
হাসিনার নির্দেশেই আওয়ামী দোসররা মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পুড়িয়েছে: রুহুল কবির রিজভী
পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়বসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরির অভিযোগে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার অগ্নিদগ্ধ বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় রুহুল কবীর রিজভী বলেন, এ বছর মানুষ শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পেরেছে। যেহেতু ফ্যাসিবাদ ছিল না তাই আন্দোলন-সংগ্রামের নানা প্রতীক তৈরি করে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে। এটাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার মনে হয় স্বয়ং যিনি পালিয়ে আছেন (শেখ হাসিনা) তার নির্দেশেই এখানে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা এই কাজটি করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা সমাজের নানা জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র প্রয়োজন তার অর্থ তাদের কাছে আছে। সেটাকে দমন করতে আপনারা কী করবেন সেটা জনগণের কাছে খোলাসা করুন, যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে। দোসরদের অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশসহ অনেক জায়গায় পালিয়ে গেছে। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা? প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের তো এটা জানার কথা। যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে, সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে সেই দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। কারণ প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট মেশিনারিও আপনাদের হাতে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কী করবেন সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার নির্বাচন নিয়ে কী তালবাহানা করছে তা আমরা দেখছি। এই সরকার তো গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তার তো প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে যে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কী করে। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার চিত্রকর্ম দিয়ে, শৈল্পিক চেতনা দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। মানবেন্দ্র ঘোষের মতো আরও কত লোক যে সামনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেছে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছে, যারা লড়াই করেছে, গুলির সামনে বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়েছে, এখনো যারা ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের টার্গেটে পরিণত হয়ে আছে। তারা একেক করে তাদের ওপর আক্রমণ করবে।
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, জেলা কৃষক দলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাইদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীবসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই চলবে: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে অংশগ্রহণমুলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে নির্বাচনের জন্য লড়াই করে আসছে। এখনও সেই লড়াই চলছে। কেননা বর্তমানে কোন নির্বাচিত সরকার নেই। আছে অনির্বাচিত অন্তবর্তিকালীন সরকার। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই চলবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির ৩১ দফা বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি কখনও কারচুপির নির্বাচন করে নাই, সমর্থন করে নাই। ভবিষতেও কারচুপির নির্বাচন সমর্থন করবে না। বরং মানুষের সমর্থ নিয়ে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করবে। কেননা দেশে নুন্যতম সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি ২/৩ মেজোরিটি নিয়ে সরকার গঠন করবে। দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, এই দেশে বিরোধীমত কে সবসময় দমন নিপীড়ন করেছে আওয়ামী লীগ। কথা বলতে দেয়নি। নিজের গ্রামে, বাড়িতে থাকতে দেয়নি। হামলা মামলা দিয়ে জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এমন অবস্থা করেছিলো, যার কারনে তারেক জিয়া দেশে আসতে পারে নাই। শুধু তাই নয় ৭৬ বছর বয়সে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছিলো। ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের কারনে আওয়ামীলীগের পতন হয়েছে। বাংলাদেশ নামের সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নাম ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। এজন্য জিয়া পরিবার দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই জিয়া পরিবার ভালো থাকলে দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকে।
এনসিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশে নির্বাচনে জিততে পারে এমন সম্ভাবনাময় দলকে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করে থাকে। এটি যুগে যুগে হয়ে আসছে। কিন্তু এনসিপি কি রাষ্ট্র পরিচালনায় আছে কিংবা আগামীতেও এমন অবস্থায় আছে, তারপরও রাষ্ট্র পরিচালনায় না থাকা সত্বেও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কি ঈঙ্গিত করে। এজন্য আগামী দিনগুলো বিএনপির জন্য আরো কঠিন। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে যেভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতন ঘটানো হয়েছে। একইভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে হবে।
রংপুর বিভাগীয় বিএনপির ৩১-দফা”-কর্মশালার সমাপনিতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় এবং বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি কখনও কারচুপির নির্বাচন করে নাই, সমর্থন করে নাই। ভবিষতেও কারচুপির নির্বাচন সমর্থন করবে না। বরং মানুষের সমর্থ নিয়ে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করবে। কেননা দেশে নুন্যতম সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি ২/৩ মেজোরিটি নিয়ে সরকার গঠন করবে। দেশ পরিচালনা করবে।
রাজনীতি

হবিগঞ্জের মাধবপুরের ২ কৃষক ভারতে নির্যাতনের শিকার, ভিডিও ভাইরাল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ২ কৃষককে ধরে ভারতে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মাধবপুর সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায় রোববার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নির্যাতনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায় ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই সেখানকার উশৃঙ্খল জনতা বাংলাদেশী ২ কৃষকের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পিকআপ ভ্যানে উঠানোর সময়ও নির্যাতন চালানো হয়।
ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন, মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামের আঃ আলী এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও একই গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৫৪) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর অভিযোগ বাংলাদেশী নাগরিক মেইন পিলার ১৯৮৭ দিয়ে বিনা পাসপোর্ট অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। যার ফলে তাদেরকে আটক করা হয়। সীমান্তের মেইন পিলার ১৯৮৮ যাহার জিআর ৪১৭৫৭৮ মানচিত্র ৭৮পি/৮ শূন্য লাইনে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশী হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ান (৫৫ বিজিবি) সদস্যদের এক পতাকা বৈঠক রোববার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা হরিণখোলা সীমান্ত ফাঁড়ি সদস্যদের নিকট রোববার বিকাল পৌনে ৬ টার দিকে আটককৃত বাংলাদেশী তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও জামাল মিয়া (৫৪) কে হস্তান্তর করেন।
রোববার রাতে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ান ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তানজিল আহমেদ জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে আটক তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সীমান্তে সর্তক রয়েছে। মাধবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশে অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ২ কৃষককে ধরে ভারতে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মাধবপুর সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায় রোববার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আলোচিত খবর

ধর্মনিরপেক্ষতার প্রস্তাবেও আপত্তি, পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থান চায় বিএনপি
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ‘এক ব্যক্তি টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না’—এমন প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে দলটির মতে, বিরতি দিয়ে কেউ চাইলে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। দলটির অভিমত, জনগণ যদি কাউকে আবারও নির্বাচিত করতে চায়, তা রুদ্ধ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় এ অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “টানা দুইবারের সীমা থাকলেও বিরতির পর আবারও কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে সেই সুযোগ থাকা উচিত। জনগণই শেষ কথা বলে।”
আলোচনায় বিএনপি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে ভিন্নমত পোষণ করেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে—একই ব্যক্তি যেন দলীয় প্রধান, সরকার প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট: গণতান্ত্রিক দেশে এমন বাধ্যবাধকতা অনভিপ্রেত। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যুক্তরাজ্যসহ অনেক গণতান্ত্রিক দেশে দলীয় প্রধানই সরকার প্রধান হয়ে থাকেন। তাই এমন প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়।”
এছাড়া, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে। সালাহউদ্দিন বলেন, “সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বা বহুত্ববাদের বিষয় ছিল না। আমরা সেই অবস্থানেই ফিরতে চাই।”
সংলাপে ‘ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে বিএনপি। তবে তারা চায় রাষ্ট্রের বাস্তব সক্ষমতার কথা মাথায় রেখে মৌলিক অধিকার নির্ধারণ হোক। “সব কিছু মৌলিক অধিকারে আনলে রাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়বে,” বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সংবিধানে নারীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি সম্মত হয়েছে। তবে তারা চায়, বর্তমান ব্যবস্থাটি পরবর্তী সংসদ পর্যন্ত বহাল থাকুক এবং ভবিষ্যৎ কাঠামো নির্ধারণে আরও আলোচনা হোক।
এনসিসি গঠনের প্রস্তাব নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মতে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অপ্রয়োজনীয়ভাবে সীমিত হয়ে যাবে।
বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন—নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসমাঈল জবিহউল্লাহ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিছু বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বাকশাল নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মতভেদ থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছি।”
এনসিসি গঠনের প্রস্তাব নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মতে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অপ্রয়োজনীয়ভাবে সীমিত হয়ে যাবে।
জাতীয়

সংগ্রাম শেষ হয়নি, গণতন্ত্র এখনো দূরে: মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “এই সময়টা আমাদের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশনের টক শো—সবখানে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।”
রোববার রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এখনো নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো নির্বাচিত সরকার বা সংসদ পাইনি। গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সংগ্রাম শেষ হয়নি।” তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, সতর্কতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে ‘সংস্কার’ ও ‘নির্বাচন’ শব্দ দুটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এসব ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে সংলাপের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো।”
বক্তব্যে শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, “কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না, শ্রমিকের সন্তান ভালো স্কুলে যেতে পারে না, গেলেও বই পায় না। অথচ টক শো, নাটক এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও এদের কোনো উপস্থিতি নেই।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কি শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে?”
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই সময় একজন ত্যাগী ছাত্রনেতাকে হত্যা করতে পারে, তারা কখনোই গণতন্ত্র বা বাংলাদেশের পরিবর্তনের পক্ষে থাকতে পারে না। তারা বিভাজন সৃষ্টিকারী।”
আলোচনায় প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সন্ধিক্ষণে নোমান ভাইয়ের অভাব আমরা সবচেয়ে বেশি অনুভব করছি। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জনমত গঠন করে আন্দোলন গড়ে তুলতেন।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে যখন পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন জনগণকে সঠিক পথে নেওয়ার কাজটা সবচেয়ে জরুরি। এই কাজে নোমান ভাই পারদর্শী ছিলেন।”
নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান বলেন, “আমার বাবা রাজনীতি করতেন আদর্শ নিয়ে, বিনিময়ে কিছু চেয়ে নয়। তিনি বিশ্বাস করতেন—রাজনীতিতে দেওয়ার আছে, নেওয়ার নয়।”
জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, “এ আন্দোলনে শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমি আশা করি, শ্রমিক দলের নেতারা সেই আত্মত্যাগের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন, যেন ইতিহাস তাদের স্মরণ রাখতে পারে।”
তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিক নেতৃত্বও পরিবর্তন হয়, এটি হওয়া উচিত নয়। শ্রমিকদের কথা বলবে শ্রমিকরাই। এজন্য শ্রমিকদের নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “নোমান ভাই ছিলেন নেতাদের নেতা। তিনি তার রাজনীতির পুরো সময় শ্রমিকদের জন্য নিবেদিত ছিলেন। এমন রাজনীতিক আজকের দিনে খুবই বিরল।”
রোববার রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এখনো নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো নির্বাচিত সরকার বা সংসদ পাইনি। গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সংগ্রাম শেষ হয়নি।” তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, সতর্কতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে ‘সংস্কার’ ও ‘নির্বাচন’ শব্দ দুটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এসব ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে সংলাপের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো।”
বক্তব্যে শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, “কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না, শ্রমিকের সন্তান ভালো স্কুলে যেতে পারে না, গেলেও বই পায় না। অথচ টক শো, নাটক এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও এদের কোনো উপস্থিতি নেই।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কি শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে?”
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই সময় একজন ত্যাগী ছাত্রনেতাকে হত্যা করতে পারে, তারা কখনোই গণতন্ত্র বা বাংলাদেশের পরিবর্তনের পক্ষে থাকতে পারে না। তারা বিভাজন সৃষ্টিকারী।”
আলোচনায় প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সন্ধিক্ষণে নোমান ভাইয়ের অভাব আমরা সবচেয়ে বেশি অনুভব করছি। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জনমত গঠন করে আন্দোলন গড়ে তুলতেন।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে যখন পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন জনগণকে সঠিক পথে নেওয়ার কাজটা সবচেয়ে জরুরি। এই কাজে নোমান ভাই পারদর্শী ছিলেন।”
নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান বলেন, “আমার বাবা রাজনীতি করতেন আদর্শ নিয়ে, বিনিময়ে কিছু চেয়ে নয়। তিনি বিশ্বাস করতেন—রাজনীতিতে দেওয়ার আছে, নেওয়ার নয়।”
জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, “এ আন্দোলনে শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমি আশা করি, শ্রমিক দলের নেতারা সেই আত্মত্যাগের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন, যেন ইতিহাস তাদের স্মরণ রাখতে পারে।”
তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিক নেতৃত্বও পরিবর্তন হয়, এটি হওয়া উচিত নয়। শ্রমিকদের কথা বলবে শ্রমিকরাই। এজন্য শ্রমিকদের নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকেই।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “নোমান ভাই ছিলেন নেতাদের নেতা। তিনি তার রাজনীতির পুরো সময় শ্রমিকদের জন্য নিবেদিত ছিলেন। এমন রাজনীতিক আজকের দিনে খুবই বিরল।”
রাজনীতি

নতুন দল নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াল নির্বাচন কমিশন
দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। টাঙ্গাইল
রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আখতার আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত মোট ৬৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সময় বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে ৪৬টি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। দলগুলো সময় স্বল্পতা ও প্রস্তুতির অভাবের কারণ দেখিয়ে আবেদন করে।
বিশেষ করে এনসিপি তাদের চিঠিতে উল্লেখ করে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করেই হঠাৎ করে নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করায় তারা প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই সময় বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল।
রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। তারা সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু মৌলিক নির্বাচন সংস্কারের দাবিও উত্থাপন করে।
নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
• নতুন বাংলা
• সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট
• লেবার পার্টি বাংলাদেশ
• বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)
• গণ অধিকার পার্টি (পিআরপি)
• বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টি
• ভাসানী জনশক্তি পার্টি
• জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ আরও অনেক নবীন ও বিকল্প ধারার দল।
অন্যদিকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলের তালিকায় রয়েছে:
• বাংলাদেশ রক্ষণশীল দল (বিসিপি)
• জনতা কংগ্রেস পার্টি
• বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা)
• বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি
• বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি
• বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএমএলপি)
ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন চলতি বছরের ১০ মার্চ নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই অনুযায়ী ২০ এপ্রিল ছিল আবেদনের শেষ সময়সীমা। কিন্তু দলগুলোর একের পর এক সময় বৃদ্ধির আবেদন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান আলোচনা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সময় দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন নির্ধারণ করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসির এই সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নবীন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধনের বাইরে থাকা বিভিন্ন সংগঠনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। তবে সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি সংস্কার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।
সচিব আখতার আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত মোট ৬৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সময় বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে ৪৬টি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। দলগুলো সময় স্বল্পতা ও প্রস্তুতির অভাবের কারণ দেখিয়ে আবেদন করে।
বিশেষ করে এনসিপি তাদের চিঠিতে উল্লেখ করে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করেই হঠাৎ করে নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করায় তারা প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই সময় বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল।
রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। তারা সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু মৌলিক নির্বাচন সংস্কারের দাবিও উত্থাপন করে।
নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
• নতুন বাংলা
• সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট
• লেবার পার্টি বাংলাদেশ
• বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)
• গণ অধিকার পার্টি (পিআরপি)
• বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টি
• ভাসানী জনশক্তি পার্টি
• জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ আরও অনেক নবীন ও বিকল্প ধারার দল।
অন্যদিকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলের তালিকায় রয়েছে:
• বাংলাদেশ রক্ষণশীল দল (বিসিপি)
• জনতা কংগ্রেস পার্টি
• বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা)
• বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি
• বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি
• বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএমএলপি)
ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন চলতি বছরের ১০ মার্চ নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই অনুযায়ী ২০ এপ্রিল ছিল আবেদনের শেষ সময়সীমা। কিন্তু দলগুলোর একের পর এক সময় বৃদ্ধির আবেদন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান আলোচনা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সময় দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন নির্ধারণ করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসির এই সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নবীন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধনের বাইরে থাকা বিভিন্ন সংগঠনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। তবে সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি সংস্কার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।
জাতীয়

দেশে গ্যাসের তীব্র সঙ্কটেও চুরি ও অপচয় বন্ধ হচ্ছে না
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
দেশে গ্যাসের তীব্র সঙ্কটেও গ্যাসের চুরি ও অপচয় বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ গ্যাস চুরি হয় তার অধিকাংশই সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো হয়। মূলত সিস্টেম লস, চুরি ও দুর্নীতি গ্যাস খাতে আর্থিক ক্ষতির বড় কারণ। ওসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কোনো সরকারেরই জোরালো তদারকি ছিল না। যে কারণে বছরের পর বছর গ্যাস খাতের আর্থিক ক্ষতি কমাতে শিল্প-বিদ্যুৎসহ নানা খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে সরকার পথনকশা তৈরি করেছে।
৭টি গ্যাস কোম্পানিকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়া হয়েছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ওই সময়ের মধ্যে সিস্টেম লস কমপক্ষে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। আর ওই কাজটি না পারলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাসের সিস্টেম লস হয়, তার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সরকার চাচ্ছে আগামী বছরের জুনের মধ্যে সিস্টেম লস অর্ধেকে নামিয়ে আনতে। গত জানুয়ারি মাসে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লস ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটিকে ওই হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ডিসেম্বরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বাখরাবাদের জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সিস্টেম লস থাকলেও আগামী বছরের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরেও কোম্পানিটিকে ওই হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। দেশীয় কোম্পানি, আনÑর্জাতিক কোম্পানি ও চট্টগ্রামের মহেশখালীতে থাকা দুই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেডে (জিটিসিএল) গ্যাস সরবরাহ করা হয়। জিটিসিএল পরে মিটারিংয়ের মাধ্যমে ছয় কোম্পানিকে গ্যাস সরবরাহ করে। সেগুলো হচ্ছে তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী, জালালাবাদ, সুন্দরবন ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। ওসব কোম্পানিই গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ করে। সিস্টেম লসের মধ্যে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসেরই বেশি, যা সুন্দরবন গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের নেই বললেই চলে।
সূত্র জানায়, সরকার গ্যাস আমদানি করে সরবরাহ সংকট মোকাবেলা করছে। আর আমদানি ও বিক্রয়মূল্যের ব্যবধান কমাতে দাম বাড়াচ্ছে। অথচ গ্যাস খাতে বিপুল পরিমাণ চুরি ও দুর্নীতি কমাতে পারছে না। তবে এখন থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কোন কোম্পানি কোন মাসে সিস্টেম লস কতটা নামিয়ে আনবে তা বেঁধে দেয়া হয়েছে। সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে তিতাসের ৩৯১ ও বাখরাবাদের ১৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কর্ণফুলী গ্যাসে ২০০, জালালাবাদে ৬৪ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ৩৬ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সিস্টেম লস কমাতে সাতটি ভিজিল্যান্স দল গঠন করা হয়েছে।
অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিচ্ছিন্ন করার পর সেগুলো আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে কিনা ভিজিল্যান্স দল সরেজমিন দেখবে। আর লাইন পুনঃস্থাপনের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ঠিকাদার জড়িত কিনা তাও চিহ্নিত করা হবে। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২ মাসে ৭০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর প্রায় ২৭ হাজার অবৈধ আবাসিক বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৯৬টি মোবাইল কোর্টসহ ও ১ হাজার ১৮৮টি মোবাইল কোর্ট ছাড়া অভিযান করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম ২৫ দফা বেড়েছে। ওই সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (সরকারি-বেসরকারি) ঘনমিটারপ্রতি গ্যাসের দাম ১ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। আর শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি ১ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন দশকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। একই সময়ে শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে যথাক্রমে ১৭ ও ১৯ দফা। কিন্তুগ্যাসের বাড়তি দাম দিলেও ব্যবসায়ীরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পায়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গ্যাসের বিদ্যমান সংযোগে দাম না বাড়ালেও সমপ্রতি শিল্প ও ক্যাপটিভের নতুন সংযোগে ৩৩ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু দেশের গ্যাস খাতে হয়ে আসা অপচয়-চুরি কমেনি। আর গ্যাস সরবরাহও বাড়েনি।
এদিকে দেশে ক্রমেই কমে আসছে গ্যাসের মজুদ। এই সংকট মোকাবেলায় বিগত দেড় দশকে স্থানীয় গ্যাস খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হয়নি। বরং গ্যাসের সরবরাহ সংকট মোকাবেলায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিকে সমাধান হিসেবে দেখা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
বিগত ২০২০ সালের এপ্রিলে স্থানীয় গ্যাসের সরবরাহ ছিল ১ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। পাঁচ বছর পর স্থানীয় সরবরাহ ওই একই জায়গায় আটকে রয়েছে। অথচ এই সময়ে দেশে অন্তত দুই হাজার ঘনফুট গ্যাসের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। ওই চাহিদা মোকাবেলায় স্পট ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি অব্যাহত রেখেছে সরকার। ২০১৮ সালের পর থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার সঙ্গে এ খাতে প্রতি বছর ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৫-৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরে এলএনজিতে ভর্তুকি ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও চুরি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের বাস্তবতা বুঝতে হবে। এখন আর যত্রতত্র গ্যাসের সংযোগ দেয়ার সুযোগ নেই। গ্যাসের মজুদ কমে আসছে, আর সরবরাহ ঠিক রাখতে আমদানি বাড়ছে। ফলে উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনে কম মূল্যে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আর গ্যাস চুরির ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু কেটে দেয়া সংযোগগুলো পুনরায় জোড়া লাগছে। এ সংযোগ যাতে আর জোড়া লাগতে না পারে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো সিস্টেম লস ও চুরি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে গ্যাসের তীব্র সঙ্কটেও গ্যাসের চুরি ও অপচয় বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ গ্যাস চুরি হয় তার অধিকাংশই সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো হয়। মূলত সিস্টেম লস, চুরি ও দুর্নীতি গ্যাস খাতে আর্থিক ক্ষতির বড় কারণ। ওসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কোনো সরকারেরই জোরালো তদারকি ছিল না। যে কারণে বছরের পর বছর গ্যাস খাতের আর্থিক ক্ষতি কমাতে শিল্প-বিদ্যুৎসহ নানা খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে সরকার পথনকশা তৈরি করেছে।
জাতীয়

ক্যামেরার ফ্রেমে পরিবেশের দূরবস্থা : সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা রূপসী বাংলাদেশের পরিবেশ আজ বিপন্ন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভোগ বিলাস ও প্রযুক্তি ইত্যাদির দোহাই দিয়ে বাড়ছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা ও কল কারখানা। কমে যাচ্ছে আবাদি জমি, প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার পরিবেশ ও কল কারখানার রাসায়নিকে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে নদ-নদী। যার কারণে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা রূপসী বাংলাদেশের পরিবেশ আজ বিপন্ন।
এই বিপন্নের কারণে হুমকির মুখে প্রাণীকূলের স্বাস্থ্য। এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবছেন ফটো সাংবাদিক সনি রামানি৷ আর সেই ভাবনা থেকেই গত আট বছর যাবত ক্যামেরার ফ্রেমে ফ্রেমে বুনেছেন বিপন্ন পরিবেশ ও প্রকৃতির গল্পগুলো। ক্যামেরার নান্দনিকতায় তুলে এনেছেন পরিবেশের দূরবস্থা। তুলে ধরেছেন ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাওয়া প্রকৃতির বদলে যাওয়া রূপ। হুমকির মুখে থাকা ক্ষয়িষ্ণু পরিবেশ ও প্রকৃতির দুরবস্থার রাষ্ট্র ও সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজের তোলা আলোকচিত্র দিয়ে আয়োজন করেছেন ভিন্নধর্মী প্রদর্শনী।
শনিবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ১ নাম্বার গ্যালারিতে শুরু হয় "বিপন্ন প্রকৃতি পরিবেশ" শিরোনামের এই প্রদর্শনী। নীরব ঘাতক বায়ূ দূষণ, জলাধারের মৃত্যু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা -আবর্জনার নিচে ঢাকা শহর এবং হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ ইত্যাদি চারটি থিমে নদী, প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণের উপর তোলা ৬০টি ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।
ছয়দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় অতিথি ছিলেন নিউএইজ সম্পাদক নুরুল কবির, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের চীফ ফটো সাংবাদিক আবু তাহের খোকন প্রমুখ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে বিভিন্ন ছবি দিয়ে তৈরি একটি ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ও একটি ভিডিও ইনস্টলেশন প্রদর্শন করা হয়।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় আনু মুহাম্মদ বলেন, পুঁজিবাদের কারণে পরিবেশ বর্তমানে হুমকির মুখে। কোথায় টাকা ইনভেস্ট করলে মুনাফা অর্জন হবে সেসব চিন্তা থেকে পুঁজিবাদীরা নিজেদের অর্থের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে গিয়ে পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে, কল কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিকে নদীর পানি দূষিত করা হচ্ছে। একটা শ্রেণী দিনে দিনে অর্থের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষেরা অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত পরিবেশে বেড়ে উঠে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে পরিবেশে পাখি বেড়ে উঠতে পারে না, সেই পরিবেশে মানুষও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে না। পরিবেশকে রক্ষায় কোনো সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে বর্তমানে আমাদের এই দুরবস্থা। পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
নুরুল কবির বলেন, নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। যার কারণে হুমকির মুখে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য। প্রকৃতিকে বিপন্ন করা হচ্ছে আর দূষিত করা হচ্ছে বলে আজকে প্রাণীকূলের দুরবস্থা। মানুষকে৷ ও রাষ্ট্রকে সচেতন করার জন্য ফটো সাংবাদিক সনি রামানি তার ক্যামেরার ফ্রেমে বিপন্ন পরিবেশকে তুলে ধরে যে অসাধারণ কাজটি করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ক্যামেরার ফ্রেমে ফ্রেমে প্রকৃতির দুরবস্থা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে সনি রামানি তার কাজটি করেছেন। বাকি কাজ রাষ্ট্রের। পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে।
প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবশ্রেণীর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীর গ্যালারি।
২৪ এপ্রিল শেষ হবে ছয়দিনের এই প্রদর্শনী।
শনিবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ১ নাম্বার গ্যালারিতে শুরু হয় "বিপন্ন প্রকৃতি পরিবেশ" শিরোনামের এই প্রদর্শনী। নীরব ঘাতক বায়ূ দূষণ, জলাধারের মৃত্যু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা -আবর্জনার নিচে ঢাকা শহর এবং হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ ইত্যাদি চারটি থিমে নদী, প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণের উপর তোলা ৬০টি ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে বিভিন্ন ছবি দিয়ে তৈরি একটি ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ও একটি ভিডিও ইনস্টলেশন প্রদর্শন করা হয়।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় আনু মুহাম্মদ বলেন, পুঁজিবাদের কারণে পরিবেশ বর্তমানে হুমকির মুখে। কোথায় টাকা ইনভেস্ট করলে মুনাফা অর্জন হবে সেসব চিন্তা থেকে পুঁজিবাদীরা নিজেদের অর্থের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে গিয়ে পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে, কল কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিকে নদীর পানি দূষিত করা হচ্ছে। একটা শ্রেণী দিনে দিনে অর্থের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষেরা অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত পরিবেশে বেড়ে উঠে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে পরিবেশে পাখি বেড়ে উঠতে পারে না, সেই পরিবেশে মানুষও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে না। পরিবেশকে রক্ষায় কোনো সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে বর্তমানে আমাদের এই দুরবস্থা। পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
নুরুল কবির বলেন, নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। যার কারণে হুমকির মুখে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য। প্রকৃতিকে বিপন্ন করা হচ্ছে আর দূষিত করা হচ্ছে বলে আজকে প্রাণীকূলের দুরবস্থা। মানুষকে৷ ও রাষ্ট্রকে সচেতন করার জন্য ফটো সাংবাদিক সনি রামানি তার ক্যামেরার ফ্রেমে বিপন্ন পরিবেশকে তুলে ধরে যে অসাধারণ কাজটি করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ক্যামেরার ফ্রেমে ফ্রেমে প্রকৃতির দুরবস্থা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে সনি রামানি তার কাজটি করেছেন। বাকি কাজ রাষ্ট্রের। পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে।
প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবশ্রেণীর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীর গ্যালারি।
২৪ এপ্রিল শেষ হবে ছয়দিনের এই প্রদর্শনী।
জাতীয়

রাজনীতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক:
সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরণসভা ও চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বললেন,
“১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাদের সুস্থ করতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের খালি হাতে খালি পায়ে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল। দেশটাও গত ৫০ বছরে গড়েই উঠল না। গণতন্ত্র, সাম্য, সমাজতন্ত্র, ন্যায়বিচার সবই আড়ালে থেকে গেল। আমাদের রাজনীতি নিশ্চয় ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সেই রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে।”
সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন,
“রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কৃতি বিরাজমান, সেটির পরিবর্তন ঘটেনি। তরুণদের এই শিক্ষাটা মাথায় রাখতে হবে। পেছনের পচে যাওয়া প্রথাগুলো গ্রহণ করে রাজনৈতিক দল গড়তে চাইলে ভুল হবে। আদর্শের জায়গায় দাঁড়াতে হবে। এজন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পথ অনুসরণ করতে হবে।”
সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরণসভা ও চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বললেন,
“রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কৃতি বিরাজমান, সেটির পরিবর্তন ঘটেনি। তরুণদের এই শিক্ষাটা মাথায় রাখতে হবে। পেছনের পচে যাওয়া প্রথাগুলো গ্রহণ করে রাজনৈতিক দল গড়তে চাইলে ভুল হবে। আদর্শের জায়গায় দাঁড়াতে হবে। এজন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পথ অনুসরণ করতে হবে।”
জাতীয়

মায়ের নিজের শখ পূরণে সন্তান বিক্রি! পরে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নিজের শখ পূরণ করতে চার মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক গর্ভধারিণী মা !!! শিশু বিক্রির সেই টাকায় শখের মোবাইল ফোন, পায়ের নূপুর ও জুতা কিনেছেনে তিনি গৃহবধূ লাবনী আক্তার লিজা। চাঞ্চল্যকর এঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে মধুপুর থানা পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রবিউল-লাবনী দম্পতির কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানাগেছে, মধুপুর উপজেলা সদরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা গ্রামের আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র থেকে দুই বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের সংসারে নানা কারণে অশান্তি দেখা দেয়। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। এরই মধ্যে চার মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
রবিউল ইসলাম জানান, তার ছেলে তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে অশান্তি আরও বেড়ে যায়। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী তার ছেলে তামিমকে নিয়ে বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে বেড়াতে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কয়েক দিন পর আবার ফোন করে তামিমের দাদা অসুস্থ এবং ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসতে বলা হয়। ওর দাদা তামিমকে দেখতে চাচ্ছে বলেও জানানো হয়। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি। বার বার যোগাযোগের পর লাবনী জানায়- সন্তান তামিমকে বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে বাড়ি নিয়ে আসেন। এসময় লাবনী ছেলেকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
অভিযুক্ত গৃহবধূ লাবনী আক্তার লিজা জানান, তার মাথা ঠিক ছিল না। তিনি মনির নামে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তার ছেলে তামিমকে বিক্রি করেছেন। ছেলেকে বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি তার নিজের শখ পূরণ করেছেন। ওই টাকায় শখের মোবাইল ফোন, পায়ের নূপুর, জুতা ও নাকের নথ কিনেছেন। এটা করা তার ভুল হয়েছে। এখন তিনি খুবই অনুতপ্ত। এখন তিনি ছেলেকে ফেরত চান। তিনি অপরাধ করেছেন- তাকে শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেন।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবীর জানান, বৃহস্পতিবার লাবনী নামে এক মা তার চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছেন বলে তার স্বামী পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর শুক্রবার সকালে রবিউল-লাবনী দম্পতির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
আলোচিত খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অভিবাসী আটক
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
অভিযান এবং পরিদর্শনের সময় কিছু বিদেশি নাগরিক ছিল যারা ঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছিল। আটক অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ছিল পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অন্যান্য অপরাধ।
আন্তর্জাতিক

ভারতের ওয়াকফ আইনে স্থগিতাদেশ: নিয়োগ ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনের জন্য আইনের কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
এই আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার শুনানিতে আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস গ্রহণ করে জানান, সরকার আপাতত ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী কোনো নিয়োগ দেবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্রও পরিবর্তন করবে না।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি। ৫ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মতির মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়।
তবে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক মুসলিম সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এটিকে ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একধরনের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে ৭২টি আবেদন, যার মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ, ডিএমকে ও কংগ্রেসের কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক আবেদন একসঙ্গে শুনানির বাস্তবতা নেই। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মাত্র পাঁচটি আবেদন বাছাই করে প্রাথমিক শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর পিটিশনাররা পাঁচ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানিয়ে জবাব দেবে।
আদালত আরও বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীরা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না বা তার ব্যবহার ও চরিত্র বদলানো যাবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে, দুপুর ২টা। ঐ দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।
ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনের জন্য আইনের কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার শুনানিতে আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস গ্রহণ করে জানান, সরকার আপাতত ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী কোনো নিয়োগ দেবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্রও পরিবর্তন করবে না।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি। ৫ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মতির মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়।
তবে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক মুসলিম সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এটিকে ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একধরনের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে ৭২টি আবেদন, যার মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ, ডিএমকে ও কংগ্রেসের কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক আবেদন একসঙ্গে শুনানির বাস্তবতা নেই। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মাত্র পাঁচটি আবেদন বাছাই করে প্রাথমিক শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর পিটিশনাররা পাঁচ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানিয়ে জবাব দেবে।
আদালত আরও বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীরা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না বা তার ব্যবহার ও চরিত্র বদলানো যাবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে, দুপুর ২টা। ঐ দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ইসিতে এনসিপির আবেদন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলআইন ডেস্ক:
তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া একটি চিঠিতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা কমপক্ষে ৯০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ঘোষিত সময়সীমাকে অবাস্তব ও সময়ের প্রেক্ষাপটে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের দপ্তরে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন এবং সদস্য মনিরুজ্জামান লিখিতভাবে এই আবেদন জমা দেন। চিঠির শিরোনাম ছিল: "নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন"।
এনসিপি দাবি করেছে, ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইনগুলো একনায়কতান্ত্রিক সরকারের সময়ে তৈরি, যা বর্তমানে গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করে রাখছে। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন, নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য জটিল শর্ত পূরণ করতে একটি নতুন দলের জন্য তিন মাসের অতিরিক্ত সময় একান্তই প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"
ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"
ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।
রাজনীতি

মাঠ প্রশাসন এখনও নিরপেক্ষ নয়, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশের মাঠ প্রশাসনের একটি বড় অংশ নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিএনপির পক্ষাবলম্বন করছে। এ ধরনের একপক্ষীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা দেখছি, মাঠপর্যায়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন সেসব ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না এবং নির্বাচনের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়। নাহিদ বলেন, “আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি যে, এনসিপি কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের গঠনগত সংস্কারের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। আমাদের তিনটি প্রধান দাবি—সংবিধানিক সংস্কার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন। এসব দাবি পূরণ না হলে সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব কি না, তা পুনর্বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন চাই না। আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার। বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার কোনো অর্থ হয় না।”
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ এবং আমলাতন্ত্রকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। না হলে আগামী নির্বাচন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।”
জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বিএনপির বৈঠক বুধবার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুেত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুেত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
রাজনীতি

ভারতসহ তিন দেশ থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং। কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্সÑএই পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং। কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্সÑএই পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
জাতীয়

জুলাই গণহত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইল অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরীও গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গতকাল (রোববার) দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ (সোমবার) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অনির্বান চৌধুরী গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন।
এছাড়া ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। তার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন।
জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরীও গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গতকাল (রোববার) দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ (সোমবার) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অনির্বান চৌধুরী গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন।
এছাড়া ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। তার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন।
জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করলে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন, অমান্য করলে শাস্তি
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে এই নির্দেশনার বিষয়টি জানায়। পোস্টে বলা হয়, যেসব বিদেশি ৩০ দিনের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া একেবারে বাধ্যতামূলক, এবং এর ব্যত্যয়ে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, "অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।" এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।
এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, "অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।" এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।
এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক

৩ দিনের সফরে মহাস্থানগড় পরিদর্শন করলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি
এম আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া:
তিন দিনের সফরে বগুড়ায় এসেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি।
(১২ এপ্রিল শনিবার) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ সফরে তিনি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
সফরের প্রথম দিনে সকালে রাষ্ট্রদূত চাভোশি বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং হাসপাতালের সার্বিক দিক নিয়ে খোঁজখবর নেন।

এরপর দুপুরে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান গড় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন এবং মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ঘুরে দেখেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান, মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা, জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এবং ছাত্র সমন্বয়ক মি. আকিব ও মি. কাশেম। স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাজার মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তাহেরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
(১৩ এপ্রিল রবিবার) সকালে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরে বনানীতে অবস্থিত গাক চক্ষু হাসপাতাল ও গ্রামীণ জিসিআই চক্ষু হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। দুপুরে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করতে এলে সভাপতি সাইরুল ইসলামসহ চেম্বারের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সফরের শেষ দিন সোমবার সকালে তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজে আয়োজিত বাংলা নববর্ষ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে তিনি পান্তা-ইলিশসহ বাংলার লোকজ সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগ করবেন। এরপর তিনি বগুড়ার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী হোটেল আকবরিয়া গ্রুপের মিষ্টি, দই, সেমাইসহ নানা প্রকার মিষ্টান্ন প্রস্তুতের কারখানা পরিদর্শন করবেন।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের এই সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্র সমন্বয়ক গাজী সালাউদ্দিন তানভীর, মি. আকিব ও মি. কাশেম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত মানছুর চাভোশি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ইরানের পক্ষ থেকে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরিদর্শনকালে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
তিন দিনের সফরে বগুড়ায় এসেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি।

জাতীয়

নববর্ষের শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনার মুখাবয়ব ভোর রাতে পুড়িয়ে ফেলেছে
নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্যে ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার যে মুখাবয়ব তৈরি করা হয়েছিল আজ তা কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। এটি নৈরাজ্যবাদীদের কাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য যে সাতটি বড় মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল তার একটি শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী মুখাবয়ব। এটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড়ো এই মোটিফে আগুন লাগানোর কারণে আশেপাশের অন্যান্য কিছু মোটিফও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্ভবত ভোর ৪:৪৫ থেকে ৫:০০ টার মধ্যে মোটিফটিতে আগুন লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগানোর কাজটি সেই সময়েই করা হতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১২ই এপ্রিল, ভোর ৪:৫০ এর দিকে, কে বা কারা চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফের মধ্যে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের মোটিফটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছে। তথ্যসূত্র: বাসস
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য যে সাতটি বড় মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল তার একটি শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী মুখাবয়ব। এটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড়ো এই মোটিফে আগুন লাগানোর কারণে আশেপাশের অন্যান্য কিছু মোটিফও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্ভবত ভোর ৪:৪৫ থেকে ৫:০০ টার মধ্যে মোটিফটিতে আগুন লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগানোর কাজটি সেই সময়েই করা হতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১২ই এপ্রিল, ভোর ৪:৫০ এর দিকে, কে বা কারা চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফের মধ্যে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের মোটিফটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছে। তথ্যসূত্র: বাসস