয়ে আমরা আবারও মাঠে নামবো। আগামী ৩ আগষ্ট আমরা ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারে থাকবো। আগামী ৩ আগস্ট আপাদের শহীদ মিনারে আশার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের পদযাত্রা চলমান আছে। বৈরি আবহওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেলা ১ টায় ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে পৌছায়।

 

এসময় ছাত্র সমন্বয়করা তাদেরকে অর্ভ্যথনা জানায়। পরে এন সিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহরের ভায়না মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Pic

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবকর হোসেনকে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পদ থেকে স্থগিত করা হয়েছে।

 

৭ জুলাই, রবিবার টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানজ্জামান শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), সখীপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আবকর হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল প্রাথমিক পদসহ অন্যান্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

 

পদ স্থগিত হওয়ার বিষয়ে মো. আকবর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময় রাজনৈতিক মামলায় আমি পাঁচবার জেল খেটেছি। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করিনি। তবুও দল আমার পদ স্থগিত করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি প্রতিহিংসা পরায়ণের স্বীকার। 
 

 

Pic

রাতের প্রথম প্রহরেই খাবার খেলে শরীরচর্চা ছাড়াই পাবেন দারুণ সব উপকার

টাঙ্গাইল দর্পণ স্বাস্থ্য ডেস্ক:

তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের ভালো। রাত ৮টার আগেই যদি রাতের খাবার শেষ করে ফেলেন, তবে দারুণ কিছু উপকার মিলবে। তবে অফিস বা কাজ শেষে জ্যাম ঠেলে বাড়িতে ফিরে এত তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া বেশ মুশকিলই মনে হতে পারে। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ যদি নিয়ম মেনে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করেন, তবে শরীরে নানা ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কী কী পরিবর্তন হতে শুরু করবে জেনে নিন-

১. যখন পেট গভীর রাতে ভারী খাবার হজম করতে ব্যস্ত থাকবে না, তখন সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাবে সে। আপনি দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বেন, বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে থাকবেন, এমনকি ঘুম থেকে উঠলে হালকা বোধ করবেন।

 

২. সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যাস্ট্রিক বা পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগবেন না। খাবার হজমে রাতভর পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার অর্থ হলো এটি পরিপাকতন্ত্রকে আরও পরিষ্কার করে তোলে।

 

৩. সকালে জোর করে নাস্তা করার ঝামেলায় আর পড়বেন না। কারণ সকালে উঠেই দেখবেন তীব্র ক্ষুধা লেগে গেছে। আর স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে সকালের নাস্তা করার অর্থ হলো সারাদিন সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা। 

 

৪. রাতারাতি হজমের চাপ কম হলে ডিটক্স চক্র ভালো হয়। এর ফলে ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ হয়ে ওঠে। কয়েকদিনের মধ্যেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, বিশেষ করে সকালে। 
 

Pic

নাকের সৌন্দর্য রাইনোপ্লাস্টি, কারা করাতে পারেন এই ট্রিটমেন্ট?

মুখের গঠন ঠিক করতে এবং আরও নিখুঁত করে তুলতে আজকাল অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছে। আর এসব সার্জারির মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় রাইনোপ্লাস্টি।

এই সার্জারির মাধ্যমে চ্যাপ্টা, বোঁচা, বাঁকা, ছোট বা বড় নাককে পেতে পারেন আপনার মনের মতো করে। শুধু তা-ই নয়, মোটা নাক সরু করতে কিংবা সরু নাক বড় করতেও রাইনোপ্লাস্টি উপযোগী।

নাকে আঘাত পেলে কিংবা কোনো জন্মগত ত্রুটি থাকলে সেটাও সারিয়ে তোলা যায় এই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায়, নাকের গঠনের জন্য শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, তখনো রাইনোপ্লাস্টির সাহায্যে এটি ঠিক করা সম্ভব।

রাইনোপ্লাস্টি খুব ছোট অস্ত্রপচার। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সাধারণ কিছু পরীক্ষার পরই এই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে, যে কেউ এই সার্জারি করাতে পারবেন।

৫০-এর কোঠায় পৌঁছে অনেকেই শ্বাসকষ্টে সমস্যায় ভোগেন। নেপথ্যে যদি নাকের গঠন থাকে, তখন রাইনোপ্লাস্টি করা পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রাইনোপ্লাস্টি করার পর ৭ দিনের মধ্যে আপনি সুন্দর নাক পেতে পারেন। তবে অস্ত্রপচারের পর নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে নাকের ওপর চাপ না পড়ে।

এই কসমেটিক সার্জারি আজকাল যে কেউ করাচ্ছেন। মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার, অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই সাহায্য নেন রাইনোপ্লাস্টির। এই কসমেটিক সার্জারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এবং ভালো কসমেটিক সার্জেনের তত্ত্বাবধানে রাইনোপ্লাস্টি করা উচিত।

Pic

গরমে ক্লান্তি দূর করবে যেসব খাবার

তীব্র গরমে অতিষ্ট মানুষ। গরমের পাশাপাশি রয়েছে ব্যস্ততা। যতই দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। সারাদিনের কাজের চাপ, ব্যস্ততার কারণে শরীরে ক্লান্ত লাগাটাই স্বাভাবিক। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কিছু খাবার। এসব খাবার যেমন শরীরের ক্লান্তি দূর করে তেমনি শক্তিও জোগায়। তাই আসুন জেনে নিই গরমে ক্লান্তি দূর করতে যেসব খাবার খাবেন-

১. লেবু পানি
গরমের সময় লেবুর শরবত পান করলে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা স্বাদের জন্য সামান্য লবণও ব্যবহার করতে পারেন।

২. ওটস
কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন বি-এর পরিমাণ ওটসের মধ্যে প্রচুর। এই দুই উপকরণ শরীরে ভরপুর এনার্জির জোগান দেয়। সকালের নাশতায় তাই ওটস রাখা জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস অনেকক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। এতে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

৩. দই

দই এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার সবচেয়ে জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিন ১ কাপ দই খান। ক্লান্তি আসবে না শরীরে।

৪. চর্বিহীন প্রোটিন
চর্বিহীন প্রোটিন সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন প্রাণিজ প্রোটিন; যেমন মুরগি, ডিম, টার্কি, চর্বিযুক্ত মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন; যেমন লেগুম, টফু, সয়া পণ্য, ডাল ইত্যাদি রাখতে হবে।

৫. বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেরা খাবার। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারে বাদাম ও বীজ রাখুন। এটি আপনার শরীরে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তিভাব দূর করবে।

৬. কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের মাঝে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সাথে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।

৭. কম মশলা জাতীয় খাবার
মশলা জাতীয় ভারি খাবার খেতে ভালো লাগলেও গরমের সময় কম মশলা জাতীয় খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। কারণ এগুলো সহজে হজমযোগ্য।

৮. পালংশাক
এই শাকে থাকা আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করবে সহজেই। তাই খাদ্যতাীরকায় মাঝে মাঝে পালংশাকের রেসিপি রাখুন।তবে প্রতিদিন খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। এজন্য মাঝেমধ্যে খান। তবে কাঁচা না খাওয়াই ভালো। 

৯. চা বা কফি

শরীরকে চাঙা করতে চা বা কফি বিশেষ সহায়ক। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে চা বা কফি বেশি পান করলে রাত্রে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।

১০. কলা
কলা আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করার জন্য অন্যতম একটি ভালো খাবার। এতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহের একটি বড় উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং আপনাকে ক্লান্তিভাব দূর করতেও সহায়তা করবে।

১১. পাতলা স্যুপ
স্যুপকে অনেকে মজা করে রোগীর খাবার বলে থাকেন। তবে গরমের সময় একদম ‘ক্লিয়ার ভেজিটেবল’ স্যুপ (পাতলা করে সবজি স্যুপ) খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।

Pic

শিশুদের কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা শেখাবেন যেভাবে

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফ স্টাইল: 
শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা। শিশুরা তাদের পরিবারের পাশাপাশি স্কুল, প্রতিবেশী ও বাইরের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস শেখে ও এভাবেই তৈরি হয় একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব। তবে সঠিক পদ্ধতিতে অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো শিশুদের মনে গেঁথে দিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এটি কঠিন মনে হলেও পরিকল্পনা ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই শিশুদের মধ্যে এই গুণগুলো তৈরি করা সম্ভব। জেনে নিন কীভাবে শিশুদের আরও দয়ালু ও কৃতজ্ঞতাবোধ সম্পন্ন করে তোলা যায়- 

 

১. তাদের জন্য রোল মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠুন
শিশুরা আপনার কাছ থেকে শেখে এবং আপনার আচরণ অনুকরণ করতে খুব পটু। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ রোল মডেল হোন এবং এমন উদাহরণ দিন যা তারা নিজের জীবনে যোগ করতে পারে। যেমন, কারো সাহায্য নিলে ‘ধন্যবাদ’ বলা, অন্যের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা ইত্যাদি। এভাবে তারা ভালো মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে।

 

২. সহানুভূতি শেখান
কোনো বিষয় বুঝিয়ে বলার সময় শিশুকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনা বলুন। যেমন, কেউ যদি আপনার শিশুর কথায় কষ্ট পায়, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন - ‘তারা কেন মন খারাপ করেছে বলে তুমি মনে করো?’ এভাবে চিন্তা করা শিখলে আপনার শিশুর মনে সহানুভূতি ও অন্যকে বোঝার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

 

৩. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস করান
পরিবারে সদস্যদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। কারো দ্বারা উপকৃত হলে তা স্বীকার করা ও ধন্যবাদ দেওয়ার অভ্যাস করুন।

 

৪. শিশুকে ঈশপের গল্পের মতো মূল্যবোধ সৃষ্টিকারী বই পড়তে দিন
শিশুদের জন্য গল্প বা বই পড়া একটি মজার ও কার্যকরী উপায়। তারা গল্পের চরিত্রগুলো অনুকরণ করতে চায় এবং নিজেদের কল্পনা করে। তাদের জন্য একটি শক্তিশালী রোল মডেল তৈরি করুন যিনি দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং সবার প্রিয়।

 

৫. শিশুর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান
যখনই দেখবেন আপনার শিশু দয়াশীল আচরণ করছে, তাকে প্রশংসা করুন। যদি সে তার খেলনা অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে তাকে জানান যে তার এই কাজটি আপনাকে গর্বিত করেছে। এই প্রশংসা তাকে আরও বেশি দয়াশীল হতে উৎসাহিত করবে।

 

শিশুদের কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতা শেখাতে অভিভাবকের ভূমিকা সবচেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। আপনার শিশুর সামনে অনুকরণীয় রোল মডেল হাজির করা তাই আপনারই দায়িত্ব।
 

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭