রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

Logo
Logo

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে   বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাটারা থানা ডি,এম,পি মামলা নং-২৬  গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাঁদের ঢাকা  চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। তার গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ  ও আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে।
 

আমেরিকা থেকে আরো ১১৬ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার রাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিমানটি ভারতের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস জি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

 

এবার অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশের ৬৫ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর এটা দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগেও শতাধিক ভারতীয়কে অপরাধীদের মতো হাত কড়া পরিয়ে বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে মাত্র দুই দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এবারের ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটল। প্রশ্ন উঠেছে- তবে কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফর ব্যর্থ হলো?

 

আগে থেকেই খবর ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ মডেলের গ্লোবমাস্টার নামের বিমানে করে ১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু পরে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ১১৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এসব অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন করে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের। একজন করে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের।

 

ফেরত পাঠানো অবৈধ অভিবাসীদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর কোটায়। ভারতে ফেরত আসা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অনেকের পরিবারই বিমানবন্দরে ভিড় জমায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিবাসীদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠায়। সে সময় সবাইকে হাতকড়া পরিয়ে বিমানে তোলা হয়। একটি সি-১৭ মডেলের কার্গো বিমানে করেই ৪০ ঘণ্টার জার্নি শেষে তাদের অমৃতসরের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। বিষয়টিকে অমানবিক বলে শোরগোল তোলে ভারত।#

 

মাছুদুর রহমান মিলন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: 
সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান ও সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটনকে সংবর্ধনা দিল দেশবাসী। আজ সকাল নয়টার সময় সাউথ আফ্রিকা থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ।

 

এসময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার কর্মী-সমর্থকদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন দুই নেতা। পরে দোয়ার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। 

 

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান বলেন, বিএনপি সকল কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। নির্বাচনের পূর্বে কোন ধরনের চক্রান্ত যেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা আর না করতে পারে।

 

সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, পাঁচ আগষ্টের পর আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল ও কথা বলতে পারছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।ফ্যাসিস্ট হাসিনার সকল যড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। 

 

এ সময় প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সে দেশের সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার শাসনামলের অলিগার্ক ব্যবসায়ী, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে। যার একটি অংশ কানাডায় পাচার হয়েছে, বিশেষ করে টরন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়া এলাকায় সম্পদ কেনার মাধ্যমে

তিনি কানাডায় পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত, জব্দ এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা চান।

 

কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা আমাদের জনগণের টাকা চুরি করে বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে। আমরা এই সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনাদের সহায়তা চাই। এটি আমাদের জনগণের সম্পদ।

 

কানাডার হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার এ উদ্যোগে কানাডা সরকার সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

 

কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডার সরকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ জব্দ এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে।

 

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।

 

রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে অজিত সিং বলেন, আপনারা যে মহৎ কাজ করছেন, আমরা তা সমর্থন করি। ইতোমধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা জানতে আগ্রহী, আরও কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।

 

তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে কানাডার একজন মন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

 

অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।

 

কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আপনাদের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং আমরা চাই কানাডীয় কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।

 

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে। তাই ঢাকায় কানাডার একটি ভিসা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন।

 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।#

আলোচিত খবর

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে   বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাটারা থানা ডি,এম,পি মামলা নং-২৬  গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাঁদের ঢাকা  চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। তার গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ  ও আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে।
 

আমেরিকা থেকে আরো ১১৬ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার রাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিমানটি ভারতের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস জি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

 

এবার অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশের ৬৫ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর এটা দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগেও শতাধিক ভারতীয়কে অপরাধীদের মতো হাত কড়া পরিয়ে বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে মাত্র দুই দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এবারের ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটল। প্রশ্ন উঠেছে- তবে কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফর ব্যর্থ হলো?

 

আগে থেকেই খবর ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ মডেলের গ্লোবমাস্টার নামের বিমানে করে ১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু পরে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ১১৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এসব অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন করে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের। একজন করে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের।

 

ফেরত পাঠানো অবৈধ অভিবাসীদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর কোটায়। ভারতে ফেরত আসা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অনেকের পরিবারই বিমানবন্দরে ভিড় জমায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিবাসীদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠায়। সে সময় সবাইকে হাতকড়া পরিয়ে বিমানে তোলা হয়। একটি সি-১৭ মডেলের কার্গো বিমানে করেই ৪০ ঘণ্টার জার্নি শেষে তাদের অমৃতসরের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। বিষয়টিকে অমানবিক বলে শোরগোল তোলে ভারত।#

 

বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের (ছায়া রাষ্ট্র) কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

 

ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভি-তে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতীয় এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করছেন। ওই সাংবাদিক বলেছেন, "আপনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশ ইস্যুতে কী বলবেন। আমরা দেখেছি এবং এটা স্পষ্ট যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসও (প্রধান উপদেষ্টা ড.  মুহাম্মদ ইউনূস) জুনিয়র সরোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?"

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, "সেখানে (বাংলাদেশে) আমাদের “ডিপ স্টেটের” কোনো ভূমিকা ছিল না...এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে (বলার ভার) আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব।"

 

ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন।

 

পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে—‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব’—ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব...দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।"

 

ডিপ স্টেট বা ছায়া রাষ্ট্র বলতে সাধারণত অনির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাইভেট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে, যারা বেআইনিভাবে সরকারি নীতিতে প্রভাব বিস্তার ও তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।

 

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেছেন মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।

 

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সীমান্তবেড়া নির্মাণ ইস্যুতে একাধিকবার কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে, যাতে ভারত এখনো সাড়া দেয়নি।#

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষকরে মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’-এর নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ১,১৬৫টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

 

এসব বিদ্বেষমূলক ঘটনার ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশই ঘটেছে দেশটির মুসলিমদের বিরুদ্ধে। হয় সরাসরি মুসলিমদের নিয়ে, নয়ত মুসলিম ও খ্রিস্টান মিলিয়েও বিদ্বেষমূলক কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে।

 

'ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’ ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর একটি প্রকল্প। তাদের প্রতিবেদনে ভারতে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর মিত্রদের শাসিত রাজ্যগুলোতে ঘৃণা বক্তব্য বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

 

জাতিসংঘের মতে, যেকোনও ধরণের যোগাযোগ, বক্তৃতা, লেখা বা আচরণের মাধ্যমে যদি কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ধর্ম, জাতীয়তা, বর্ণ, বংশ, লিঙ্গ বা পরিচয়কে অবমাননা করা হয়, তবে তা ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

 

ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে রেকর্ড করা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশই (৯৩১টি) বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ঘটেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।

 

অন্যদিকে, ভারতে বিরোধীদল শাসিত রাজ্যগুলোতে ২০২৪ সালে ঘৃণামূলক বক্তব্যের মাত্র ২০ শতাংশ ঘটতে দেখা গেছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। মোট ঘটনার প্রায় অর্ধেকই বিজেপি-শাসিত এই তিন রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে।

 

প্রতিবেদন বলছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনাগুলোর ৩২ শতাংশই ঘটেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। এসব ঘটনার মধ্যে অন্তত ২৫৯টি ঘটনা সরাসরি সহিংসতা উস্কে দেওয়ার মতো ছিল বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বক্তব্যের প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রবণতা খুবই উদ্বেগজনক। এসব ঘৃণাত্মক বক্তব্য এখন আর শুধু সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের হাতিয়ার নেই, বরং ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্বাচনী প্রচারের অত্যাবশ্যক অংশ হয়ে উঠেছে।

 

প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে তাদেরও সমালোচনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্মগুলো ঘৃণা বক্তব্য বাড়াতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৯৫টি বিদ্বেষমূলক ভিডিও বক্তব্য প্রথমে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম বা এক্স-এ শেয়ার বা লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছে। অথচ এই ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীতিমালা লঙ্ঘন করার পরও এসব ভিডিও সরানো হয়নি।

 

'সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, মোদী সরকারের ধর্মীয় পরিচয়ের রাজনীতিকরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিরোধী দলগুলোর নেতারাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রকাশ্য নিন্দা করতে পিছিয়ে যাচ্ছেন।

 

ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যাপী ঘৃণ্য বক্তব্যের ঘটনা ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও কর্ণাটকে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, ২০২৪ সালে ৩২ টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছর ৪০ টি ছিল। এর মধ্যে ছয়টি ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়।

 

২০২৩ সালের মে মাসে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যটি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসন করত। নতুন প্রশাসন এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে, যা ঘৃণা বক্তব্যের ঘটনা হ্রাসে অবদান রেখেছে।#

Site Counter

Online

1

Today

61

Total

7k

স্টাফ রিপোর্টার:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী জব্দ করে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর । 

 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নাবিল এন্টারপ্রাইজ ৫০ হাজার টাকা এবং মাহির এন্টারপ্রাইজকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ঘাটাইল উপজেলায় ঘাটাইল বাজারে অভিযান পরিচালনা করে দুটি ডিলারকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও এই দুটি ডিলারের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন সামনের রমজানের ঈদকে সামনে নিয়ে এ সমস্ত নকল প্রসাধনী বাজারের ছয়লাব করার চিন্তা ভাবনা করছে এই ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে কোন সুবিধা নিতে যাতে না পারে এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাহানারা আক্তার, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু জুবায়ের উজ্জ্বলসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন অভিষেক শর্মা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ১৩৫ রানের ইনিংসে চড়ে ভারত তোলে ২৪৭ রানের পুঁজি। জবাবে ইংল্যান্ড অভিষেকের সমান রানটাও তুলতে পারেনি, গুঁটিয়ে গেছে মাত্র ৯৭ রানে। 

 

সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের রাজসিক জয় পেয়েছে ভারত। সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। 

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করতেই যেন এসেছেন অভিষেক শর্মা। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংসে ভারতের ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেই ফেলেছেন অভিষেক। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৪ বলে ১৩৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। ৩৭ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান তুলেছেন ভিডিও গেমসের মত ব্যাটিংয়ে। ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন অভিষেক। 

 

একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান তুলেছেন রকেটের গতিতে। মনে হচ্ছিল যেন ভিডিও গেমসের মত ব্যাটিং চলছে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৯৫ রান তুলেছে ভারত, যার সিংহভাগ এসেছে অভিষেকের ব্যাট থেকে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন অভিষেক। পাওয়ারপ্লে শেষেও ছুটেছে অভিষেকের উইলো। মারকাটারী ব্যাটিংয়ে ইংলিশ বোলারদের কচুকাটা করেছেন অভিষেক শর্মা। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে ১১তম ওভারেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন অভিষেক। মাত্র ৩৭ বলে শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পরেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন অভিষেক। ৫৪ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে থেমেছেন অভিষেক শর্মা। বাকিদের মধ্যে ১৩ বলে ৩০ রান করেন শিভাম দুবে। ১৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিলক ভার্মা। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ভারত। অভিষেকের ১৩৫ রান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। 

 

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা শুবমান গিলের অপরাজিত ১২৬ ছিল সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ব্রাইডন কার্স। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন আদিল রশিদ, জেমি ওভারটন এবং জফরা আর্চার। জবাব দিতে নেমে শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়েছেন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। দলের ২৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ডাকেট। তিনে নামা অধিনায়ক জস বাটলার ৭ বলে করেছেন ৭ রান। চারে নেমে হ্যারি ব্রুকও সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ব্রুক। সল্ট এক প্রান্তে চালিয়ে গেছেন তাণ্ডব। 

 

পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। লিয়াম লিভিংস্টোন আউট হয়েছেন ৫ বলে ৯ রান করে। সল্ট পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দলের ৮২ রানের মাথায় থেমেছেন সল্ট। ২৩ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ফিল সল্ট। সেট ব্যাটার সল্টের উইকেট হারানোর পর যেন শনির দশা লাগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। 

 

একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন জ্যাকব বেথেল, ৭ বলে ১০ রান করেন তিনি। পুরো ইনিংসে সল্ট এবং বেথেল বাদে কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। শেষ ১৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারত তুলে নেয় ১৫০ রানের রাজকীয় জয়। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট শিকার করেন বরুণ চক্রবর্তী, শিভাম দুবে এবং অভিষেক শর্মা। ১ উইকেট তুলেছেন রবি বিষ্ণই।
 

সাউথ আফ্রিকা বিএনপির নেতা আজম ও লিটন পেলেন সংবর্ধনা

মাছুদুর রহমান মিলন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: 
সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান ও সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটনকে সংবর্ধনা দিল দেশবাসী। আজ সকাল নয়টার সময় সাউথ আফ্রিকা থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ।

 

এসময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার কর্মী-সমর্থকদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন দুই নেতা। পরে দোয়ার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। 

 

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম খান বলেন, বিএনপি সকল কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। নির্বাচনের পূর্বে কোন ধরনের চক্রান্ত যেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা আর না করতে পারে।

 

সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, পাঁচ আগষ্টের পর আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল ও কথা বলতে পারছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।ফ্যাসিস্ট হাসিনার সকল যড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। 

 

এ সময় প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্বহালের দাবি

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ ফের মুদ্রিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাসের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে ইসরাইল থেকে অবৈধভাবে কেনা আড়িপাতা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ এর ব্যবহার বন্ধেও সরকারকে ঘোষণা দিতে বলা হয়েছে।

 

আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

 

দলটির রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি গাজা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এখন গাজাকে দখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হবে। এর অংশ হিসেবে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'এক্সসেপ্ট ইসরাইল' পুনর্বহাল করে বার্তা দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, গাজাকে দখল করতে সেখানকার ফিলিস্তিনি জনগণকে মিশর, জর্ডান ও সৌদি আরবে বিতাড়নের কথা বলা হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে গাজাবাসীকে জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ। সমগ্র বিশ্ববাসীকে আমেরিকা ও ইসরায়েলের এ জাতিগত নিধন পরিকল্পনা রুখে দিতে হবে।

 

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, আমরা এক নিষ্ঠুর-নির্দয় ভারতীয় দালাল শেখ হাসিনার অধীনে ছিলাম, তার পতনের আগ পর্যন্ত এখানকার মুসলমানরা মুখ ফুটে কথা বলতে ভয় পেত। মানুষ দাড়ি টুপি নিয়ে বাইরে যেতে ভয় পেত, মসজিদে যেতে চিন্তা করত আমাকে জঙ্গি বলে কি না। সেই ভয় এখন কেটে গেছে।


তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমাদের পাসপোর্টের `এক্সেপ্ট ইসরায়েল' লেখা এখনো পুনর্বহাল হয়নি। শেখ হাসিনা ভারত ও ইসরায়েলের দালাল ছিল বলে পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরায়েল অর্থাৎ ইসরায়েল ভ্রমণ নিষিদ্ধ কথাটা তুলে দিয়েছিল।

 

মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, পৃথিবীর মধ্যে শক্তিশালী একজন মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা আশায় বুক বেঁধেছি, আমরা শেখ হাসিনার সেই দুর্বৃত্ত, ভারতীয় আধিপত্যবাদের শাসন থেকে মুক্ত হব এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের হারানো গৌরব, হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। এখন পর্যন্ত আমরা পাসপোর্টে এক্সেপ্ট ইসরায়েল ফেরত পাইনি, আমার পাসপোর্ট সংশোধন হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগাসাস কিনেছিল। এখনো পর্যন্ত এটি বন্ধ হওয়ার কোনো ঘোষণা আসেনি। আমরা জানি না এখনো আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ কি না কিংবা শেখ হাসিনার ছেলে জয় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে যে ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে তার কি হলো। জায়নবাদী ইহুদিরা যেকোনো সময় এসব তথ্য ব্যবহার করে আমাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানাতে হবে এসব তথ্যের ব্যাপারে তিনি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

 

এসময় দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে আরব-আমেরিকান ভোটারদের বলেছিলেন তাকে নির্বাচিত করলে তিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর এখন ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দিয়ে গাজা দখল করার নীলনকশা করেছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানো যাবে না। তারা সেখানেই থাকবেন এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে ইনশাআল্লাহ।

 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব আবদুস সালাম ও সৌরভ শাকিল, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌহিদ তপু, ওয়াসিম আহমেদ, রাজু আহমেদ ও নাহিদ রানা, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার ও নেছার আহমেদ তুহিন, সহকারী সদস্য সচিব এস এম রাফসানযানি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইসতিয়াক আহমেদ ইফাত ও সিহাব-উল হক প্রমুখ।#  

'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দিল্লির বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত'

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

 

৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।

 

বাঙালি পরিচয় ও গৌরবকে লালন করা স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত।  

 

জয়সওয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ওই বিবৃতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই মন্তব্য অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশ একই প্রত্যাশা করে। #
 

নতুন কালেকশন নিয়ে কে ক্র্যাফট

বৈচিত্র্যময় পোশাকের বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে কে ক্র্যাফট। তাই সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বা উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ক্যাজুয়াল কিংবা এক্সক্লুসিভ সবই মিলবে এবারের আয়োজন থেকে। এছাড়া লম্বা ছুটিতে যেখানেই যান তার জন্য প্রয়োজন স্টাইলিশ কিন্তু রিলাক্সড পোশাক। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমনি সব পোশাক থাকবে এবারের আয়োজনে। 

 
মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ এবং কুর্তিতে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপ ছাড়াও স্ট্রেইট কাট, রাফল, প্লিটেড, বক্স প্লিটেড স্টাইল থাকবে। নিজস্ব ডিজাইনের শাড়িতে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি  কাড়বে। ছেলেদের জন্য রয়েছে পছন্দের ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি। এছাড়াও পাওয়া যাবে স্মার্ট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া। কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে ঈদ আয়োজন এর পোশাক পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এছাড়াও অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকেও । 

আত্মরক্ষায় মেয়েদের উদ্যোগ

শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের নিয়ে সামাজিকভাবে এক প্রকার অবহেলা, উদাসীনতা প্রত্যক্ষ করা যায়। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তো অনেকখানিই। আত্মরক্ষা করার সুষম সক্ষমতা মেয়েদের কিছুটা পিছিয়ে রাখে এটাই সমাজ সংস্কারের নিয়ম। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি। কিন্তু যুগের পরিবর্তন, নতুন সময়ের আবেদনে নারীদের সদর্পে এগিয়ে চলা বর্তমানে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ। এখনো শারীরিক শক্তিময়তায় নারী খেলোয়াড়দের অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করা নজরে আসতে সময় লাগছে না।

সেটাও কম কিছু নয়। কঠিন কর্মযোগে সম্পৃক্ত হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ, সবল শারীরিক সক্ষমতা। ক্রমান্বয়ে তা পারদর্শিতায় রূপ নিতে দেরি হয় না। যা সমতাভিত্তিক সমাজ-বিনির্মাণের নির্ণায়ক। সম্প্রতি এক খবরে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতির ওপর চমকপ্রদ ঘটনা নজরকাড়ার মতো, পরনির্ভরশীলতা, দুর্বলতা, আর কিছুটা অক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া মেয়েরা নিজ উদ্যোগে তাদের সবল করার প্রত্যয়ে ব্রতি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানকার মেয়েরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে।

 

সত্যি এক অসাধারণ কর্ম সাধনা। ‘সবলা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনÑ নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকারÑ হে বিধাতা, সেটার জন্য অনেক অপেক্ষার পালা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটাও যখন হাতের নাগালে তাই যেন সই। সংখ্যায় কম হলেও সামনে আরও বাড়বে। অসাম্য বৈষম্যের বন্ধনজালে আবদ্ধ নারীরা চিরায়ত অপসংস্কারেও আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এক সময় খেলাধুলায় তাদের অংশীদারিত্বও ছিল নগণ্য। যুগের হাওয়ায় তা ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে যে মাত্রায় প্রমাণ করে যাচ্ছে সেটা নারী জাতির অবিস্মরণীয় বিজয়।

 

কর্মজীবী নারীরা এখন ক্ষুদ্র পরিবার সামলিয়ে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনায় পেশাগত কর্মযোগকেও অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে। ভীরু নারীরা আজ সময়ের দুরন্ত আহ্বানে দুঃসাহসিক হয়ে উঠতেও যেন মরিয়া। স্বাবলম্বী হওয়া থেকে আরম্ভ করে শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করা সবই যেন অপার মহিমার সঙ্গে অসম পারদর্শিতাকেও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। 
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নারীরা আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর এক চমকপ্রদ ঘটনা সমসংখ্যককে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করা। আপন দক্ষতা আর শক্তিময়তায় আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘শাওলিন কুংফুং অ্যান্ড উন্ড একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ টাইগার মার্শাল আর্ট’, ‘শাওলিন উন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে তিনটি নারী আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো কঠিন কাজের সামনে কাঁপন ওঠার মতো দুঃসময় নারীকে এখন আর সেভাবে তাড়া করে না।

তা ছাড়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা ইউনিসেফের কার্যক্রমে শিশু-কিশোর সেলফ ডিফেন্স ক্লাব, মহিলা অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ আরও কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে জোরালো করা হচ্ছে। আনোয়ারার এমন চমৎকার পরিবেশে ছেলেমেয়ে উভয়ই পাশাপাশি অবস্থান করে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াও সমতাভিত্তিক সুস্থ পরিবেশকে স্বাগত জানানো। ছেলেময়ের সমান অংশগ্রহণে পোশাক-পরিচ্ছেদেও কোনো বিভেদ নেই। এক রকম পোশাক পরে মানুষের মর্যাদায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও উদীয়মান প্রজন্ম তা আগামীর বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনতার আদলে নতুন মোড়কে উন্মোচন তো করবেই।

এ ছাড়াও আছে এনজিও সংস্থার নানামাত্রিক প্রকল্প, যা ছেলেমেয়েকে সমান বিবেচনায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়ত সমতাভিত্তিক কর্মযোগ নিরন্তর করেই যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা পারদর্শী  আর শারীরিক সক্ষমতায় নিজেদের তৈরি করে যাচ্ছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায়ের শুভ সূচনা তো বটেই। তবে মেয়েদের শাশ্বত কর্মযোগকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যেমন সেলাই, বিউটিশিয়ান হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করতেও মেয়েরা এগিয়ে থাকছে।

নারী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসেরও কোনো ঘাটতি নেই। পরম আনন্দে, স্বইচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নিজেদের যাত্রাকে সাবলীল আর অবারিত করে যাচ্ছে। তাদের আলাপচারিতায় আরও প্রত্যক্ষ হয় ঘর থেকে বাইরে যেতে গেলে পিতা-মাতা-অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নির্বিঘেœ, নিরাপদে যাওয়া-আসা করা যাবে তো? পথে-প্রান্তরে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই তো? তাই নিজের নিরাপত্তায় শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়াও জরুরি। সঙ্গত কারণে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও সময়ের ন্যায্যতা দাবি করে। তার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেদের উৎপীড়ন, উৎপাত বহু সময় ধরে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার পালাক্রম।

সেখানে নিজেদের সুরক্ষায় প্রতিপক্ষকে থামাতে আত্মশক্তির বিকল্প অন্য কিছু নয়। এটা শুধু চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তরে এমন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে সারাদেশের মেয়েদের রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে-আসতে কোনো বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হলে প্রতিরোধ করার শক্তিও যেন অন্তর্নিহিত বোধে জিইয়ে থাকে।

 
 

চায়ের সাথে ভুলেও যে ৪ খাবার খাবেন না

চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এর প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা এবং অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু চা হলে জমে না অনেকের, এর সঙ্গে প্রয়োজন হয় অল্পস্বল্প কিছু খাবার। এরকম খাওয়া যেতেই পারে। তাতে ক্ষতির কিছু নেই। 

দুগ্ধজাত পণ্য

 

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সব পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে দুগ্ধজাত কোনো খাবারই না খেতে। দুগ্ধজাত প্রোটিন চায়ের সূক্ষ্ম গন্ধকে পরিবর্তন করে এবং একে কম উপভোগ্য করে তোলে। যদিও আপনার চায়ে কিছুটা দুধ মেশানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে চায়ের সঙ্গে পনির, দই বা ক্রিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে, যার ফলে একটি তিক্ত বা ধাতব স্বাদ তৈরি হয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা চায়ের সঙ্গে মিলিত হলে পেট খারাপ হতে পারে, যা হজমের অস্বস্তি তৈরি করে। অনেকে চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান, সামান্য লেবুর রসে সমস্যা নেই তবে আস্ত সাইট্রাস ফল চায়ের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

ঝাল খাবার

চায়ের সঙ্গে পাকোড়া, পুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের খাবার চায়ের সূক্ষ্ম স্বাদকে নষ্ট করতে পারে। সেইসঙ্গে ঝাল জাতীয় খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন এবং চায়ে থাকা ট্যানিনের সংমিশ্রণ গ্যাস্ট্রিক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে যেকোনো ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন কাঁচা শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এগুলো চায়ের সঙ্গে খাওয়া হলে তা আয়রনের মতো নির্দিষ্ট খনিজ শোষণে বাধা দিতে পারে। চায়ে অক্সালেট নামক যৌগ রয়েছে, যা খনিজের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং তার শোষণকে বাধা দেয়। তাই চায়ের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় ওটস কতটা কার্যকর?

কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালের খাবার না খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। যদিও এই অভ্যাস ভালো নয়। এর কারণে শরীরে হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজনও বেড়ে যেতে পারে অনেকটা। এ ক্ষেত্রে ওটস হতে পারে মুশকিল আসান। 

রাতেই ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন ওটস। সকালে পাঁচ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর এ খাবার। সময়ও বাঁচবে আর পেটও ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ।

 

 আর কী কী উপকার হবে?

 

» ওটসে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে। এসব উপাদান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

» ওটসের সহজপাচ্য ফাইবার রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সামগ্রিকভাবে হার্ট ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওটস কার্যকর।

» ক্যালোরি কম এবং ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’ থাকায় স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছেও ওটসের কদর রয়েছে। ফাইবারে সমৃদ্ধ এই খাবার খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে।

সতর্কতা- উল্লেখিত তথ্যগুলো পরামর্শস্বরূপ। ওজন কমাতে আরও ভালো ফল পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও নিয়ম মেনে চলুন।

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭