
ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের ভ্রমণ পৃথিবী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বে ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য। কারণ অনেক দেশই এখন বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত।
তাছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। ওই তিন দেশের অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। যারা বেশ কয়েকবার ওসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভিসা আবেদনও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যুর জন্য নতুন অনেক শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে। অভিবাসন ও পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত বছরের জুলাইয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দেশটি অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমিরাত সমপ্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। তাছাড়া ভারত ছিলো এ দেশের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ওই দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিবেশী ভারত ভিসা কড়াকড়ি করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে । ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সামপ্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের ওই আগ্রহেও ভাটা পড়ছে। বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। যে কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ওসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।
সূত্র আরো জানায়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রতি বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের বিশ্লেষণে বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ওই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে ওই দেশের নাগরিক বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেখানকার মানুষ তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।
এদিকে দেশের ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে যেতেন ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন ওই পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন।
আবেদনকারীদের চাপ বেশি হওয়ায় থাইল্যান্ড পর্যাপ্ত ভিসা দিতে পারছে না। বরং তারা যাচাই-বাছাই করে কিছু ভিসা ইস্যু করছে। আর নতুন পাসপোর্ট হলে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। আর গত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশীদের ৬০-৭০ শতাংশ দেশে না ফেরার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ ভিয়েতনাম থেকে অবৈধ পথে অন্য কোনো দেশে চলে গেছে। যে কারণে ভিয়েতনামের মতো দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশীদের জন্য চীনের ভিসা খুবই সহজ। আর অনঅ্যারাইভাল হওয়ার কারণে খুব সহজে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা যাওয়া যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির জানান, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না। দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন।
সেক্ষেত্রে সরকারের দেখা দরকার যে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শিক্ষিত ও দক্ষ হয়। আর ভুয়া ভিসা কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বে ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য। কারণ অনেক দেশই এখন বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত বছরের জুলাইয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দেশটি অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমিরাত সমপ্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। তাছাড়া ভারত ছিলো এ দেশের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ওই দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিবেশী ভারত ভিসা কড়াকড়ি করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে । ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সামপ্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের ওই আগ্রহেও ভাটা পড়ছে। বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। যে কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ওসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।
সূত্র আরো জানায়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রতি বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে।
এদিকে দেশের ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে যেতেন ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন ওই পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন।
অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির জানান, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না। দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন।
আন্তর্জাতিক

নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে বললেন,
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন,
“জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র 'নাগরিক সেবা' তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”
এসময় প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”
এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' বা 'ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন'।
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন,
“জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র 'নাগরিক সেবা' তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”
এসময় প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”
এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' বা 'ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন'।
জাতীয়

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস: বাংলাদেশের পানির সংকট ও দাবি
আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর ব্রিটিশরা ব্যপকভাবে এই অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটায় এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে কোলকাতা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। বিশেষ করে বাংলা থেকে কাঁচামাল রপ্তানি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে এই বন্দর ব্যবহৃত হতে থাকে। আর এই কোলকাতা বন্দর ভাগিরথী এবং হুগলি নদীর তীরে গোড়ে উঠায় এবং দুই নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং কোলকাতা বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য ১৮৫১-১৯৪৫ পর্যন্ত ৫টি সমীক্ষা চালিয়েছে যাতে গঙ্গার পানি দিয়ে ভাগিরথী হুগলি নদীর নাব্যতা সংকট ফিরিয়ে আনা যায় এবং কোলকাতা বন্দরে কোনো প্রভাব না পড়ে।
নানা কারণে সে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলেও ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর আবার তা নতুন করে আলোচনায় আনেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়। তিনি ১৯৪৮ সাল্র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৫১ সাল থেকেই ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার কে ফারাক্কা বাধ নির্মাণের জন্য বারবার চিঠি দিতে থাকেন। কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তার এই দাবীকে বারবার অগ্রাহ্য করলেও তিনি তার দাবী থেকে সরে আসেন নি।
অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৬১ সালে এই প্রকল্প গ্রহণ করে এবং নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিধানচদ্রের আমলেই নির্মাণ কাজ শুরু হলেও তার মৃত্যুর ১৩ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ৭৫ সালের ২১ এপ্রিল সাময়িক সময়ের জন্য ফারাক্কা বাধ চালু করা হলেও ৫১ বছরেও তা আজও বন্ধ হয়নি।বাংলাদেশে ফারাক্কার সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে অনেকেই কথা বললেও কাওকে তেমন সেরকম ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। দেশের জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতা থেকে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অসুস্থ শরীরে আনদোলনের নেতৃত্ব দেন জনগণ কে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর এই আন্দোলন দেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্ত ভারত সরকার একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করতেই থাকে। এর প্রভাবে দেশের গঙ্গা-পদ্মার প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং লবণাক্ততার কারণে খুলনা অঞ্চলে ধান উৎপাদন কমে গেছে ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
এছাড়াও দেশের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। রাজশাহী অঞ্চলে নিরাপদ সুপেয় পানির অভাব। ক্ষরা, ভূ-গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মারাত্মক উপস্থিতি,ভূ-গর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়া সাধারণ ঘটনা। আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী যা ১৯৯৭ সালের ২১মে জাতিসংঘের সভায় Convention হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং আইন অনুযায়ী -Equitable and Reasonable Utilization এবং No Significant Harm আন্তর্জাতিক জলনীতির মূলভিত্তি। নীতিগুলোর বিপরীতে ৫১ বছর ধরে ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে যাচ্ছে যা স্পষ্টত আন্তর্জাতিক নদী আইনের লঙ্ঘন।
আন্তর্জাতিক নদী আইন থাকার পরেও এবং বাংলাদেশ সেই আইনের মাধ্যমে আশ্রয় লাভ করার সুযোগ থাকলেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে বাংলাদেশ আজও সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯৩ সালের ১অক্টোবর জাতিসংঘের ৪৮তম অধিবেশনে ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে দৃড় মনোভাব প্রকাশ করেন এবং ভারতীয় প্রতিনিধিরা অবাক হয়ে যায়। তার এই বক্তব্য বিশ্ব সভ্যতা ও বিশ্ব বিবেকের দরজায় সজোরে করাঘাত করলেও তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী তীব্র সমালোচনা করে।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পর ৯৬ এর ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি হলেও সেই, চুক্তির কতটুকু প্রতিফলন ঘটেছে এবং বাংলাদেশ নাহ্য হিস্যা পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা আছে।দেশের প্রাণ প্রকৃতি আজ হুমকীর মুখে, অনেক নদী আজ স্বাভাবিক নদীপ্রবাহ হারিয়ে বিলীন হওয়ার পথে,বদীকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি কৃষকের আশা স্বপ্ন আজ ধ্বংসের পথে,দেশে পানির হাহাকার এবং সুপেয় পানির ঘাটতির কারনে আর্সেনিক,ডায়রিয়া থেকে শুরু করে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদী নানা রোগে ভুগছে।
তাই সরকারের উচিত ভারতের সাথে শক্তিশালী কূটনীতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা অথবা ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশনটি ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট থেকে আইনে পরিণত হয়েছে। সেখানে উজানের দেশ থেকে ভাটির দেশে প্রবাহিত নদীর পানি কীভাবে ব্যবহূত হবে, তার দিকনির্দেশনা আছে।যে নদীর পানি যে খাতে প্রবাহিত হয়, সেই নদীর পানি সেই খাতে না রেখে খাত পরিবর্তন করলে তা নদীর জন্য কল্যাণের হবে না।তাই উক্ত আন্তর্জাতিক এই আইনে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ নদীর পানির নাহ্য হিস্যার দাবী করার অধিকার রাখে।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর ব্রিটিশরা ব্যপকভাবে এই অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটায় এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে কোলকাতা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। বিশেষ করে বাংলা থেকে কাঁচামাল রপ্তানি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে এই বন্দর ব্যবহৃত হতে থাকে। আর এই কোলকাতা বন্দর ভাগিরথী এবং হুগলি নদীর তীরে গোড়ে উঠায় এবং দুই নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং কোলকাতা বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য ১৮৫১-১৯৪৫ পর্যন্ত ৫টি সমীক্ষা চালিয়েছে যাতে গঙ্গার পানি দিয়ে ভাগিরথী হুগলি নদীর নাব্যতা সংকট ফিরিয়ে আনা যায় এবং কোলকাতা বন্দরে কোনো প্রভাব না পড়ে।
তাই সরকারের উচিত ভারতের সাথে শক্তিশালী কূটনীতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা অথবা ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশনটি ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট থেকে আইনে পরিণত হয়েছে। সেখানে উজানের দেশ থেকে ভাটির দেশে প্রবাহিত নদীর পানি কীভাবে ব্যবহূত হবে, তার দিকনির্দেশনা আছে।যে নদীর পানি যে খাতে প্রবাহিত হয়, সেই নদীর পানি সেই খাতে না রেখে খাত পরিবর্তন করলে তা নদীর জন্য কল্যাণের হবে না।তাই উক্ত আন্তর্জাতিক এই আইনে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ নদীর পানির নাহ্য হিস্যার দাবী করার অধিকার রাখে।
জাতীয়

ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ: মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশ আজও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ ও একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে আজ মরুভূমিতে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আজ থেকে ৪৯ বছর আগে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ডাকে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতার লংমার্চ ছিল একটি জাতীয় দাবি আদায়ের দুর্বার প্রতিবাদ। কিন্তু তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মত উপেক্ষা করে ভারতকে পরীক্ষামূলক ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। সেই বাঁধ এখন বাংলাদেশের জন্য এক ভয়াবহ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে দেশের কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ায় পানিসঙ্কট, ভূমিক্ষয় ও মরুকরণের মতো সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন ও নদী বিষয়ক কনভেনশন উপেক্ষা করে ভারত ৫৪টি অভিন্ন নদীর ওপর একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। এটি একটি দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি আরও বলেন, “আজও এই ফারাক্কা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। ১৬ মে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবছর স্মরণ করিয়ে দেয়—এই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের প্রকৃতি, কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের বাঁচার অধিকার রক্ষায় ফারাক্কা দিবস আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।”
তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পানির ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলনের ডাক দেন এবং বলেন, “বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্ত কণ্ঠে এই দাবি তুলতে হবে।”
ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশ আজও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ ও একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে আজ মরুভূমিতে পরিণত করেছে।
জাতীয়

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি জায়গার চীনের নামকরণ
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের চীনা প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে এই কাজকে নিরর্থক এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
আজ ১৪ মে, বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন। জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
রনধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘চীনা নামকরণের এই চেষ্টা বাস্তবতাকে কোনোভাবেই পরিবর্তন করবে না যে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটা ছিল, আছে এবং সর্বদা থাকবে।’
খবরে প্রকাশ, চীন অরুণাচল প্রদেশের কিছু জায়গার চীনা নাম ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে চীন অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করেছে। এর আগেও একাধিকবার চীন এই দাবি করে এসেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, এই ধরনের ‘অযৌক্তিক’ প্রচেষ্টা ‘অকাট্য’ বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না যে, রাজ্যটি সবসময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।
এদিকে, অরুণাচল প্রদেশের কিছু জায়গার নাম পরিবর্তনের চীনের ‘অযৌক্তিক’ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তীব্র আপত্তি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতে চীনা সরকারি প্রকাশনা গ্লোবাল টাইমসের এক্স অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাক যুদ্ধ নিয়ে গ্লোবাল টাইমসের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক

গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা যেন কিছুতেই থামছে না। বরং প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। সম্প্রতি ইসরায়েলির করা হামলায় অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মধ্যরাতের পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন। আর দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩০ জন। হাসপাতালে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর আল জাজিরা
বুধবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করে বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে এবং মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বশেষ হামলাগুলো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে হওয়া ওই হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন।
আন্তর্জাতিক

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি বাংলাদেশের সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন, “আমরা জানি যে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। আমরা সব দেশের- তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে - প্রতি আহ্বান জানাই- মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা যেন সবার জন্য রক্ষা করা হয়।”
পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র বৈঠক হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন: “আমি আগের প্রশ্নের উত্তরেই একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলাম-সেটিই পুনরায় বলব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি বাংলাদেশের সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন, “আমরা জানি যে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। আমরা সব দেশের- তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে - প্রতি আহ্বান জানাই- মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা যেন সবার জন্য রক্ষা করা হয়।”
পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র বৈঠক হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন: “আমি আগের প্রশ্নের উত্তরেই একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলাম-সেটিই পুনরায় বলব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি।”
আন্তর্জাতিক

দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে ফিরতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোন ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। তাই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আজ ১৪ মে, বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার মীর মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টুসহ অন্যরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে ফিরতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোন ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। তাই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
রাজনীতি

সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও দলটি এতদিন তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে। এবার সেটিও বন্ধ করে দিল অন্তর্বর্তী সরকার। সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ হয়েছে আ.লীগের সকল কার্যক্রম।
আজ(রোববার) সাইবার স্পেসে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর আগে, ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এবার সাইবার স্পেস ব্যবহারেও নিষিদ্ধ হলো দলটি।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে, ইসিকে নাহিদ

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশজুড়ে যেসব ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী সক্রিয় ছিলেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ (রোববার ১১ মে) সকালে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম জানান,‘বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রশ্নে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।’
এর আগে শুক্রবার চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশজুড়ে যেসব ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী সক্রিয় ছিলেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রাজনীতি

ভারতীয় অভিযান এখনও চলছে : আইএএফ
ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, অভিযান এখনো চলছে এবং সময় হলে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানানো হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে লেখা হয়েছে, আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে ভারতীয় বিমান বাহিনী এক্সে লিখেছে, অপারেশন সিন্দুরে দেওয়া কাজগুলো নির্ভুলভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সফলভাবে শেষ করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে এই অভিযানগুলো চিন্তাভাবনা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছিল।

আইএএফ অফিসার উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং
পোস্টে দেশটির বিমান বাহিনী আরও লিখেছে, অভিযান এখনও চলছে, তাই আরও তথ্য পরে জানানো হবে। ভারতীয় বিমান বাহিনী সকলকে জল্পনা-কল্পনা এবং যাচাই না করা তথ্যের প্রচার এড়াতে অনুরোধ করেছে।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান দায়ী দাবি করে গত ছয় ও সাত মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায় ভারত। পরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়।
পরে দুই দেশই একে অপরের সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানোর কথা বলে। এরপর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।

আন্তর্জাতিক

'অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখা’র সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা আনন্দিত'
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখা’র সরকারি সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বিএনপি) আনন্দিত।
আজ ১১ মে, (রোববার) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও গত রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চলছিল। প্রথমে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীন সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ সিদ্ধান্তে দলের আনন্দিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন তাঁরা। তবে বিএনপির দাবি মেনে আরও আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ও সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি তাদের লিখিত পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যুক্তদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বারবার উত্থাপন করেছি।’
বিএনপি প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ কারণেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগমুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (রূপরেখা) ঘোষিত না হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
রাজনীতি

মুসলিম লীগের দলীয় কাউন্সিলে মহসিন রশিদ সভাপতি ও কাজী আবুল খায়ের মহাসচিব
শেখ এ সবুর:
আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগের ঘর ভেঙেই তৈরি হয়েছে। দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগকে ১৯৪৯সন থেকেই ত্যাজ্য পুত্রের মত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে মুসলিম লীগ।
আজ (১০ মে) বেলা ১০টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এড. মো. মহসীন রশিদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি সারাদেশ থেকে অধিবেশনে অংশ নেয় ৫শতাধিক কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মতামত চাইলে সারা হলে উপস্থিত নেতা কর্মীরা দুই হাত তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত প্রদান করে। কাউন্সিলরবৃন্দ কণ্ঠভোটে জনাব মহসীন রশিদকে সভাপতি ও টানা চতুর্থ বারের মত কাজী আবুল খায়েরকে দলের মহাসচিব হিসাবে নির্বাচন করে এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে আগামী ১০ জুন ২০২৫ এর ভেতর দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার দায়িত্ব প্রদান করে।
এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এ.এফ.এম সোলায়মান ও ভাইস চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নায়েবে আমীর আব্দুর রব ইউসুফী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মহাসচিব এড. ইয়ারুল ইসলাম, গনঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
দলীয় নেতৃবৃন্দের ভেতর, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াজির আলী মোড়ল, সহ সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নুর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ৫শতাধিক কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন।
নেতৃবৃন্দ ১৯৭৪,১৯৭৮ ও ২০০৯ সালের প্রণীত আইনের তিনটি ধারায় দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ আছে বলে মতামত ব্যক্ত করার পাশাপাশি পেহেলগ্রাম সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানান ও যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংযম ও শান্তির পক্ষে মতামত দেন।
আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগের ঘর ভেঙেই তৈরি হয়েছে। দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগকে ১৯৪৯সন থেকেই ত্যাজ্য পুত্রের মত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে মুসলিম লীগ।
নেতৃবৃন্দ ১৯৭৪,১৯৭৮ ও ২০০৯ সালের প্রণীত আইনের তিনটি ধারায় দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ আছে বলে মতামত ব্যক্ত করার পাশাপাশি পেহেলগ্রাম সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানান ও যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংযম ও শান্তির পক্ষে মতামত দেন।
রাজনীতি

হারিয়ে যাওয়া ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে বুঝিয়ে দিলো শাহজাহানপুর থানা পুলিশ
বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ৩৩টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।
ডিএমপির শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানানো হয়, বিভিন্ন কারণে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মোবাইল ফোন মালিকদের সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে ৩৩টি মোবাইল ফোনসেট দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে।
আজ শনিবার (১০ মে ২০২৫ খ্রি.) দুপুরে শাহজাহানপুর থানায় সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মীর মোহসীন মাসুদ রানার উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত ৩৩টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক বেশ কিছু হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলো দ্রুততম সময়ে ফিরে পেয়ে আনন্দিত মোবাইল ফোন মালিকরা পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রিয় মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে অনেকে এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
-ডিএমপি
-ডিএমপি
আলোচিত খবর

আদনান সামির পাকিস্তান প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্যে উত্তাল নেটপাড়া
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি সম্প্রতি একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে পাকিস্তান নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারতের পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে নিশানা করে করা মন্তব্যগুলো নতুন করে আলোচনায় এনেছে তার ভারতপ্রেম ও পাকিস্তানবিরোধী অবস্থান।
২০০১ সালে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসেন আদনান সামি। এরপর ২০১৬ সালে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। পাকিস্তানে প্রশাসনের নির্যাতন ও রোষানলের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বলে বারবার দাবি করেছেন তিনি। সামি জানিয়েছেন, তার পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব জন্ম নিয়েছে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতা থেকে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমার কোনো ক্ষোভ নেই পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি। সমস্যা একটাই-দেশটির সেনাবাহিনী।”
সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে সামি বলেন, “একদিন সব সত্য ফাঁস করে দেব। বহু বছর চুপ ছিলাম। মানুষ পাকিস্তানের কুকীর্তি শুনে চমকে যাবে।” তার এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের দমিয়ে রাখা অভিজ্ঞতা, যা তার দাবি অনুযায়ী পাকিস্তানি রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের ফল।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি লেখেন, “সিঁদুর থেকে তন্দুর পর্যন্ত..., জয় হিন্দ।” এই বক্তব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্তর্জালে, এবং দুই দেশের নেটিজেনদের মধ্যে বিভক্ত মতামত দেখা যায়। একপক্ষ তাকে সমর্থন জানায়, অন্যপক্ষ অভিযোগ করে যে তিনি “আরএসএসকে খুশি করতেই এসব বলছেন।”
এই মন্তব্যের জবাবে সামি নিজের অবস্থান আরো দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করেন। এক পাকিস্তানি নেটিজেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আরএসএসকে ভুলে গিয়ে আগে নিজের জীবন বাঁচাও।”
এখানেই থামেননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি পাকিস্তানে আর কখনো ফিরে যেতে চাই না। যারা এখনও সেখানে আছেন, তারাও দেশটির সামরিক শাসনের ওপর ঘৃণা পোষণ করেন। দেশটিকে ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীই।”
সামির বক্তব্য নিয়ে দুই দেশের মিডিয়াতে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। পাকিস্তানিদের একাংশ তাকে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিলেও ভারতের নেটিজেনদের বড় অংশ তাকে সাহসী বলে অভিহিত করেছেন।
আদনান সামি একজন কণ্ঠশিল্পী হলেও তার অভিজ্ঞতা এবং মন্তব্য আজ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। এমন এক সময় যখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত ক্ষোভ জাতিগত আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি সম্প্রতি একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে পাকিস্তান নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারতের পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে নিশানা করে করা মন্তব্যগুলো নতুন করে আলোচনায় এনেছে তার ভারতপ্রেম ও পাকিস্তানবিরোধী অবস্থান।
আন্তর্জাতিক

আগামি বাজেটে মাতারবাড়ী ও মোংলা বন্দর উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন বাজেটে মাতারবাড়ী ও মোংলা বন্দর উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে শিপিং হাবে পরিণত করা। আর সেজন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। ওই লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বরাদ্দ চেয়েছে। তাতে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ এবং মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪৫ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে মাতারবাড়ীকে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ চট্টগ্রাম ও মোংলা ওই দুটি পুরোনো বন্দরের পানির গভীরতা বড় সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য যথেষ্ট নয়। সেজন্য সরকার মোংলা বন্দর পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ বর্তমানে দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক সমস্যার কারণে বন্দরটি অপ্রতুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে। মূলত মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংযোগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আসন্ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মোট ১০ হাজার ৪৩০ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে সরকার এ খাতে ৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মূলত মাতারবাড়ী ও মোংলা বন্দরের উন্নয়নকাজে বড় অঙ্কের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কারণ এই দুটি বন্দর দেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
মোংলা বন্দর বহু দশক ধরে সমস্যায় থাকায় সরকার সেটি পুনরুজ্জীবিত করতে চাচ্ছে। যাতে বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সংযোগ বিশেষ করে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সমপ্রসারিত করা যায়। আর মাতারবাড়ী বন্দর হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক লাইফলাইন। কারণ ওই বন্দরটি বৈশ্বিক পণ্য পরিবহনের আন্তর্জাতিক ট্রান্সপোর্ট হাবে পরিণত হবে। মোংলা বন্দর উন্নয়নের বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি সরকার মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানের বৈদেশিক বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি ওই বন্দরের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান সড়ক ও সেতু সমপ্রসারণ করা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়নের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে ২ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে ১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তাছাড়া মাতারবাড়ী থেকে কক্সবাজার শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী চলমান সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আর মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে ৬১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। চলতি এডিপিতে ওই খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাছাড়া পায়রা বন্দর উন্নয়নের জন্যও বেশি বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়। পায়রা বন্দরের অবকাঠামো সুবিধা উন্নয়ন প্রকল্পে আগামী এডিপিতে ২৬০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। যেখানে চলতি অর্থবছর বরাদ্দ ছিল ৮৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
আসন্ন বাজেটে মাতারবাড়ী ও মোংলা বন্দর উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য কক্সবাজারের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে শিপিং হাবে পরিণত করা। আর সেজন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। ওই লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বরাদ্দ চেয়েছে। তাতে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ এবং মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪৫ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
জাতীয়

নির্বাচনের রোড ম্যাপ অনতিবিলম্বে ঘোষণা করা হোক: ডা. জাহিদ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন অজুহাতে সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তারা চায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
৯ মে, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী প্রবাসী পরিবারের উদ্যোগে "প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, আত্মমর্যাদা, দেশে বিদেশের সম্পদ রক্ষা ও আগামী নির্বাচন" শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, আজকের যে বিষয়বস্তু প্রবাসীদের ভোটাধিকার আমাদের প্রায় দশ মিলিয়ন বা ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী বিদেশ থাকে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। বিগত ১৭ বছর যাবত এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। বর্তমানে ডক্টর ইউনুস নেতৃত্বে সংস্কার চলছে আশা করব জনগণ তাদের ভোট অধিকার প্রয়োগ করতে পারেবে।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে অনেক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে যার মাধ্যমে আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে যে রেমিটেন্স যোদ্ধারা আছে তার জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গার্মেন্টস সেক্টরের যে আজ অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্যই হয়েছিল। এজন্য তাকে আজীবন স্মরণ করার দরকার মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি।
জাহিদ বলেন, আজকে আওয়ামী লীগকে মানুষ দেখতে পাচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের কাজের অপকর্মের ফল পাচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা ছিল না বলে বিগত আমলে কোন ভোট হয়নি । আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত অবশ্যই তাদের করতে হবে। যে ঐকমতের ভিত্তিতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালিয়েছে সেই ঐক্যমত আমাদের ধরে রাখতে হবে। বর্তমান সরকারকে বলব যে কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে জনগণ তা চায় না। জনগণ চায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার দাবির মধ্যে একটা এই দাবির সাথে বিএনপি সব সময় একমত আছে। শুধু কিভাবে দেবে এই নিয়ে আলোচনার দরকার। প্রবাসীদের সম্পদ রক্ষা করা যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তাদের দায়িত্ব, শুধু প্রবাসী নয় সকল বাংলাদেশের সম্পদ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।
সভায় প্রধান আলোচক যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য এম এ মালিক বলেন, সিলেটসহ সারাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তৈরি করা বাড়িঘর বিগত সৈরাচার সরকার দখল করে নেয়। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, যাদের রেমিট্যান্স এ দেশ চলে তাদের সম্পদ রক্ষা এবং তাদের ভোটাধিকার দ্রুত নিশ্চিত করুন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা আমার বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়, এমনকি মাটি পর্যন্ত তুলে নিয়েছে।
প্রবাসী পরিবার ২৪ এর সমন্বয়ক এবং সাপ্তাহিক জয়যাত্রার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা এম এ মালিক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি এম জাকারিয়া, আমেরিকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের মামলার আসামি মাহমুদউল্লাহ মামুন (ইউএস), ব্যারিষ্টার ওবাইদুর রহমান টিপু (যুক্তরাজ্য), এ্যাড. পারভেজ (যুক্তরাজ্য), ব্যারিষ্টার মরিয়াম চৌধুরী, প্রভাষক খোকন (ইতালি), রিপন সরকার (ইতালি বিএনপি), এম এম রাশেদ ও ইকবার হোসেন (লন্ডন), মমতাজ হোসেন লিপি (মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটি), বিল্লাল হোসেন মাল (শ্রমিক দল), সৌদি কারানির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী কবির হোসেন দেওয়ান, আব্দুল হামিল ভূইয়া, জাফর দেওয়ান (সৌদি আরব) প্রমুখ।
জাতীয়

অবশেষে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে বহু প্রত্যাশিত স্বস্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান অবশেষে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
১০ মে, শনিবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক ঘোষণায় বলেন,
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সাধারণ জ্ঞান এবং দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেল এশিয়ার কোটি মানুষ।
সূত্র মতে, স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে একমত হয়েছে দুই দেশ। এই সিদ্ধান্ত আজ শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে স্বাক্ষরিত এক যৌথ চুক্তিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতা ও কূটনৈতিক তৎপরতায় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রশংসা আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং চীনসহ একাধিক রাষ্ট্র এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ, বিমান হামলা ও নৌ অভিযানে দুই দেশই ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার মানুষকে। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কূটনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যেই শান্তির এই ঘোষণা এল — যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় নতুন আশার জন্ম দিল।
এই যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, কিংবা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন দিকে গড়াবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, এবং এটি যদি সঠিকভাবে রক্ষা করা যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব।
আন্তর্জাতিক

আগামীতে বেগম খালেদা জিয়া ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন : আহমেদ আযম খান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাটা জীবন এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। এই দেশের সমৃদ্ধির জন্য লড়াই করেছেন। আগামীতেই তিনি রাজনীতিতে ওইভাবেই সক্রিয় থাকবেন মুরুব্বি হিসেবে, দেশের অভিভাবক হিসেবে। যে কোন সময় তিনি ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। আগামী দিনের গণতন্ত্রের যাত্রায় তিনি দিক নির্দেশনা দিবেন। আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে নব নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ইস্যুকে বাস্তবায়নের জন্য একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটাতে সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের ঐক্য দরকার। এটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখনও সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কাজেই আমাদের দলের পক্ষ থেকে এখনও চূড়ান্তভাবে কিছু বলার সময় হয়নি।
ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাক-ভারত যুদ্ধ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ যুদ্ধে উপমহাদেশে আমরা সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবো। রাসা-ইউক্রেন আমাদের থেকে অনেক দূরে। তারপরও এ যুদ্ধে আমাদের দেশে প্রভাব পড়েছে। আর পাক-ভারত আমাদের এই উপমহাদেশে। অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বীথি, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টুসহ অন্যরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাটা জীবন এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। এই দেশের সমৃদ্ধির জন্য লড়াই করেছেন। আগামীতেই তিনি রাজনীতিতে ওইভাবেই সক্রিয় থাকবেন মুরুব্বি হিসেবে, দেশের অভিভাবক হিসেবে। যে কোন সময় তিনি ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। আগামী দিনের গণতন্ত্রের যাত্রায় তিনি দিক নির্দেশনা দিবেন। আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে নব নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি

১৮ কোটি মানুষ আ.লীগকে আর দেখতে চায় না : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
এখানে যখন আপনাদের একটি সভা হচ্ছে, ঠিক একই সময়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রদের অন্য একটি সভাও চলছে। তাদের সবার একটাই দাবি-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা যারা এই মাঠে আছি শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ চায় না এই আওয়ামী লীগকে। কারণ, তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বাকশাল কায়েম করেছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। গত ১৭ বছরে তারা গুম খুন করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
এ সময় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনা পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে-বাংলাদেশে আবারও তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কিন্তু তরুণদের সামনে তারা টিকতে পারবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আমাদের দেশকে একটি গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যাদেরকে দায়িত্বে দিয়েছি, তারা এখনো সঠিকভাবে সেই কাজটা করতে পারছেন না।
ফলে মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সে সমস্যা গুলো তাদেরকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। ওই সমাবেশে কেন্দ্রীয় এবং চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও দুপুর থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে ব্যানার পেস্টন নিয়ে উপস্থিত হয়।
এখানে যখন আপনাদের একটি সভা হচ্ছে, ঠিক একই সময়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রদের অন্য একটি সভাও চলছে। তাদের সবার একটাই দাবি-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা যারা এই মাঠে আছি শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ চায় না এই আওয়ামী লীগকে। কারণ, তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বাকশাল কায়েম করেছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। গত ১৭ বছরে তারা গুম খুন করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
রাজনীতি
