শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Logo
Logo
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে বললেন,


“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।”


প্রধান উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন,  
“জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র 'নাগরিক সেবা' তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”


এসময় প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”


এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' বা 'ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন'।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বে ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য। কারণ অনেক দেশই এখন বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত।

 

তাছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। ওই তিন দেশের অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। যারা বেশ কয়েকবার ওসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভিসা আবেদনও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যুর জন্য নতুন অনেক শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে। অভিবাসন ও পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানা যায়। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত বছরের জুলাইয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দেশটি অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমিরাত সমপ্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। তাছাড়া ভারত ছিলো এ দেশের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ওই দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।


সূত্র জানায়, বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিবেশী ভারত ভিসা কড়াকড়ি করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে । ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সামপ্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের ওই আগ্রহেও ভাটা পড়ছে। বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। যে কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ওসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।


সূত্র আরো জানায়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রতি বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে।

 

তাছাড়া আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের বিশ্লেষণে বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ওই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে ওই দেশের নাগরিক বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেখানকার মানুষ তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।


এদিকে দেশের ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে যেতেন ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন ওই পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন।

 

আবেদনকারীদের চাপ বেশি হওয়ায় থাইল্যান্ড পর্যাপ্ত ভিসা দিতে পারছে না। বরং তারা যাচাই-বাছাই করে কিছু ভিসা ইস্যু করছে। আর নতুন পাসপোর্ট হলে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। আর গত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশীদের ৬০-৭০ শতাংশ দেশে না ফেরার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ ভিয়েতনাম থেকে অবৈধ পথে অন্য কোনো দেশে চলে গেছে। যে কারণে ভিয়েতনামের মতো দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশীদের জন্য চীনের ভিসা খুবই সহজ। আর অনঅ্যারাইভাল হওয়ার কারণে খুব সহজে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা যাওয়া যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।


অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির জানান, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না। দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন।

 

সেক্ষেত্রে সরকারের দেখা দরকার যে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শিক্ষিত ও দক্ষ হয়। আর ভুয়া ভিসা কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
 

Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে ফিরতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোন ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। তাই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

 

আজ ১৪ মে, বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার মীর মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টুসহ অন্যরা।
 

Pic

খোন্দকার এরফান আলী বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি:
বর্তমান বিশ্বে শুল্ক অস্থিরতা ও বাণিজ্যিক উত্তেজনার মাঝেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখছে বাংলাদেশ। এই প্রতিকূল সময়ে শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে ভবিষ্যতের প্রধান ভিত্তি হিসেবে দেখছেন শিল্প উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা। ১২মে থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো'র ১৮তম আসরে অংশগ্রহণকারী শিল্প বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক, স্পেন, ইতালি, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র।

 

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন,
“২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ২৬.৬৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২৪.০৪ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭.৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৩.৯৬ শতাংশ এবং চীনের ৪.১৮ শতাংশ। আমাদের এ প্রবৃদ্ধি এমন এক সময় যখন ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। অর্থাৎ অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার ও শুল্ক নীতির মাঝেও বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমার মতে, বাণিজ্য আলোচনার টেবিলে আমাদের শক্তি হবে আমাদের শিল্পের দক্ষতা উন্নয়ন, স্থায়িত্ব ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি। কারণ আমাদের যেমন বাণিজ্য অংশীদারদের প্রয়োজন, তেমনি তাদের ভোক্তারাদেরও আমাদেরকে প্রয়োজন।”

 

 বর্তমানে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এলডিসি ভূক্ত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)’ এবং ‘জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) এর আওতায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকলেও, ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর তা অব্যহত থাকবে না। যদি বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তবে ২০২৯ সাল থেকে ইউরোপে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে—যেখানে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৫০.১৫% যায়।

 

মোস্তাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, “গত ডেনিম এক্সপোতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের এক্সপোতে সকল আলোচনা দক্ষতা, উদ্ভাবন ও প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে। এবারের আয়োজনের মূল বার্তা হলো— পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়া, যার মাধ্যমে ২০২৯ এবং পরবর্তী সময়ের জন্য শিল্পকে প্রস্তুত করা হবে।”

 

দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের মধ্যে ছিলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা। প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় “ওয়াশিং প্রক্রিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের অগ্রগতি” শীর্ষক আলোচনা। আর দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশি ডেনিম ট্রেসেবিলিটির উপর একটি প্যানেল আলোচনা ।

 

 

 

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা হচ্ছেন আব্দুস সামাদ, পরিচালক, ওয়েল অফ ওয়াশিং; আরিফ লাভু, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, রুহরোজ আরবিটি লিমিটেড; জুলি ডেভিস, জিএম – প্রসেসিং ইনোভেশন ও এডুকেশন এক্সটেনশন, দ্য উলমার্ক কোম্পানি; কামাল উদ্দিন মিয়া, সিওও (ওয়াশিং), বিটপি গ্রুপ; মারকো ভলপি, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিক্রয় প্রধান, ব্লুসাইন টেকনোলজিস এজি; মো. ফরহাদ হোসেন, স্বত্বাধীকারী, পিওর কেমিক্যালস; রাকিব ইমতিয়াজ, বিজনেস ম্যানেজার, এলসি ওয়াইকিকি; রেজা-ই-রাব্বি, প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা, ভার্টেক্স ওয়্যার লিমিটেড; এবং সোহেল রানা, সিইও, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড ও ডিজাইনার ওয়াশ লিমিটেড।

 

এছাড়া, স্কয়ার ডেনিমস লিমিটেড-এর গার্মেন্ট ইউনিটের অপারেশন প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ডেনিমের উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন।

 

এক্সপোর আকর্ষণীয় অংশ হিসেবে ছিলো একটি ‘ফ্যাশন ট্রেন্ড জোন’যেখানে বাংলাদেশে উদ্ভাবিত উন্নতমানের ডেনিম ও   উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
 

 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে বললেন,


“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।”


প্রধান উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন,  
“জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র 'নাগরিক সেবা' তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”


এসময় প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”


এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' বা 'ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন'।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বে ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য। কারণ অনেক দেশই এখন বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত।

 

তাছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। ওই তিন দেশের অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। যারা বেশ কয়েকবার ওসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভিসা আবেদনও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যুর জন্য নতুন অনেক শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে। অভিবাসন ও পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানা যায়। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত বছরের জুলাইয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দেশটি অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমিরাত সমপ্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। তাছাড়া ভারত ছিলো এ দেশের মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ওই দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।


সূত্র জানায়, বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিবেশী ভারত ভিসা কড়াকড়ি করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে পাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে । ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সামপ্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের ওই আগ্রহেও ভাটা পড়ছে। বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। যে কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ওসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।


সূত্র আরো জানায়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রতি বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যে দেশটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে।

 

তাছাড়া আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের বিশ্লেষণে বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ওই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে ওই দেশের নাগরিক বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেখানকার মানুষ তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।


এদিকে দেশের ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে যেতেন ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন ওই পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন।

 

আবেদনকারীদের চাপ বেশি হওয়ায় থাইল্যান্ড পর্যাপ্ত ভিসা দিতে পারছে না। বরং তারা যাচাই-বাছাই করে কিছু ভিসা ইস্যু করছে। আর নতুন পাসপোর্ট হলে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। আর গত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশীদের ৬০-৭০ শতাংশ দেশে না ফেরার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ ভিয়েতনাম থেকে অবৈধ পথে অন্য কোনো দেশে চলে গেছে। যে কারণে ভিয়েতনামের মতো দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশীদের জন্য চীনের ভিসা খুবই সহজ। আর অনঅ্যারাইভাল হওয়ার কারণে খুব সহজে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা যাওয়া যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।


অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির জানান, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না। দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন।

 

সেক্ষেত্রে সরকারের দেখা দরকার যে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শিক্ষিত ও দক্ষ হয়। আর ভুয়া ভিসা কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের চীনা প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে এই কাজকে নিরর্থক এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

 

আজ ১৪ মে, বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন। জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’

 

রনধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘চীনা নামকরণের এই চেষ্টা বাস্তবতাকে কোনোভাবেই পরিবর্তন করবে না যে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটা ছিল, আছে এবং সর্বদা থাকবে।’

 

খবরে প্রকাশ, চীন অরুণাচল প্রদেশের কিছু জায়গার চীনা নাম ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে চীন অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করেছে। এর আগেও একাধিকবার চীন এই দাবি করে এসেছে।

 

এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, এই ধরনের ‘অযৌক্তিক’ প্রচেষ্টা ‘অকাট্য’ বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না যে, রাজ্যটি সবসময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

 

এদিকে, অরুণাচল প্রদেশের কিছু জায়গার নাম পরিবর্তনের চীনের ‘অযৌক্তিক’ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তীব্র আপত্তি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতে চীনা সরকারি প্রকাশনা গ্লোবাল টাইমসের এক্স অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাক যুদ্ধ নিয়ে গ্লোবাল টাইমসের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেছে ভারত।
 

Pic

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা যেন কিছুতেই থামছে না। বরং প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। সম্প্রতি ইসরায়েলির করা হামলায় অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মধ্যরাতের পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন। আর দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩০ জন। হাসপাতালে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর আল জাজিরা

 

বুধবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করে বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে এবং মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বশেষ হামলাগুলো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে হওয়া ওই হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

 

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন।
 

Adv

Site Counter

Online

16

Total

17k

Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রতিভা ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। শুক্রবার পৌর শহরের মুশারফ স্যার রেখা কমপ্লেক্সে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

 

ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহরিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল করিম, ইবরাহীম খাঁ কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মির্জা মহীউদ্দীন আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক আখতকর হোসেন খান, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, গোপালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান সরোয়ার লাভলু, সমাজসেবক খায়রুজ্জামান ভূইয়াসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় এবারের এ আয়োজন। এতে ১০০ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদানসহ সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি পর্ব জোরালো করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। 

 

দলটি এবার ছুটছে এশিয়া ও আফ্রিকার পথে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার লক্ষ্যে। এই সফরে দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিও অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর্জেন্টিনার ক্রীড়ামাধ্যম ‘ওলে’ ও ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’-এর বরাতে জানা গেছে, আগামী অক্টোবর মাসে ফিফার আন্তর্জাতিক সূচির ফাঁকে চীন সফরে যাবে আর্জেন্টিনা দল। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যদিও এখনও নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। 

 

সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে চীন ছাড়াও আরও একটি আমন্ত্রিত দলের কথা বিবেচনায় রয়েছে। চীনে ম্যাচ শেষে নভেম্বরে দলের পরবর্তী গন্তব্য আফ্রিকা। অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১ নভেম্বর দেশটির বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টাইনরা। এই প্রীতি ম্যাচটি ঘিরে সম্প্রতি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং অ্যাঙ্গোলা ফুটবল ফেডারেশনের (এফএএফ) কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই আলোচনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া। তিনি ফোনে কথা বলেন লিওনেল মেসির সঙ্গেও। 

 

মেসি স্মরণ করেন, ২০০৬ সালে ইতালির মাটিতে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে তাঁর প্রথম ম্যাচের কথা, যেখানে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছিল ২-০ গোলে। অ্যাঙ্গোলার ম্যাচ শেষেই দলের পরবর্তী গন্তব্য কাতার সেই মাঠ, যেখানে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। কাতার সফরেও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে, যদিও প্রতিপক্ষ এখনও নিশ্চিত নয়। 

 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের এখনও বাছাইপর্বে চারটি ম্যাচ বাকি আছে চিলি, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে, যেগুলো অনুষ্ঠিত হবে জুন ও সেপ্টেম্বরে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ও দলকে আরও পরিপক্ব করে তুলতেই এই ভিন্ন মহাদেশের সফর পরিকল্পনা করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। 

 

স্রেফ মাঠের অনুশীলন নয়, বাস্তব ম্যাচ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই দলটিকে ভবিষ্যতের বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করতে চায় কোচ স্কালোনি ও তার টিম।
 

Pic

দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান

নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে ফিরতে পারলেই জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোন ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। তাই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

 

আজ ১৪ মে, বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার মীর মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টুসহ অন্যরা।
 

Pic

সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও দলটি এতদিন তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে। এবার সেটিও বন্ধ করে দিল অন্তর্বর্তী সরকার। সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ হয়েছে আ.লীগের সকল কার্যক্রম।

 

আজ(রোববার) সাইবার স্পেসে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

 

উপদেষ্টা আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

 

এর আগে, ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আ.লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এবার সাইবার স্পেস ব্যবহারেও নিষিদ্ধ হলো দলটি।

 

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে, ইসিকে নাহিদ


এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশজুড়ে যেসব ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী সক্রিয় ছিলেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

আজ (রোববার ১১ মে) সকালে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

নাহিদ ইসলাম জানান,‌‘বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রশ্নে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘সারা দেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।’

 

এর আগে শুক্রবার চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।
 

Pic

'অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখা’র সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা আনন্দিত'

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ‘বন্ধ রাখা’র সরকারি সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বিএনপি) আনন্দিত।

 

আজ ১১ মে, (রোববার) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও গত রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চলছিল। প্রথমে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন।

 

এর মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীন সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

 

এ সিদ্ধান্তে দলের আনন্দিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন তাঁরা। তবে বিএনপির দাবি মেনে আরও আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

 

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ও সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বিএনপি তাদের লিখিত পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যুক্তদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব।

 

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বারবার উত্থাপন করেছি।’

 

বিএনপি প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ কারণেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগমুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি। 

 

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (রূপরেখা) ঘোষিত না হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।

Pic

নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

-মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, লেখক, সাংবাদিক, সংগঠক

আজ (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে দিবসটি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীদের প্রতি ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয় এই স্লোগান। 

 

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য অনুসারে, অগ্রগতির বর্তমান হারে, পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জনে সময় লাগবে ২১৫৮ সাল পর্যন্ত, যা এখন থেকে প্রায় পাঁচ প্রজন্ম। ত্বরান্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এ বছরের নারী দিবসে। এটি ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা যে বাধা এবং পক্ষপাতের মুখোমুখি হন, তা মোকাবিলায় বর্ধিত গতি এবং জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।

 

এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারীশ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

 

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।

 

নারী নির্যাতন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এখনো নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গার্হস্থ্য সহিংসতা, যৌন হয়রানি, কর্মস্থলে বৈষম্য এবং মানব পাচারের মতো সমস্যা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। অনেক দেশে আইনি ব্যবস্থা থাকলেও, কার্যকর বাস্তবায়ন না থাকার কারণে নারীরা ন্যায়বিচার পায় না। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ও পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। নারীর স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে। অনেক দেশে নারীরা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হয়, যা মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ায়। সুলভ ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে নারীরা আরও সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে পারবে।

 

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য। বহু সংস্কৃতিতে এখনো নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। নারীরা যাতে সমান মর্যাদা পায় এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের অর্জন ও সক্ষমতাকে প্রচার করা হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। নারীর ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয়, বরং গোটা সমাজের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। যখন নারীরা সমান সুযোগ পায়, তখন পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতি লাভবান হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে লিঙ্গসমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

আজকের বিশ্বে নারীদের অগ্রগতি স্পষ্ট, কিন্তু এখনো অনেক পথ বাকি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নারীদের সমানাধিকার, সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায্যতা—সব কিছুতেই নারীদের অবদান অপরিহার্য। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত, প্রগতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব।

 

নারী দিবসে বিশ্বের সর্বস্তরের নারীদের অবদানকে কুর্নিশ জানাই। জল ছাড়া যেমন জীবন অচল, তেমনই নারী ছাড়া অচল একটা সভ্যতা ও সমাজ। তাই নারীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ৮ মার্চ সারা বিশ্বে এই বিশেষ দিনটি উদযাপিত হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রিয় ও পরিচিত নারীদের উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জানাতে পারেন দিনটির শুভেচ্ছা। এতে চলার সূচনাও হবে ইতিবাচকভাবে। সভ্যতার মেরুদণ্ড হল নারী। তাদের অবমাননা হলে সমাজও ধসে যায়। নারীদের অবদানকে তাই নিরন্তর কুর্নিশ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের সর্বস্তরের নারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং শুভকামনা।

 

একটি শিশুকে জন্ম দেওয়া থেকে বড় করে তোলা পর্যন্ত নারীদের অবদান অসীম। এই অবদানের কথাই মনে করিয়ে দেয় নারী দিবসের মতো একটি বিশেষ দিন। যেখানে নারীর সম্মান রয়েছে, সেখানে সমাজসংস্কৃতির উত্থান হবেই। নারীকে যে দেশ, যে সমাজ সম্মান জানায়, সেই দেশ অনেক উন্নতি করে। নারীদের শ্রমই একটি সমাজকে গড়ে তোলে। রান্না করে খাওয়ানো থেকে বিকেলে পড়তে বসানো, মনের সব কথা খুলে বলা থেকে বিপদে পাশে পাওয়া। বারবার নারীরা পাশে এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে থাকে। স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে শিশুদের নয়, একটা সমাজও সভ্যতাকে বড় করে তুলছে নারীরা। তাই তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা অসীম। কখনও মায়ের রূপে, কখনও বোন হয়ে, কখনও বন্ধু বা কখনও প্রেয়সী হয়ে বারবার নারীরা জীবন সমৃদ্ধ করে তোলে। বাড়ি আর বাইরের জগতে দুই স্থানেই আজ সমান দক্ষতায় লড়াই করে চলেছে নারীরা। তাদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।

 

নারীদের স্নেহছায়া আর যত্ন একটি শিশুর বড় হওয়ার জন্য জরুরি। আর শিশুরাই দেশ ও সমাজের ভবিষ্যত। একটি সভ্যতার ভবিষ্যতনির্মাতাদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সংগ্রামী নারীদের স্যালুট জানাই। নারীদের অনবরত ত্যাগ রয়েছে বলেই আজ সভ্যতা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে। নারীদের এই অবদান কোনওমতেই ভুলে যাওয়ার নয়।

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম "অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন” এর সফলতা কামনা করছি।
 

Pic

নতুন কালেকশন নিয়ে কে ক্র্যাফট

বৈচিত্র্যময় পোশাকের বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে কে ক্র্যাফট। তাই সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বা উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ক্যাজুয়াল কিংবা এক্সক্লুসিভ সবই মিলবে এবারের আয়োজন থেকে। এছাড়া লম্বা ছুটিতে যেখানেই যান তার জন্য প্রয়োজন স্টাইলিশ কিন্তু রিলাক্সড পোশাক। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমনি সব পোশাক থাকবে এবারের আয়োজনে। 

 
মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ এবং কুর্তিতে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপ ছাড়াও স্ট্রেইট কাট, রাফল, প্লিটেড, বক্স প্লিটেড স্টাইল থাকবে। নিজস্ব ডিজাইনের শাড়িতে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি  কাড়বে। ছেলেদের জন্য রয়েছে পছন্দের ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি। এছাড়াও পাওয়া যাবে স্মার্ট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া। কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে ঈদ আয়োজন এর পোশাক পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এছাড়াও অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকেও । 

Pic

আত্মরক্ষায় মেয়েদের উদ্যোগ

শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের নিয়ে সামাজিকভাবে এক প্রকার অবহেলা, উদাসীনতা প্রত্যক্ষ করা যায়। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তো অনেকখানিই। আত্মরক্ষা করার সুষম সক্ষমতা মেয়েদের কিছুটা পিছিয়ে রাখে এটাই সমাজ সংস্কারের নিয়ম। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি। কিন্তু যুগের পরিবর্তন, নতুন সময়ের আবেদনে নারীদের সদর্পে এগিয়ে চলা বর্তমানে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ। এখনো শারীরিক শক্তিময়তায় নারী খেলোয়াড়দের অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করা নজরে আসতে সময় লাগছে না।

সেটাও কম কিছু নয়। কঠিন কর্মযোগে সম্পৃক্ত হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ, সবল শারীরিক সক্ষমতা। ক্রমান্বয়ে তা পারদর্শিতায় রূপ নিতে দেরি হয় না। যা সমতাভিত্তিক সমাজ-বিনির্মাণের নির্ণায়ক। সম্প্রতি এক খবরে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতির ওপর চমকপ্রদ ঘটনা নজরকাড়ার মতো, পরনির্ভরশীলতা, দুর্বলতা, আর কিছুটা অক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া মেয়েরা নিজ উদ্যোগে তাদের সবল করার প্রত্যয়ে ব্রতি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানকার মেয়েরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে।

 

সত্যি এক অসাধারণ কর্ম সাধনা। ‘সবলা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনÑ নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকারÑ হে বিধাতা, সেটার জন্য অনেক অপেক্ষার পালা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটাও যখন হাতের নাগালে তাই যেন সই। সংখ্যায় কম হলেও সামনে আরও বাড়বে। অসাম্য বৈষম্যের বন্ধনজালে আবদ্ধ নারীরা চিরায়ত অপসংস্কারেও আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এক সময় খেলাধুলায় তাদের অংশীদারিত্বও ছিল নগণ্য। যুগের হাওয়ায় তা ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে যে মাত্রায় প্রমাণ করে যাচ্ছে সেটা নারী জাতির অবিস্মরণীয় বিজয়।

 

কর্মজীবী নারীরা এখন ক্ষুদ্র পরিবার সামলিয়ে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনায় পেশাগত কর্মযোগকেও অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে। ভীরু নারীরা আজ সময়ের দুরন্ত আহ্বানে দুঃসাহসিক হয়ে উঠতেও যেন মরিয়া। স্বাবলম্বী হওয়া থেকে আরম্ভ করে শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করা সবই যেন অপার মহিমার সঙ্গে অসম পারদর্শিতাকেও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। 
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নারীরা আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর এক চমকপ্রদ ঘটনা সমসংখ্যককে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করা। আপন দক্ষতা আর শক্তিময়তায় আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘শাওলিন কুংফুং অ্যান্ড উন্ড একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ টাইগার মার্শাল আর্ট’, ‘শাওলিন উন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে তিনটি নারী আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো কঠিন কাজের সামনে কাঁপন ওঠার মতো দুঃসময় নারীকে এখন আর সেভাবে তাড়া করে না।

তা ছাড়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা ইউনিসেফের কার্যক্রমে শিশু-কিশোর সেলফ ডিফেন্স ক্লাব, মহিলা অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ আরও কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে জোরালো করা হচ্ছে। আনোয়ারার এমন চমৎকার পরিবেশে ছেলেমেয়ে উভয়ই পাশাপাশি অবস্থান করে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াও সমতাভিত্তিক সুস্থ পরিবেশকে স্বাগত জানানো। ছেলেময়ের সমান অংশগ্রহণে পোশাক-পরিচ্ছেদেও কোনো বিভেদ নেই। এক রকম পোশাক পরে মানুষের মর্যাদায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও উদীয়মান প্রজন্ম তা আগামীর বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনতার আদলে নতুন মোড়কে উন্মোচন তো করবেই।

এ ছাড়াও আছে এনজিও সংস্থার নানামাত্রিক প্রকল্প, যা ছেলেমেয়েকে সমান বিবেচনায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়ত সমতাভিত্তিক কর্মযোগ নিরন্তর করেই যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা পারদর্শী  আর শারীরিক সক্ষমতায় নিজেদের তৈরি করে যাচ্ছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায়ের শুভ সূচনা তো বটেই। তবে মেয়েদের শাশ্বত কর্মযোগকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যেমন সেলাই, বিউটিশিয়ান হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করতেও মেয়েরা এগিয়ে থাকছে।

নারী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসেরও কোনো ঘাটতি নেই। পরম আনন্দে, স্বইচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নিজেদের যাত্রাকে সাবলীল আর অবারিত করে যাচ্ছে। তাদের আলাপচারিতায় আরও প্রত্যক্ষ হয় ঘর থেকে বাইরে যেতে গেলে পিতা-মাতা-অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নির্বিঘেœ, নিরাপদে যাওয়া-আসা করা যাবে তো? পথে-প্রান্তরে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই তো? তাই নিজের নিরাপত্তায় শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়াও জরুরি। সঙ্গত কারণে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও সময়ের ন্যায্যতা দাবি করে। তার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেদের উৎপীড়ন, উৎপাত বহু সময় ধরে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার পালাক্রম।

সেখানে নিজেদের সুরক্ষায় প্রতিপক্ষকে থামাতে আত্মশক্তির বিকল্প অন্য কিছু নয়। এটা শুধু চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তরে এমন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে সারাদেশের মেয়েদের রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে-আসতে কোনো বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হলে প্রতিরোধ করার শক্তিও যেন অন্তর্নিহিত বোধে জিইয়ে থাকে।

 
 

Pic

চায়ের সাথে ভুলেও যে ৪ খাবার খাবেন না

চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এর প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা এবং অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু চা হলে জমে না অনেকের, এর সঙ্গে প্রয়োজন হয় অল্পস্বল্প কিছু খাবার। এরকম খাওয়া যেতেই পারে। তাতে ক্ষতির কিছু নেই। 

দুগ্ধজাত পণ্য

 

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সব পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে দুগ্ধজাত কোনো খাবারই না খেতে। দুগ্ধজাত প্রোটিন চায়ের সূক্ষ্ম গন্ধকে পরিবর্তন করে এবং একে কম উপভোগ্য করে তোলে। যদিও আপনার চায়ে কিছুটা দুধ মেশানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে চায়ের সঙ্গে পনির, দই বা ক্রিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে, যার ফলে একটি তিক্ত বা ধাতব স্বাদ তৈরি হয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা চায়ের সঙ্গে মিলিত হলে পেট খারাপ হতে পারে, যা হজমের অস্বস্তি তৈরি করে। অনেকে চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান, সামান্য লেবুর রসে সমস্যা নেই তবে আস্ত সাইট্রাস ফল চায়ের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

ঝাল খাবার

চায়ের সঙ্গে পাকোড়া, পুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের খাবার চায়ের সূক্ষ্ম স্বাদকে নষ্ট করতে পারে। সেইসঙ্গে ঝাল জাতীয় খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন এবং চায়ে থাকা ট্যানিনের সংমিশ্রণ গ্যাস্ট্রিক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে যেকোনো ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন কাঁচা শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এগুলো চায়ের সঙ্গে খাওয়া হলে তা আয়রনের মতো নির্দিষ্ট খনিজ শোষণে বাধা দিতে পারে। চায়ে অক্সালেট নামক যৌগ রয়েছে, যা খনিজের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং তার শোষণকে বাধা দেয়। তাই চায়ের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭