
পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা থাকায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে হেলথ পলিসি ওয়াচ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র পরিচালক ডাক্তার টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস স্টাফদের একটি ছোট ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন, “সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে পাঠানো হবে। তার জায়গায় আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডাক্তার ক্যাথরিনা বোহমি। তিনি ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।”
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন পুতুল। তবে তার এ নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অভিযোগ আছে, তার মা শেখ হাসিনা তাকে এই পদে নির্বাচিত করতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় হেলথ পলিসি ওয়াচ।
এদিকে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সংস্থাটি অভিযোগ করে, আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার সময় পুতুল তার শিক্ষাগত রেকর্ড নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সম্মানসূচক পদ থাকার দাবি করেন।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেছে দুদক।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা থাকায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে হেলথ পলিসি ওয়াচ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়।
আলোচিত খবর

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন স্থাপনের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
১০ জুলাই, ২০২৫ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ওএইচসিএইচআরের একটি মিশন শাখা বাংলাদেশে খোলার লক্ষ্যে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সমঝোতা স্মারক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা চূড়ান্ত করে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে দ্রুতই এই চুক্তি স্বাক্ষরের পথ সুগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আসিফ নজরুল আরও জানান, ওএইচসিএইচআর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের আলোচনা এবং সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় এই কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নতুন মাত্রা পেল।
এদিকে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (৯ জুলাই) সিলেটে হেফাজতের সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে এ কার্যালয় স্থাপন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন’-এ পক্ষভুক্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, এই কনভেনশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঐচ্ছিক প্রটোকলেও বাংলাদেশ সম্প্রতি যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা আরও জোরদার করা।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার বার্তা দিচ্ছে বলে অভিমত অনেকের। তবে অভ্যন্তরীণ মহলে এ নিয়ে বিরোধী মতও দেখা দিয়েছে, যা বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন স্থাপনের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
১০ জুলাই, ২০২৫ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ওএইচসিএইচআরের একটি মিশন শাখা বাংলাদেশে খোলার লক্ষ্যে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সমঝোতা স্মারক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা চূড়ান্ত করে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে দ্রুতই এই চুক্তি স্বাক্ষরের পথ সুগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
আসিফ নজরুল আরও জানান, ওএইচসিএইচআর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের আলোচনা এবং সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় এই কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নতুন মাত্রা পেল।
এদিকে, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (৯ জুলাই) সিলেটে হেফাজতের সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে এ কার্যালয় স্থাপন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন’-এ পক্ষভুক্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, এই কনভেনশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঐচ্ছিক প্রটোকলেও বাংলাদেশ সম্প্রতি যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা আরও জোরদার করা।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার বার্তা দিচ্ছে বলে অভিমত অনেকের। তবে অভ্যন্তরীণ মহলে এ নিয়ে বিরোধী মতও দেখা দিয়েছে, যা বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
জাতীয়

মাগুরায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
আগামী ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরা শ্রীপুরের সদরের শহর এলাকায় মাগুরা -১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ জুলাই বুধবার শ্রীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর সমাবেশ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চল চল ঢাকা চল ও নারায়ে- তাকবীর আল্লাহু আকবর শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে বাস ষ্ট্যান্ডসহ বাজারের বিভিন্ন অলি-গলি ও দোকানপাটে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে।গণসংযোগে শ্রীপুর ও শ্রীকোল ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা -কর্মী ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ শেষে বাদ মাগরিবে উক্ত জামে মসজিদে বিশেষ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইনছান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল মতিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস সম্পাদক মোঃ খায়রুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী আব্দুল আউয়াল সবুর, সেক্রেটারী মোল্লা মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার,সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আমিরুল ইসলাম,গয়েশপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, শ্রীকোল ইউনিয়ন আমীর, এম হাসিবুর রহমান রিপন,দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন আমীর মোঃ রিয়াদ হাসান নাসিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মোঃ মুক্তার হুসাইন,সেক্রেটারী মোঃ মুজাফফর হোসেন মুন্না, উপজেলা রিকশা-ভ্যান ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী মোল্লা, জেলা আই বি ডব্লিউ ফাউন্ডেশনের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রাশেদুজ্জামান, গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান, আমলসার ইউনিয়ন সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা ফোরকান আলী, শ্রীকোল ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোঃ কামরুল ইসলাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ বাবর আলী, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদ, নকোল ইউনিয়ন শ্রমিক নেতাসহ অন্যরা।
সমাবেশ শেষে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন এবং দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শ্রীপুর ও খামারপাড়া বাজারের কয়েকশত ব্যবসায়ীসহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরা শ্রীপুরের সদরের শহর এলাকায় মাগুরা -১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজনীতি

দুই যুগেরও বেশি সময় পর গ্রাহকের টাকা ফেরত দিচ্ছে বেসরকারি এনজিও এসডিএস
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিগত ২৫ বছর আগে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সিং এর চাকরি করতেন মনোয়ারা বেগম। সে সময় বেসরকারি সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদে (এসডিএস) ২৫ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। তারপর এসডিএসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি এই টাকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। দুই যুগেরও বেশি সময় পর টাকা পেয়ে তিনি অনেক খুশি হয়েছেন ।
মনোয়ারা বেগম বলেন, এই কষ্টের টাকা ফেরত পাবো তা কল্পনাও করিনি। দীর্ঘদিন পর টাকা গুলো পেয়ে খুব ভাল লাগছে। শুধু মনোয়ারা বেগম নয়, তার মতো তিন শতাধিক গ্রাহককে প্রায় কোটি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শিশু একাডেমিতে নাজমুল এগ্রোফিসারিজ অ্যান্ড ডেইরী ফার্মের উদ্যোগে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। ঈদের আগেও অর্ধশতাধিক গ্রাহকের মাঝে ৩০ লক্ষাধিক টাকা ফেরত দেয়া হয়।
টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ইয়াসির আরাফাত, সরকারি কৌশলী শফিকুল ইসলাম রিপন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহম্মেদ, এসডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হুদা প্রমুখ।
টাকা ফেরত পাওয়া মো. ওবায়দুল্ল্যাহ বলেন, ৫০ হাজার টাকা খুব কষ্ট করে জমিয়েছিলাম। টাকা গুলো ফেরত পেয়ে খুবই উপকার হলো। টাকা দিয়ে মেয়ের পড়াশোনার কাজে ব্যয় করতে পারবো।
এসডিএস গ্রাহক কমিটির সভাপতি সালাম চাকলাদার বলেন, গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে আমরা দীর্ঘদিন আইনী লড়াই করেছি। যাদের ডকুমেন্ট আছে, তাদেরই টাকা দেয়া হচ্ছে।
এসডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। যাদের কাছে ডকুমেন্ট আছে, তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম সারাদেশেই ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আলোচিত খবর

দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে সবাই সোচ্চার হউন -মাগুরার পথসভায় নাহিদ ইসলাম
মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ফ্যাসিজমের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। জুলাই অভ্যু্াত্থানের পরে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লড়াই শরু হয়েছে। একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য আমাদের এই লড়াই চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
১০ জুলাই বৃহস্পতিবার শহরের ভায়না মোড়ে পথসভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। পথসভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সাংগঠক উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই পথযাত্রায় অংশ নেন।
নাহিদ আরো বলেন, যেকোনো দেশের অধিপত্যেবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাড়াতে হবে। বাংলাদেশে গণঅভ্যুাথেনের পরেও সংকটগুলো চলমান আছে। দেশের মৌলিক সংস্কার ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। আমারা মাগুরাবাসীকে বলছি আপনারা স্বোচ্চার হউন। আপনার এলাকার উন্নয়ন, এলাকার চলমান চাঁদাবাজ, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুাত্থানে মাগুরার ১০ জন শহীদ হয়েছে। আপনাদের সেই সন্তানদের রক্তের মর্যাদার সেই সনদ আমাদের দিতে হবে। এ জন্য আমরা রাজপথে আছি। জাতীয় নাগরিক পার্টি মাগুরাতে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তার করবে এবং দুর্নীতি চাঁদাবাজিমুক্ত মাগুরা গড়ে তুলবে। সে ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরব হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদের জন্য আমরা ৫ আগস্ট এক বছর পূর্তি হবে। এই এক বছরের মধ্যেই আমারা এটি কার্যকর দেখতে চায়। সরকার যদি এক বছরের মধ্যেও এটি দিতে ব্যার্থ হয়। তাহলে সরাদেশে ছাত্রদেরকে নিয়ে আমরা আবারও মাঠে নামবো। আগামী ৩ আগষ্ট আমরা ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারে থাকবো। আগামী ৩ আগস্ট আপাদের শহীদ মিনারে আশার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের পদযাত্রা চলমান আছে। বৈরি আবহওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেলা ১ টায় ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে পৌছায়।
এসময় ছাত্র সমন্বয়করা তাদেরকে অর্ভ্যথনা জানায়। পরে এন সিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহরের ভায়না মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ফ্যাসিজমের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। জুলাই অভ্যু্াত্থানের পরে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লড়াই শরু হয়েছে। একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য আমাদের এই লড়াই চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
রাজনীতি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবকর হোসেনকে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পদ থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
৭ জুলাই, রবিবার টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানজ্জামান শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), সখীপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আবকর হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল প্রাথমিক পদসহ অন্যান্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
পদ স্থগিত হওয়ার বিষয়ে মো. আকবর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময় রাজনৈতিক মামলায় আমি পাঁচবার জেল খেটেছি। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করিনি। তবুও দল আমার পদ স্থগিত করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি প্রতিহিংসা পরায়ণের স্বীকার।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবকর হোসেনকে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পদ থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
রাজনীতি

চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান কর্মসূচীতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় পুলিশ তাঁদের অবস্থান কর্মসূচী ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
০৭ জুলাই, ২০২৫ সোমবার দুপুরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।
কাকররাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু সেই আহ্বানে তারা সাড়া না দিলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামানের পানি ও কমপক্ষে ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে আটকও করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্যভবনের দিকে নিয়ে যায়।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় শাহবাগ মোড় থেকে যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মিছিলটি কাকরকাইল মসজিদ মোড়ে এলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেন।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যেদের তিন দফা দাবি:
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুর্নবহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুর্নবহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় বাংলাদেশ রাইফেলস অর্থাৎ বিডিআর নামটি পুনঃস্থাপন চান তারা। দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তারা। এছাড়া ১১টার পর যমুনার অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় পুলিশ তাঁদের অবস্থান কর্মসূচী ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
কাকররাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু সেই আহ্বানে তারা সাড়া না দিলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামানের পানি ও কমপক্ষে ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে আটকও করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্যভবনের দিকে নিয়ে যায়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুর্নবহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুর্নবহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।
জাতীয়

সংস্কারের সব বিষয়ে আমরা একমত হবো না: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সবগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ‘যাতে করে কোনো রকম ভুলবোঝাবুঝি কিংবা বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমাদের দিক থেকে আন্তরিক চেষ্টা থাকছে। আপনাদের (রাজনীতিবিদ) বক্তব্য কিংবা আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যবিধান করা যায়, সেটা দেখা হচ্ছে।’
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এই আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বৈঠক সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘যখন দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে, তখন কমিশনের পক্ষ থেকে আমি সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কমিশন যে প্রস্তাবই দিচ্ছে, সববিষয়ে একমত হওয়ারও কোনো বিষয় নেই। আমি বারবার বলেছি, সববিষয়ে আমরা একমত হবো না।’
উদহারণ দিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কমিশন (এনসিসি) নিয়ে যে প্রস্তাব ছিল, সেটা নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভিন্ন একটি প্রস্তাব এনেছি। নতুন কোনো প্রস্তাব না, সংশোধিত প্রস্তাব। সবাই যখন কাঠামোগত পরিবর্তনে জোর দিচ্ছেন, আমরা সেই জায়গাগুলোতে আপনাদের সাথে থাকছি।’
“মূলনীতির ক্ষেত্রে বহুত্ববাদ নিয়ে সবার আপত্তি ছিল, দ্বিতীয় সংশোধিত সংস্করণে সেটা ছিল না। কিংবা ধরুন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, চারটি প্রদেশ করার বিষয়ে, সেই আলোচনাও প্রাথমিকভাবে বেশিরভাগ দল থেকে ‘এই অবস্থায় বর্তমানে করার’ বিষয়ে একমত হওয়া যায়নি। কাজেই সেটা আলোচনায় আসিনি।”
আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনেক কিছু বাদ দিয়ে অগ্রসর হতে হচ্ছে। কারণ সব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না। তবুও আমাদের চেষ্টা করতে হবে, এগুলো বাদ দিয়ে যেসব জায়গায় আমরা একমত হতে পারি, সেই জায়গায় যেতে আসতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে।’
‘আলোচনায় কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয় এখনো আলোচিত হয়নি। তবে, যেসব বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো আজ আলোচনায় আনিনি। রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় আপনারা যে-যার অবস্থানে থাকবেন। কিন্তু সবাই চেষ্টা করছেন, এক জায়গায় আসার, ঐকমত্যে পৌঁছানোর। আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা করে একমত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘সময়ের স্বল্পতা আছে আমাদের। সেটা আপনারা নিশ্চিয়ই বিবেচনা করবেন। এই সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলাম, আজকের পরে বাকি সময়টা আপনাদের সাংগঠনিক ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ততার জন্য কিংবা অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য।’
‘কিন্তু বেশিরভাগ দলের পক্ষ থেকে যে মত পাওয়া গেছে, তাতে সম্ভবত এ সপ্তাহে আরও একদিন আমরা বসব। আগামী সপ্তাহে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের শাহাদাতবার্ষিকীসহ বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। তারমধ্যেও একটু সময় বের করে আমাদের এই আলোচনাটা অব্যাহত রাখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে কমিশনের সহাসভাপতি আরও বলেন, আপনারা সাংগঠনিক কর্মসূচির পাশাপাশি, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টিও যদি বিবেচনায় রাখেন, তাহলে আমাদের সবার কাজের অগ্রগতির সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে কমিশন বসছে, কীভাবে সংশোধিতভাবে জিনিসগুলোকে আপনাদের অবস্থানকে ধারণ করেই তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা আমাদের আছে। সেটা আমরা অব্যাহত রাখবো। যাতে করে কোনো রকম ভুলবোঝাবুঝি কিংবা বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমাদের দিক থেকে সর্বান্তকরণে আন্তরিক চেষ্টা থাকছে। আপনাদের বক্তব্য কিংকা আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যবিধান করা যায়।’
সূত্র : UNB
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সবগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
জাতীয়

মিয়ানমারের রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের: বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে ওআইসির উদ্যোগে উত্থাপিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজ্যুলুশন গৃহীত হবার প্রাক্কালে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন।
তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় রাখাইনে দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব। রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও ‘আরাকান আর্মি’র মধ্যে চলমান সংঘাত সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে।”
শুধুমাত্র ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে-উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলনে সময়বদ্ধ ও বাস্তবমুখী সমাধানের ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, ৫৯তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত রেজ্যুলুশনে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা এবং তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য দ্রুত একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক

বিএনপি সংস্কারবিরোধী বলে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, “একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপি সংস্কারবিরোধী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত বেশিরভাগ সংস্কার বিষয়ে বিএনপি একমত হয়েছে। বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যারা ২০১৬ সালে ভিশন-২০৩০ করে বেগম খালেদা জিয়া সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালে ২৭ দফা এবং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ২০২৩ সালে ৩১ দফা দিয়েছে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, “আমরা যথেষ্ট আন্তরিক বলেই সারাদেশে ৩১ দফা নিয়ে অসংখ্য প্রোগ্রাম করেছি। জনগণের কাছে যাওয়া হয়েছে, সুধী সমাজের কাছে যাওয়া হয়েছে, সুশীল সমাজের কাছে যাওয়া হয়েছে। আজকে একটা মহল, চক্রান্ত ও পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করবে এমন কোনো সংস্কার প্রস্তাবে বিরোধিতা করা সংস্কারের বিরোধিতা করা নয়। বিএনপি দেশের স্বার্থে অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে হলেও সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিচ্ছে-উল্লেখ করে বলেন তিনি।
রাজনীতি

হত্যার তিনদিন পর বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহীম (৩৫) কে গুলি করে হত্যার তিনদিন পর শনিবার রাত ৮টায় লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পোরশা সীমান্তের ২৩২ পিলার এলাকার কাতলামারী নামক স্থানে দু’পক্ষের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তা, নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে ইব্রাহীম বুধবার রাতে নিতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরদিন সকালে সীমান্তে ২২৯ মেইন পিলারে কাছে ভারতের অভ্যন্তরে লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে দুপুরে বিএসএফ সদস্যরা লাশ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে কথা হলেও বিএসএফ সদস্যরা লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এর একদিন পরে বিএসএফ সদস্যরা এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনদিন পর লাশ ফেরত দেন।
বিষয়টি ১৬ বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
আলোচিত খবর

‘দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে : তারেক রহমান
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আজ ৫ জুলাই, শনিবার ‘পবিত্র আশুরা’ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ১৬ বছরে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সকল ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, সন্ত্রাস, হানাহানি ও দেশের টাকা বিদেশে পাচারসহ এক অবর্ণনীয় শোষণ ও জুলুুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায়ে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ রাখা এবং তাকে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর সমতুল্য। আজও ইমাম হোসেন (রা.) ও তার ঘনিষ্ঠজনদের আত্মদানের চেতনায় দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আর কোনভাবেই যাতে নির্দয় অত্যাচারির অভ্যুদয় না ঘটে সেজন্য ইমাম বাহিনীর যুদ্ধ আমাদেরকে সবসময় প্রতিরোধের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করবে।’
ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও স্মরণীয় একটি দিন ১০ মহররম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে এই দিনটিতে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এই দিনটির মহিমা অসীম। এক বিয়োগান্তক বিষাদময় ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত এদিন-যা পবিত্র আশুরা হিসেবে পালন করা হয়। অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এ দিনে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। এই দিন শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের দিন।
তারেক রহমান বলেন, জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রা.) এর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমামন্ডিত অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ইমাম হোসেনের কষ্ট ও শাহাদাত এবং ইসলাম বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছিলেন তা দুনিয়াতে এক বিশাল প্রেরণার উৎসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে সৃষ্টিকর্তা কেন্দ্রিক ন্যায়বিচার, তাকওয়া, ত্যাগ ও মানবিক মর্যাদার মর্মবাণী প্রকাশিত হয়।
‘হয়রত হোসেন (রা.) এর শাহাদাত অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজীরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ। ক্ষমতার প্রতি নিবিড় নিবিষ্ট মোহে আচ্ছন্ন থেকে যারা ইনসাফ ও মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল তাদের বিরুদ্ধেই ইমাম বাহিনী যুদ্ধে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কারবালায় ইমাম বাহিনীর শাহাদাত বরণ সর্বকালে দেশে দেশে অত্যাচারির কবল থেকে মুক্ত হতে নিপীড়িত মজলুম মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আসছে। আমি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তার শহীদ পরিবার, সঙ্গীদের শাহাদাতের স্মরণে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি’ উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আজ ৫ জুলাই, শনিবার ‘পবিত্র আশুরা’ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
রাজনীতি

পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, নিয়ম বদলাতে এসেছি: নাহিদ ইসলাম
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
৫ জুলাই, শনিবার দুপুরে বগুড়ার সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, আমরা খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি। রাজনীতির নিয়ম বদলাতে হবে। দেশের হাল ধরতে ভালো, গ্রহণযোগ্য ও যুবসমাজকে রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে।”
‘কোনো দলবাজ প্রশাসক কিংবা দলবাজ পুলিশকে ছাড় দেয়া হবে না। বগুড়ার প্রশাসক, বগুড়ার পুলিশ, আইন-আদালত নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। কোনো দলের পক্ষে থাকা যাবে না’-উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টাল বাহানা চলছে বলে অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই বগুড়ায় এসে বলতে চাই, জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই জাতীয় সংবিধানে যুক্ত হবে। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণা পত্রের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হবে।
নাহিদ ইসলাম আরও যোগ করে বলেন, “এই বগুড়া একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। এই পণ্ড্রনগর সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়েছিল। নানা কারণে বগুড়া বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আমরা বলতে চাই, নাগরিকদের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।”
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসন, পুলিশ ও আদালতকে নিরপেক্ষ অবস্থানে নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ সেই পুরনো কায়দায় দলবাজ প্রশাসকের মত আচরণ করে তাদেরও পরিণতি হবে ফ্যাসিস্ট মুজিবাদদের মত।’
তিনি বলেন, যারা ১৮ সালের ডিসি ছিল, যারা ভোট ডাকাতি করেছিল, ১৮ সালের ভোটে নির্বাচন কমিশনার ছিল, তাদের কী পরিণতি হয়েছিল? এই দিন দিন নয়, দিন কিন্তু সকলেরই আছে। এই গণ অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যে যদি আপনারা ভুলে যান, ছাত্র-জনতার ক্ষমতা কতটুকু তাহলে আপনারা ভুল করছেন।’
জুলাই-আগস্ট আর আহতদের যারা সংবিধানে রাখতে চায় না, তারা মুজিববাদের পাহারাদার বলেও মন্তব্য করেন এনসিপির শীর্ষ এই নেতা।
৫ জুলাই, শনিবার দুপুরে বগুড়ার সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা পুরোনো খেলায় নতুন প্লেয়ার হতে আসিনি, আমরা খেলার নিয়ম বদলাতে এসেছি। রাজনীতির নিয়ম বদলাতে হবে। দেশের হাল ধরতে ভালো, গ্রহণযোগ্য ও যুবসমাজকে রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে।”
রাজনীতি

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা
কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা দুনিয়া থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
৫ জুলাই, শনিবার রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শামসুল হুদার ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী বলেন, “সকাল ৯ টায় বাসা থেকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ মর্গে রয়েছে। তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলে জানাজা হবে। পরে বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করবো।”
প্রশাসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনের অধিকারী এ টি এম শামসুল হুদা ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) অন্তর্ভুক্ত হন।
তিনি বাগেরহাটের মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), পানি সম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তার নেতৃত্বেই ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছিল।
জাতীয়

বগুড়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর
এম আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া:
বগুড়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে আহবায়ক কমিটি।
৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচন ২০২৫ এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মতিউল ইসলাম সাদীর সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক উত্তরকোণ পত্রিকার প্রকাশক সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও দৈনিক বগুড়ার সম্পাদক রেজাউল করিম বাদশা, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম এর পরিচালনায় দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন,নবনির্বাচিত সভাপতি রেজাউল হাসান রানু,সাধারণ সম্পাদক কালাম আজাদ,আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস। পরে আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রেজাউল হাসান রানু ও সাধারণ সম্পাদক কালাম আজাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এর আগে গত ২৮ জুন শনিবার সকাল ১০টা বিকেল ৪টা অব্দি বগুড়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত ১০টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচন ২০২৫ এর নির্বাচিত নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি রেজাউল হাসান রানু,সাধারণ সম্পাদক কালাম আজাদ,সহ সভাপতি রাহাত আহমেদ রিটু,মীর সাজ্জাদ আলী সন্তোষ এবং মীর্জা সেলিম রেজা,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হক বাবু,কোষাধ্যক্ষ তানভীর আলম রিমন,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ শাহেদ,ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রহিম,পাঠাগার সম্পাদক জাফর আহম্মেদ মিলন,নির্বাহী সদস্য মহসীন আলী রাজু,এডভোকেট আব্দুল মান্নান,আব্দুর রহিম বগরা,শামীম আহম্মেদ, জহুরুল ইসলাম,শাহ আলম শেখ মুক্তার,গোলজার হোসেন মিটু,শাহেদুজ্জামান সিরাজ বিজয় এবং হারুন অর রশিদ তালুকদার।
বগুড়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে আহবায়ক কমিটি।
জাতীয়

আবারও কেন এনসিপির গাড়িবহরেই হামলার ঘটনা?
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এনসিপির এক কর্মী ও একজন গাড়িচালক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার আলম খান বলেন, “বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এনসিপি এটিকে হামলা বলে অভিযোগ করেছে। তারা প্রাথমিকভাবে একজন হামলাকারীর একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঠাকুরগাঁও আর্ট গ্যালারি থেকে পীরগঞ্জের উদ্দেশে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা দেয় এনসিপির গাড়িবহর। বহরটি টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে একটি আন্তঃজেলা বাস তাদের একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এ সময় এনসিপি নেতাকর্মীরা বাসটি থামিয়ে চালকের কাছে কৈফিয়ত চাইতে গেলে ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ এক এনসিপি কর্মী আহত হন এবং গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার পরপরই এনসিপির পক্ষ থেকে এটিকে পরিকল্পিত হামলা ও শীর্ষ নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করা হয়।
ঠাকুরগাঁও এনসিপির মুখপাত্র অপু বলেন, ‘হামলাকারীরা মূলত নাহিদ বা সারজিসকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। প্রথমে বাসচাপা দেওয়ার চেষ্টা থেকে ধারণা করা যায়, তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
তবে এর কিছুক্ষণ পরেই অপু তার বক্তব্য পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা নয়, বরং একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
এনসিপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এনসিপির এক কর্মী ও একজন গাড়িচালক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
রাজনীতি

বিএনপিতে হাইব্রিড নেতাদের কোন জায়গা হবে না: আহমেদ আযম খান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, হাইব্রিড নেতা যেমন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করেছে তেমনি মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। বিএনপি ওই হাইব্রিড সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। ওই হাইব্রিড নেতাদের বিএনপিতে কোন জায়গা হবে না।
৪ জুলাই, শুক্রবার দুপুরে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা বাসাইলে সনাতন ধর্মীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি নিখিল কুমার রতন, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ মোহন সরকার, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার, হিন্দু কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভজন কুমার বিশ্বাসসহ অন্যরা। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী খানসহ অন্যরা।
তিনি আরও বলেন, এখন কতিপয় রাজনৈতিক দল নির্বাচনী মাঠে জনগণের সাড়া না পেয়ে নানা রকমের কথা বলছে, কেউ পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, কেউ সংস্কারের ধোঁয়া তুলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, কেউ বিচারের কথা বলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ নানাজন নানাভাবেই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি বলবো, এই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া মানে বাংলাদেশর অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেয়া, বাংলাদেশের শিল্পায়নকে পিছিয়ে দেয়া, বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে পিছিয়ে দেয়া। তাই কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের বলবো আসুন, রাজনৈতিক মাঠে আসুন, এবার যদি আপনাদের জন সাড়া না দেয় ভবিষ্যতে আপনাদেরকে জনগণ সাড়া দিতে পারে। তাই বলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে এই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেয়া যাবে না।
সনাতন ধর্মীয় লোকজনের যে কোন প্রয়োজনে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
রাজনীতি

গাজায় ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ইসরায়েলের: ট্রাম্প
দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। টাঙ্গাইল
সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, “৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। কাতারি ও মিসরীয়রা শান্তি আনয়নে অনেক কষ্ট করেছে। তারা এটির চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে। আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য, হামাস এ চুক্তি গ্রহণ করবে। কারণ এটি ভালো নয়, আরও খারাপ হবে।”
গত কয়েক মাস ধরেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। যেটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। ট্রাম্প সম্ভবত ওই প্রস্তাবটিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
তবে এ প্রস্তাবের আলোচনা থমকে ছিল দীর্ঘদিন। কারণ দখলদার ইসরায়েল এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবারও হামলা চালানোর অধিকার রাখতে চায়। অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।
আন্তর্জাতিক

১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যুর শঙ্কা
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের তহবিলে ব্যাপক কাটছাঁট এবং সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে।
বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ইউএসএইডের বাজেট কমিয়ে দিচ্ছে, যুক্তি হিসেবে দেখানো হচ্ছে “অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো”।
তবে মানবাধিকারকর্মী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, এই তহবিলই বহু দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশে - বিশেষ করে আফ্রিকান অঞ্চলে - স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য অবিচ্ছেদ্য বিষয় ছিল।
গত দুই দশকে ইউএসএইড-সাপোর্টেড প্রোগ্রামগুলো বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯ কোটি ১০ লাখ প্রাণ বাঁচিয়েছে, যার মধ্যে ৩০ মিলিয়ন শিশুও ছিল। গবেষকরা বলছেন, বর্তমান বাজেট কমানো ও সংস্থাটি বিলুপ্তির পথে এগোলে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি নতুন মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু (৫ বছরের নিচে) থাকবে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা দানকারী দেশ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মানবিক তহবিলের ৩৮ শতাংশই দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুধু গত বছরই তারা ৬১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সাহায্য দিয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি গেছে ইউএসএইডের মাধ্যমে।
দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত ওই গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, “যদি ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ঘোষিত তহবিল কাটছাঁট স্থায়ী হয় এবং পূর্বের সহায়তা ফিরে না আসে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিস্ময়কর মাত্রার অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু ঘটবে।”
আন্তর্জাতিক
