
গাজার ছবি দেখলে যন্ত্রণায় আমার শরীর কুঁকড়ে যায়: গার্দিওলা
বিশ্ব ফুটবলের এক পরিচিত মুখ ও ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার নিদারুণ পরিস্থিতি দেখে দেখে তিনি যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছেন, ভয়ও পাচ্ছেন।
৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ডিগ্রি নিতে গিয়েই গভীর কণ্ঠে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলেন। ফুটবল কৌশল নিয়ে আলোচিত এই কোচ ফিলিস্তিনি শিশুদের যন্ত্রণার কথা এবং বিশ্ববাসীকে এই অবিচারের বিরুদ্ধে চুপ না থাকার আহ্বান জানান।
গার্দিওলা বলেন, ‘গাজায় যা দেখছি, সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যন্ত্রণায় আমার শরীর কুঁকড়ে যায়। আমি স্পষ্ট করেই বলতে চাই, এটা আর রাজনীতি বা মতাদর্শের বিষয় নয়, এটা মানবতার প্রশ্ন। আমি ঠিক নাকি আপনি ঠিক, ব্যাপারটা তেমন কিছুও নয়। এটা পুরোপুরিই জীবনকে ভালোবাসার, প্রতিবেশীর ভালোমন্দ দেখার বিষয়।’
গার্দিওলা আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে যখন তিনি নিজের সন্তানদের দেখেন, তখন গাজার শিশুদের কথা মনে পড়ে যায়—যারা প্রতিদিনই জীবন হারাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি বিশ্ব চুপ করে থাকে, তাহলে আগামীকাল কার পালা?"
গার্দিওলার এই বক্তব্য শুধু কোনো নিন্দা ছিল না, বরং এটি ছিল নিস্তেজ বিবেককে জাগিয়ে তোলার এক আহ্বান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "অবিচারের সামনে নীরবতা মানে হলো অত্যাচারীর পক্ষে থাকা। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ, যেখানে-ই থাকুক, তার দায়িত্ব রয়েছে—এই মানবিক বিপর্যয় থামাতে নিজের জায়গা থেকে কিছু না কিছু করা।"
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল হামাসকে ধ্বংস করা এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করা। তবে তারা এই লক্ষ্যে ব্যর্থ হয় এবং হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় এবং কিছু বন্দি বিনিময়ও হয়। কিন্তু এরপর ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ১৮ মার্চ ভোর থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় সামরিক আগ্রাসন আবার শুরু করে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের থেকে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ৫৪,৯২৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং ১,২৬,৬১৫ জন আহত হয়েছেন।#
আন্তর্জাতিক

আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ ভয়াবহ: আরও সেনা পাঠালেন ট্রাম্প
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেস অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল চতুর্থ দিন পার করেছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটিতে চলমান এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর দমননীতি আগুনে আরও ঘি ঢালছে; বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতেও।
দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড দিয়েও পরিস্থিতি সামালাতে ব্যর্থ হয়ে এবার বিক্ষোভ দমনে লস অ্যাঞ্জেলসে আরও দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
৯ জুন, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তৃত এলাকায় ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে যেসব বাহিনী কাজ করছে মেরিন সেনারা তাদের সঙ্গে কাজ করবে। ওই এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী সরবরাহের জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। টাস্ক ফোর্স ৫১-এর মধ্যে ২ হাজার ১০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা রয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং বলপ্রয়োগের নিয়ম সম্পর্কে প্রশিকক্ষণপ্রাপ্ত।’
এদিকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বরাবরের মতোই নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
গ্যাভিন নিউসম আরও বলেন, ‘মেরিন সেনারা আমাদের বীর। একজন একনায়কোচিত প্রেসিডেন্টের উন্মাদ বাস্তবতা বর্জিত ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের দেশের মাটিতে তাদের দেশবাসীর মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত নয়। এটা আমেরিকান আদর্শের পরিপন্থী।
গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই। পুলিশ ও আইসিই’র যৌথ অভিযানে গত প্রায় ৬ মাসে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি-এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক বন্দিশালা বা ডিটেনশন সেন্টার করা হয়েছে। সেসব বন্দিশালায় আটক আছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।
আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক

দেশে ফের করোনা ভাইরাস আতঙ্ক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা
টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: দেশে ফের হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সোমবার (৯ জুন) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা।
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা।
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
জাতীয়

পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে-দুর্নীতিতে জড়ালে কোন ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে বললেন, “পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতিতে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা অ্যাটাচ করে রেখেছি। এরই মধ্যে ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি কোন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন, “আপনারা জানেন, আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কি? আপনারাই ১০/১৫ জনের নাম দিছেন, ২০০/২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্তে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে।”
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা এরইমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, তাই হয়রানি পোহাতে হবে না। আপনারা বলেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কথা। এখন থেকে জিজ্ঞাসা করার জন্য আমরা কাঁচের মতো ঘর করে দেবো। অন্যরা দেখতে পারবে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি না।”
‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢ়ুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোন অবস্থায় কন্ট্রোলের ভেতরে আনতে পারতাম, তাহলে কিন্তু দেশ অনেক আগায় যেত। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করেন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে’-যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও যোগ করে বলেন, “আপনারা জানেন, আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কি? আপনারাই ১০/১৫ জনের নাম দিছেন, ২০০/২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্তে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে।”
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা এরইমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, তাই হয়রানি পোহাতে হবে না। আপনারা বলেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কথা। এখন থেকে জিজ্ঞাসা করার জন্য আমরা কাঁচের মতো ঘর করে দেবো। অন্যরা দেখতে পারবে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি না।”
‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢ়ুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোন অবস্থায় কন্ট্রোলের ভেতরে আনতে পারতাম, তাহলে কিন্তু দেশ অনেক আগায় যেত। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করেন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে’-যোগ করেন তিনি।
জাতীয়

লন্ডনে উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বসবেন তারেক রহমান
টাঙ্গাইল দর্পণ ডেস্ক: চারদিনের সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আগামী ১৩ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যে হোটেলে থাকবেন সেখানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’
লন্ডনে ১৩ জুনের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট এবং কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজনীতি

দৃশ্যমান সংস্কার হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে কোন দ্বিমত থাকবে না: সারজিস আলম
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সার্ভিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তবে তার আগে নির্বাচনকালীন সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। মৌলিক সংস্কারের দৃশ্যমান অবস্থা দেখতে চাই।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সংবাদকর্মীদের সামনে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমরা দেখে এসেছি যে, নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকা, পেশি শক্তির অপব্যবহার করা হয়। অদ্ভুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখতে চাই। কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির পঞ্চগড় সদর উপজেলার সমন্বয়ক তানভিরুল বারি নয়নসহ এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ফুটপাতের একটি দোকানে চা পানসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের দেশে ফেরা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, হাসিনা এবং তাদের যারা দোসর ছিলেন, যারা তাদের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠায় সহযোগিতা করেছেন, তাদের সামগ্রিক বিষয়ে আমরা কঠোর হস্তক্ষেপ চাই এবং এটা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেন হয়।
রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা প্রচণ্ড বিএনপি বিদ্বেষী: রিজভী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা আছেন যারা প্রচণ্ড বিএনপি বিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেনেএমন মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে কোনো ইস্যুতে ধর্ম ও শহীদদের টেনে এনে দু-একটি রাজনৈতিক দল সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। এক সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দু-একটি রাজনৈতিক দল শহীদদের রক্ত ও ধর্মকে টেনে নিয়ে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দু-একটি রাজনৈতিক দলের কথা শুনে পেন্ডুলামের মতো দুলছে। পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ এটি।
সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ডিসেম্বর নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, কোনো এক রাজনৈতিক দলের নেতা বলছেন শহীদদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করা যাবে না। তারা একাত্তরের শহীদদের কথা কি ভুলে গেছেন? ৮৬ সালের নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন? আসলে তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চান। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে তো প্রচণ্ড খরতাপ থাকে, ঝড় বৃষ্টি হয়, এসএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা থাকে, মাদরাসার পরীক্ষা থাকে। সে সময় কেবল রোজার ঈদ শেষ হবে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে রমজানে প্রচারণা চালাতে হবে। রোজা রেখে প্রচারণা চালাবে কীভাবে! মানুষ রোজা রাখবে না নির্বাচনের প্রচারণা করবে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জনগণের আবেগকে ধারণ করলে সরকার বিতর্কিত হবে না। তবে, বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দিতে গেলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে থেকে চামড়া বিক্রেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পেরেছে কি না- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, চাঁদাবাজ-দখলদারদের কেন ধরা হচ্ছে না? সব অন্যায়ের বিপক্ষে বিএনপির অবস্থান।
রাজনীতি

তদন্তে দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তদন্তে দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে, কেউ নির্দোষ হলে কেন সাজা দেব?
সোমবার (৯ জুন) ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। রাস্তাঘাটে দু’একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। দু’একটা চুরি-চামারি হচ্ছে, তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে গেছেন এবং তিনি দেশেও ফিরে এসেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেছেন যে কিছু কিছু মামলা আছে যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারাই (সাংবাদিক) সবসময় বলেছেন যেন নির্দোষরা কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দিন, যদি তদন্তে কেউ দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
ফৌজদারি মামলার তদন্তে দোষী বা অপরাধ মোটামুটি প্রমাণিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্দোষ একজন মানুষকে কেন সাজা দেব?
জাতীয়

নির্বাচন কবে হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
৬ জুন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। ভাষণের শুরুতে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাইকে সালাম জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানান। পরে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে।
আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে। তিনি বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন-এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়-সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব। এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব।
সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।’ তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশগ্রহণ করুক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুক।
জাতীয়

বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে: নাহিদ ইসলাম
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। এনসিপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয় বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই ‘জুলাই সনদ’ জুলাই আন্দোলনের নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করবে। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে-এ প্রেক্ষাপটে এনসিপি সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আশা করছে, ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও ঘোষণার প্রক্রিয়া আর বিলম্বিত না হয়ে যথাযথ আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে-যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পাবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। এনসিপি প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও দল-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবির পুনরুল্লেখ করে-যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনবিশ্বাস ও আস্থা পুনঃস্থাপন করবে। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরবর্তীতে একটি গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা জানান, যাতে সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপি প্রতিনিধি দলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ (নন-ইন্টারফেয়ারেন্স) নীতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ। দুই পক্ষই পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মানজনক সংলাপ এবং কৌশলগত সহযোগিতার ভিত্তিতে গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
চীনা দূতাবাসের উষ্ণ আতিথেয়তা ও মুক্ত মনোভাব নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
রাজনীতি

নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: ঈদুল আযহা উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে গাবতলী হাট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন। ঈদে মানুষ বাড়ি চলে যাচ্ছে, ঢাকার নিরাপত্তা কেমন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ উপলক্ষে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেই যাচ্ছে। তারা কিন্তু বাড়ি যাচ্ছে না। অতএব, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশা করি ভালো থাকবে। আমাদের সব বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় আছে। নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় গতবারের চেয়ে এবার একটু দাম কম। বাজারে পর্যাপ্ত গরু আছে, যারা গরু কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা স্বস্তির খবর, যে কেউ যে কোনো সময় এসে নিরাপদে গরু কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। বড় গরু কিনতে মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে তো দুর্নীতির টাকায় পকেট ভরা ছিল। এখন আর দুর্নীতির টাকা নেই। এজন্য বড় গরু কিনতে পারছেন না। যাদের কাছে টাকা ছিল, ব্ল্যাক মানি ছিল, তারাই তো বড় বড় গরু কিনতো। কিন্তু সৎ পথে যারা আয় করে, তাদের মধ্যেও বহু লোক আছে বড় গরু কিনবে। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে ঘুরে আমি যে নিরাপত্তা দেখলাম, আমার কাছে পর্যাপ্ত এবং ভালোই মনে হয়েছে। আপনাদের কি মনে হয়, এই নিরাপত্তা পর্যাপ্ত এবং যথেষ্ট? কল্যাণপুর থেকে গাবতলী এতটুকু সড়কের মধ্যেই বেশি যানজট, সমাধানের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ এতোটুকু জায়গার মধ্যে যানজটটা একটু বেশি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জাতীয়

২৪ ঘণ্টায় পৌনে ৩ কোটি টাকার টোল আদায় যমুনা সেতুতে
নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা। বুধবার (৪ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত সোমবার (২ জুন) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এ সেতু দিয়ে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৫৬৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা।
জাতীয়

গুমসংক্রান্ত প্রতিবেদন বই আকারে প্রকাশ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন গুম কমিশন। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বেশ কিছু কথা বলেন। তিনি বললেন, গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে দেওয়ার পাশাপাশি বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।
গুম কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন, আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও যোগ করে বলেন, “কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ভদ্রলোকেরা, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।”
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
জাতীয়

ভুল সংবাদ পরিবেশন করলেই ব্যবস্থা নেবে সরকার: উপ-প্রেস সচিব
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বুধবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন,
“যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন, যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
আজাদ মজুমদার আরও যোগ করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের খেতাব সংক্রান্ত খবরটি ভুয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যেসব গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছেন, আমরা আশা করব তারা তাদের ভুলটা সংশোধন করবেন। যেখানে তারা ভুল সংবাদটি ছাপিয়েছেন, ঠিক একই জায়গায় তারা সংশোধনী ছেপে পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”
‘আমরা সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই। কিন্তু কাউকে এরকম কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয়নি যে, তিনি চাইলেই একটি ভুল সংবাদ প্রচার করবেন’-যোগ করেন উপ-প্রেস সচিব।
“যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন, যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
জাতীয়

রাজশাহীতে ৯ জনের করোনা শনাক্ত, অধিকাংশই চিকিৎসক
রাজশাহী প্রতিনিধি:
দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহীতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে। ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই চিকিৎসক। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নয়জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, কয়েক দিন ধরেই নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে।
সোমবার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাঁদের মধ্যে ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সম্ভবত সাতজন চিকিৎসক। সবাই হালকা উপসর্গে ভুগছেন, কিন্তু শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষকেরাই পরীক্ষাগুলো করছেন। অধ্যক্ষ আরও বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
তবে করোনা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে বয়স্ক ও ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য। তাই সতর্ক থাকা জরুরী। অন্তত ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত পরীক্ষা করানো উচিত। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে নমুনা জমা দিয়ে পরীক্ষাটি করা যায়। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক এবং পরীক্ষার জন্য সরকারি ফি ১০০ টাকা নির্ধারিত। দুপুরের মধ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে। অনেকের পজিটিভ আসলেও শরীরের অবস্থা ভালো থাকায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হননি। ভর্তি থাকা রোগীর চিকিৎসা যথাযথ প্রক্রিয়ায় চলেছে।
দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহীতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে। ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই চিকিৎসক। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন।
জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার ঐকমত্য বৈঠক আজ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত কমিশনের সঙ্গে আজ বসছে ২য় সভায় বসবে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে ঐকমত কমিশনের প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সোমবার (আজ) বিকাল সাড়ে চারটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বসবে বৈঠকটি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সংলাপের সূচনা করবেন এবং আলোচনা চলমান থাকবে। ঈদুল আজহার আগে এবং পরে আরও কিছু বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম দফার আলোচনা শেষ হয় ১৯ মে। প্রথম দফায় কমিশনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে আজ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়। সেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত কমিশনের সঙ্গে আজ বসছে ২য় সভায় বসবে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে ঐকমত কমিশনের প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সোমবার (আজ) বিকাল সাড়ে চারটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বসবে বৈঠকটি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সংলাপের সূচনা করবেন এবং আলোচনা চলমান থাকবে। ঈদুল আজহার আগে এবং পরে আরও কিছু বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
জাতীয়

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ে ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের ফাঁসির রায় বহাল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল এবং ৬ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আসামিদের ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রায়ের মূল অংশ পাঠ করে শোনান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারল শামীমা দিপ্তী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও লাবনী আক্তার। আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিরা হলেন:- টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
গত ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে ২৩ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্রের শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল এবং ৬ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আসামিদের ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
আলোচিত খবর

আইন বা সংবিধান পরিবর্তন করেই গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় -দায়রা'র অংশীজন সংলাপে বক্তারা
খোন্দকার এরফান আলী বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি:
৩১মে বিকেলে ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালেটিকস (দায়রা) এর উদ্যোগে রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রা ও প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়: ভবিষ্যৎ কোন দিকে?” - শীর্ষক এক অংশীজন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপটিতে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রুপান্তরের সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল কাঠামো ব্যবস্থার সম্পর্ক তুলে ধরা হয়। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দমনমূলক শাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রতিষ্ঠানগত দুর্বলতার মূল কারণ ও এর ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে এ সকল প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দ্বারা কীভাবে জবাবদিহিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব বিষয়ও উঠে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ধারণাপত্র পাঠ করেন লন্ডনের SOAS ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুশতাক এইচ. খান। কীভাবে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বাংলাদেশে স্বৈরাচার, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ভেঙে পড়েছে, সে বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেবল আইন বা সংবিধান পরিবর্তন করেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, এর জন্য দরকার ক্ষমতার সুষম বণ্টন। তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলন, তরুণ উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নাগরিক সমাজের মতো নতুন শক্তিকে সংগঠিত করে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যারা নিজেদের স্বার্থে নীতিগত পরিবর্তনের দাবি জানাবে এবং তা বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখবে।

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কেমন হওয়া উচিত? যেসব প্রতিষ্ঠান অতীতে জনস্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নতুন সাংগঠনিক শক্তি কীভাবে গড়ে তোলা যায়? সংলাপটিতে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন বক্তারা।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিয়ে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফল হক।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) -এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ মন্তব্য করেন, “আমরা যদি আর রক্তপাত না চাই তাহলে আমাদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতেই হবে, সংস্কার ব্যতীত আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না”।
এ সময়ে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন হক অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নারী ও তৃণমূল মানুষের অধিকারের উপর জোর দেয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা মানবিক রাষ্ট্র চাই। যেই রাষ্ট্র সবার কথা ভাববে”।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা জাতি হিসেবে আমাদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম এবং অর্জনকে মনে রেখে আমাদের গণতন্ত্রের পথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে তৈরি হবে? এ প্রশ্ন তোলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) -এর মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, “আমাদের সংস্কারের উদ্যোগগুলো সব জায়গা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, যা প্রচন্ড হতাশার”।
জনমানুষকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসের ভারসাম্য আনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন ব্রাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুবাইয়া মোর্শেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) -এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জিনা তাসরিন বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সকল প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেন, “পাঁচই আগস্টের পরে বিপ্লব শেষ হয়ে যায় নি। বিপ্লব চলমান প্রক্রিয়া। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখতে বিপ্লব জারি রাখতে হবে”।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন এর অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান। দায়রার পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পলিসি অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
অংশীজন সংলাপটিতে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভীর সোবহান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদাব মুবতাসিম প্রান্তিক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি মুনিম মুবাসশির প্রমুখ।


গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে তৈরি হবে? এ প্রশ্ন তোলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) -এর মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, “আমাদের সংস্কারের উদ্যোগগুলো সব জায়গা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, যা প্রচন্ড হতাশার”।
জনমানুষকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসের ভারসাম্য আনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন ব্রাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেন, “পাঁচই আগস্টের পরে বিপ্লব শেষ হয়ে যায় নি। বিপ্লব চলমান প্রক্রিয়া। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখতে বিপ্লব জারি রাখতে হবে”।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন এর অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান। দায়রার পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পলিসি অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
অংশীজন সংলাপটিতে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভীর সোবহান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদাব মুবতাসিম প্রান্তিক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি মুনিম মুবাসশির প্রমুখ।
জাতীয়

আমরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বললেন,
“আমরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত কোনো কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তাই, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশকে সঠিকভাবে, সঠিক জায়গায়, খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের চিন্তায় গড়তে হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে স্পিড থাকতে হবে। স্পিড চলে গেলে হবে না। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে হবে। এখন মানুষের যে প্রত্যাশা, ছোটখাটো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকলে ওরা পিছিয়ে পড়বে। যারা এসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকবে, তারা আগাতে পারবে না, পিছিয়ে যাবে। সামনের বড় চিত্র দেখতে হবে।”
আমীর খসরু মাহমুদ আরও যোগ করে বলেন,
“দেশের সমস্যার কথা বারবার বাইরে গিয়ে বলে লাভ নেই, এখানেই বলতে হবে, এখানেই সমাধান। সব সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের জনগণ। দিন শেষে সংস্কার, বিচার যত কিছু বলেন, সমাধান বাংলাদেশের মানুষ। সমাধান দেওয়ার দ্বিতীয় কোনো অস্ত্র নেই। একটাই মাত্র অস্ত্র বাংলাদেশের জনগণ।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বললেন,
“আমরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত কোনো কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তাই, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন।”
“দেশের সমস্যার কথা বারবার বাইরে গিয়ে বলে লাভ নেই, এখানেই বলতে হবে, এখানেই সমাধান। সব সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের জনগণ। দিন শেষে সংস্কার, বিচার যত কিছু বলেন, সমাধান বাংলাদেশের মানুষ। সমাধান দেওয়ার দ্বিতীয় কোনো অস্ত্র নেই। একটাই মাত্র অস্ত্র বাংলাদেশের জনগণ।”
রাজনীতি

সরকার জাতীয় পার্টিকে হিসেবই করছে না: জিএম কাদের
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, দেশের সব জায়গায় আমাদের ভোট আছে, সব সময় আমরা সংসদে ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বর্ণবাদের মতো আচরণ করে রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার জাতীয় পার্টিকে হিসেব করছে না বলে মন্তব্য করেছে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
২৯ মে, বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।এর আগে অনির্ধারিত দিনের জন্য রংপুর সফরে তিনি বাসভবনে এসে পৌছান। এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন লেবুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, ইন্টিরিম সরকার আমাদেরকে হিসাবের মধ্যেই আনছেন না। আমরা একটা রেজিষ্টার্ড পাটি। সব সময় আমাদের পার্লামেনেট একটা রি প্রেজেনটেশন আছে। দেশের সব জায়গায় আমাদের ভোট আছে। সমস্ত দেশ ব্যাপি আমাদের সংগঠন আছে। সেখানে উনি (প্রধান উপদেস্টা) আমাদের রিকগনাইজড করতে চাচ্ছেন না।’
জিএম কাদের বলেন, ‘কাজেই আমি বলছি যে বর্ণবাদি নীতি যা সাউথ আফ্রিকায় ব্লাকদের ওপর করা হয়েছিল। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্লাকদেরকে তারা রাজনৈতিকবাবে কোনঠাসা করেছিল। রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্ছিত করা হয়েছিল। আমাদের (জাতীয় পার্টিকে) সাথেও এখন একই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জিএম কাদের অভিযোগ করেন, ‘প্রেসে (গণমাধ্যমে) পর্যন্ত । গণমাধ্যমেও আমাদের কোন কাভারেজ দেয়া হয় না। যারা দিতে চায় তাদেরকে নানাভাবে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘এসব কারণে আমরা মনে করি এসরকার নিবর্তন মূলক আইন করছে। বিভিন্ন ধরণের অত্যাচারমূলক কাজ করছে। এটার উদ্দেশ্য হলো তারা যাদেরকে বৈষম্যের শিকার করতে চায়, বর্ণবাদের শিকার করতে চায়। যার শিকার হচ্ছি আমরা।
জাতীয় পার্টি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, দেশের সব জায়গায় আমাদের ভোট আছে, সব সময় আমরা সংসদে ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বর্ণবাদের মতো আচরণ করে রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার জাতীয় পার্টিকে হিসেব করছে না বলে মন্তব্য করেছে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।