নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে—অন্যথায় জাতি তা মানবে না: মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত র্যালির পূর্বে সমাবেশে বললেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে, অন্যথায় জাতি তা মেনে নেবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশে ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল, কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন সংস্কারের অগ্রদূত। দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।”
উপ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে গঠিত ঐকমত্য থেকে সরে এসে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে এমন অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “তারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়েছে, তাতে আমরা একমত নই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়, তবে এতদিন ধরে চলা আলাপ-আলোচনার অর্থ কী?”
‘উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং নিজেরাই এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছেন যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। কিছু দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’-বলেও অভিযোগ তোলেন বিএনপির এ নেতা।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত র্যালির পূর্বে সমাবেশে বললেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে, অন্যথায় জাতি তা মেনে নেবে না।”
রাজনীতি
কাল থেকে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা, হুঁশিয়ারি বার্তা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
এবার কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মূলত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নিজেদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে তাঁরা এমন আন্দোলনে যাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার শিক্ষকরা সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে মাঠে নামছেন।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এই কর্মসূচির আয়োজন করছে।
শিক্ষকদের ভাষ্য, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। অথচ সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা এই আন্দোলন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের প্রতিনিধি মো. মহিব উল্লাহ শিক্ষকদের এই আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩টি প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে;
১. দশম গ্রেড প্রদান: সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান: ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
৩. শতভাগ পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
এই দাবিগুলো শুধু বেতনের বিষয় নয়, বরং প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশাগত মর্যাদা ও প্রণোদনার বিষয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার চত্বর থেকে সরে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
এবার কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মূলত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নিজেদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে তাঁরা এমন আন্দোলনে যাচ্ছেন।
১. দশম গ্রেড প্রদান: সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান: ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
৩. শতভাগ পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
জাতীয়
বর্ণাঢ্য আয়োজনে টাঙ্গাইলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ৭ নভেম্বর, ২০২৫ টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্ত মঞ্চে মিলিত হয়। এ সময় র্যালীতে অংশগ্রহণকারী সকল নেতাকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপি’র সভাপতি, হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক, ফরহাদ ইকবাল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি এবং স্থানীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ ৭ই নভেম্বর—একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও বিতর্কিত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল এমন এক রাজনৈতিক ঘটনা, যা দেশের ইতিহাসে গভীর ছাপ রেখে গেছে। দিনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” হিসেবে পালন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বর হলো দেশের ইতিহাসে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সেদিন সিপাহি-জনতার ঐক্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। এদিন থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের নতুন অধ্যায়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশ এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে। একের পর এক পরিবর্তন ও সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল ঘটে।
৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যার পর সেনাবাহিনীর ভেতরে অসন্তোষ তীব্র হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটেই ঘটে ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা।
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সেনা সদস্য ও সাধারণ জনগণ মিলে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফকে ক্ষমতাচ্যুত করে। বন্দী অবস্থায় থাকা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়।
এই দিনটি পরবর্তীতে “সিপাহী-জনতার বিপ্লব” হিসেবে খ্যাতি পায়। বিএনপি এ দিনকে জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে দেখে, কারণ এই ঘটনার পর জিয়াউর রহমান দেশের নেতৃত্বে আসেন এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি হন।
ইতিহাসবিদদের মতে, ৭ই নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়। কেউ একে জাতীয় ঐক্যের দিন বলে মনে করেন, আবার কেউ বলেন এটি ছিল সামরিক শক্তির উত্থানের সূচনা।
এই দিনকে ঘিরে আজও নানা বিতর্ক, মতভেদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ চলমান।
দিনটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, র্যা লি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, জাতীয় সংহতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকা কতটা জরুরি। এই দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক জটিল, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয়
সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর, ২০২৫ বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, জামিনের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। মামলাটি করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি সভায় “দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য” প্রদান করেন এবং উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠক শেষে পুলিশ সেখানে উপস্থিত ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করা ‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা রোধ করা। তবে পুলিশের দাবি, এই সংগঠনের কার্যক্রমের আড়ালে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা চলছিল।
এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে লতিফ সিদ্দিকীকে দুই দফা কারাগারে থাকতে হয়। অবশেষে হাইকোর্টের এই আদেশে তার মুক্তির পথ খুলে যায়।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। মামলাটি করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি সভায় “দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য” প্রদান করেন এবং উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠক শেষে পুলিশ সেখানে উপস্থিত ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করা ‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা রোধ করা। তবে পুলিশের দাবি, এই সংগঠনের কার্যক্রমের আড়ালে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা চলছিল।
এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে লতিফ সিদ্দিকীকে দুই দফা কারাগারে থাকতে হয়। অবশেষে হাইকোর্টের এই আদেশে তার মুক্তির পথ খুলে যায়।
জাতীয়
অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কাছে আমি নমিনেশন চেয়েছি। আমি আশাবাদী নমিনেশন পাব।”
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, “আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনও। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি অভিযোগ করেন যে, কোনো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর তিনি যে রায় পরিবর্তন করেছেন, তা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী একটি অপরাধ। কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেয়া হয়েছিল। যে রায় আপিল বিভাগ দেবেন, সেই রায় আগামী প্রজন্ম ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনীতি
নির্বাচন কমিশন হতে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিনটি রাজনৈতিক দল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি।
আজ ৪ নভেম্বর, ২০২৫ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এখন দাবি-আপত্তি চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই গেজেট প্রকাশ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, বুধবার (৫ নভেম্বর) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি বা আপত্তি জানানো যাবে। নির্ধারিত সময় শেষে তা নিষ্পত্তি করে দলগুলোর নিবন্ধন গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনে মোট ১৪৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর ২২টি দলের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে সাতটি দলকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে ইসি জানায়, তারা ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
ইসি সচিব বলেন, “বাংলাদেশ নেজামী ইসলাম পার্টির বিষয়ে একটি রিট মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। আদালতের রায় পাওয়ার পর তাদের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি জানান, তদন্তে দেখা গেছে অনেক দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা নেই। বিশেষ করে জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সিরাজ) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে যাচাই শেষে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইসির নিয়ম অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলকে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় সাংগঠনিক কাঠামো ও অন্তত ১০০টি উপজেলা কমিটি গঠন করতে হয়। প্রতিটি কমিটিতে ন্যূনতম ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া আগের নির্বাচনে সংসদ সদস্য থাকা বা পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়াও নিবন্ধনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি।
জাতীয়
শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে— প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
৩ নভেম্বর, ২০২৫ রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় দেন। পরদিন সোমবার (৪ নভেম্বর) রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জুলাই এক স্মারকে জানায় যে কেবল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ মোট ৪২ জন রিট আবেদন করেন।
এরপর ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করে এবং স্মারকটির কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করে। রুলে আদালত জানতে চেয়েছিলেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি সংক্রান্ত ১৭ জুলাইয়ের সেই স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং কেন ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন। এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর।
শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে— প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
জাতীয়
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া; বগুড়ায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা
এম আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এবার বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩ অক্টোবর, ২০২৫ সোমবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সারাদেশের ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন,
“দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে অংশ নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২৩৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দেবে, সেখানে বিএনপি সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বগুড়ায় বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা
বৈঠকে ঘোষিত বগুড়া জেলার প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী—
বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম
বগুড়া-২: স্থগিত (পরে ঘোষণা করা হবে)
বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার
বগুড়া-৪: মোশাররফ হোসেন
বগুড়া-৫: গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
বগুড়া-৬ (সদর): তারেক রহমান
বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর): বেগম খালেদা জিয়া
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ এবং আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে প্রার্থী হওয়া দলের জন্য প্রতীকী ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এবার বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
“দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে অংশ নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২৩৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।”
বৈঠকে ঘোষিত বগুড়া জেলার প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী—
বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম
বগুড়া-২: স্থগিত (পরে ঘোষণা করা হবে)
বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার
বগুড়া-৪: মোশাররফ হোসেন
বগুড়া-৫: গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
বগুড়া-৬ (সদর): তারেক রহমান
বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর): বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন।
তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তারেক রহমান এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার পর দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন।
তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তারেক রহমান এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার পর দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
রাজনীতি
২৩৭ প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা বিএনপি’র, নেই রুমিন ফারহানার নাম !!!
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)। তবে উল্লেখ্য বিষয় হলো এই তালিকায় নেই দলটির আলোচিত নেত্রী রুমিন ফারহানার নাম। এ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। কেন নেই, এই প্রশ্নটিই যেন সবার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এর উত্তর সহজে মিলবে যখন জনগণ জানবে, রুমিন যে আসন চেয়েছেন সেখানে এখনও কোনো প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয় নি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন।
তথ্য অনুযায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। তবে আসনটিতে আপাতত প্রার্থী হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)। তবে উল্লেখ্য বিষয় হলো এই তালিকায় নেই দলটির আলোচিত নেত্রী রুমিন ফারহানার নাম। এ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। কেন নেই, এই প্রশ্নটিই যেন সবার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এর উত্তর সহজে মিলবে যখন জনগণ জানবে, রুমিন যে আসন চেয়েছেন সেখানে এখনও কোনো প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয় নি।
রাজনীতি
আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে তা বাতিল হতে পারে: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের আওতায় ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে দুর্নীতি প্রমাণ হলে তা বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, চুক্তি চাইলেই বাতিল করা যায় না, কারণ চুক্তির শর্তে এমন কোনো ধারা ছিল কি না তা পর্যালোচনা প্রয়োজন।
২ নভেম্বর, ২০২৫ রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সীমিত, কারণ অনেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই চাকরি ছেড়েছেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, আগের সরকারের সময় প্রণীত দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি আইনটি ‘কালাকানুন’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ২০২৪ সালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই আইনের প্রয়োগ না করার জন্য। তবে আইনের আওতায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চুক্তি যাচাইয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি রবিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
জাতীয় কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বড় ধরনের দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের আদানিসহ যেসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আইনের আওতায় তদন্ত করা হবে।”
এদিকে একই দিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় কমিটি পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়। নতুন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজির সাবেক সিওও আলী আশরাফ, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান এবং সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, নথি পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে। পাশাপাশি এসব চুক্তিতে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কি না তা নিরীক্ষা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দেবে।
অন্যদিকে, একই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের প্রতি আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের দেওয়া একটি উপহার—নৌকার প্রতিকৃতি। শনিবার (১ নভেম্বর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি উপহারটি দেন। বিষয়টি নিয়ে রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে উপদেষ্টা পোস্ট দেন এবং জানান, উপহারটি সরকারি তোশাখানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, “গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে পাওয়া উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে। এজন্য প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষার জন্য উপহারটি গ্রহণ করেছিলেন এবং এতে কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতীকের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের আওতায় ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে দুর্নীতি প্রমাণ হলে তা বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, চুক্তি চাইলেই বাতিল করা যায় না, কারণ চুক্তির শর্তে এমন কোনো ধারা ছিল কি না তা পর্যালোচনা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা আরও জানান, আগের সরকারের সময় প্রণীত দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি আইনটি ‘কালাকানুন’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ২০২৪ সালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই আইনের প্রয়োগ না করার জন্য। তবে আইনের আওতায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চুক্তি যাচাইয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি রবিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
জাতীয় কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বড় ধরনের দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের আদানিসহ যেসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আইনের আওতায় তদন্ত করা হবে।”
এদিকে একই দিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় কমিটি পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়। নতুন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজির সাবেক সিওও আলী আশরাফ, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান এবং সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, নথি পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে। পাশাপাশি এসব চুক্তিতে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কি না তা নিরীক্ষা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দেবে।
অন্যদিকে, একই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের প্রতি আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের দেওয়া একটি উপহার—নৌকার প্রতিকৃতি। শনিবার (১ নভেম্বর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি উপহারটি দেন। বিষয়টি নিয়ে রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে উপদেষ্টা পোস্ট দেন এবং জানান, উপহারটি সরকারি তোশাখানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, “গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে পাওয়া উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে। এজন্য প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষার জন্য উপহারটি গ্রহণ করেছিলেন এবং এতে কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতীকের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
জাতীয়
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ‘শাপলা কলি’ নিতে রাজি এনসিপি
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’র জন্য অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে ‘শাপলা কলি’ নিতে রাজি হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ ২ নভেম্বর, ২০২৫ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি নেব। এখন এখানে আপনাদের একটা বিষয় থাকতে পারে, শাপলা নিয়ে কিন্তু আমরা এখনো ব্যাখ্যা পাইনি। নির্বাচন কমিশনের যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ, কিন্তু এখন কি তাইলে আমরা প্রতীক নিয়ে পড়ে থাকব? আমরা কি ইলেকশন ফেজে (পর্যায়ে) ঢুকব না? তো সে জন্য আমরা বৃহত্তর স্বার্থটা চিন্তা করেই এই ডিসিশনটা (সিদ্ধান্ত) নিচ্ছি।’
নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলিকে দলের প্রতীক হিসেবে চেয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। শাপলা কলি দেওয়া হলে এনসিপি নেবে। তৃণমূল কলিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমরা শাপলা কলি নিয়েও কিছু পজিটিভ সাড়া পেয়েছি। এটা শাপলার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে শাপলা কলি হয়েছে। অর্থাৎ শাপলাও আছে, কলিও আছে। সে জায়গায় নির্বাচন কমিশন আমরা যতটুকু চিন্তা করেছি, তারা একধাপ একটু বাড়িয়ে চিন্তা করে সেখানে কলি ও শাপলা যুক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে (ইসি) আমরা আহ্বান জানিয়েছি যে দ্রুত গতিতে যাতে এনসিপির যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া এটা সম্পূর্ণ করে। আমরা যাতে আমাদের মাঠে প্রতীক নিয়ে যেতে পারি, সে বিষয়ে সুরাহা বা সমাধান করার জন্য। আগামীতে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষ এবং শাপলা কলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’
একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’র জন্য অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে ‘শাপলা কলি’ নিতে রাজি হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রাজনীতি
জুলাই সনদ ইস্যুতে ‘বিএনপি রাস্তায় নামলে সরকার টিকবে না : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি যদি প্রতিবাদের পথে নামে, তাহলে বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তবে তিনি জানিয়েছেন, দলটি আপাতত ধৈর্য ধরে সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে।
আজ ২ নভেম্বর, ২০২৫ রোববার সকালে রাজধানীতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দলীয় প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, “জুলাই সনদ ইস্যুতে জাতির সঙ্গে যে প্রতারণা করা হয়েছে, তা জনগণ বুঝে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ও সরকার এ বিষয়ে নীরব থাকলেও বিএনপি এখনো ধৈর্য ধরেছে। আমরা প্রতিবাদে গেলে সরকার টিকবে না। কিন্তু আমরা জনগণের সামনে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরছি, কারণ আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, “আমরা প্রায় ১৬ বছর ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, আমরা তাদের প্রতি আস্থা রাখছি যে তারা জাতির সামনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে।”
তিনি জানান, বিএনপি প্রতিবাদে না গেলেও সরকারের কর্মকাণ্ড জনগণের নজরে আছে। “আমরা যদি প্রতিবাদে যাই, তাহলে সরকার টিকে থাকবে কি না সন্দেহ। তাতে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে, দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা ধৈর্য ধরছি,” বলেন বিএনপির এই নেতা।
সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসার জোরালো সম্ভাবনা থাকায় আমাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। তবে বিএনপি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না।”
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, জনগণ ভোটের দিনে যদি সঠিকভাবে অংশ নেয়, তাহলে কোনো শক্তিই সেই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে পারবে না।
জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি যদি প্রতিবাদের পথে নামে, তাহলে বর্তমান সরকার টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তবে তিনি জানিয়েছেন, দলটি আপাতত ধৈর্য ধরে সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, “জুলাই সনদ ইস্যুতে জাতির সঙ্গে যে প্রতারণা করা হয়েছে, তা জনগণ বুঝে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ও সরকার এ বিষয়ে নীরব থাকলেও বিএনপি এখনো ধৈর্য ধরেছে। আমরা প্রতিবাদে গেলে সরকার টিকবে না। কিন্তু আমরা জনগণের সামনে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরছি, কারণ আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, “আমরা প্রায় ১৬ বছর ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, আমরা তাদের প্রতি আস্থা রাখছি যে তারা জাতির সামনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে।”
তিনি জানান, বিএনপি প্রতিবাদে না গেলেও সরকারের কর্মকাণ্ড জনগণের নজরে আছে। “আমরা যদি প্রতিবাদে যাই, তাহলে সরকার টিকে থাকবে কি না সন্দেহ। তাতে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে, দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা ধৈর্য ধরছি,” বলেন বিএনপির এই নেতা।
সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসার জোরালো সম্ভাবনা থাকায় আমাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। তবে বিএনপি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না।”
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, জনগণ ভোটের দিনে যদি সঠিকভাবে অংশ নেয়, তাহলে কোনো শক্তিই সেই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে পারবে না।
রাজনীতি
দেশে দ্রুত কমছে খাদ্যের মজুত : খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
দেশে খাদ্যশষ্য বিতরণের তুলনায় সংগ্রহ কম হওয়ায় দেশে কমেছে খাদ্যের মজুত। বর্তমানে দেশে খাদ্যের মজুত আপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছেছে। ১৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যকে আপৎকালীন মজুত হিসেবে নিরাপদ বিবেচনা করা হয়। তার নিচে চলে গেলে তা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বর্তমানে যে মজুত পরিস্থিতি তা আপৎকালীন মজুত সীমার কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত মজুত বাড়াতে ব্যর্থ হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খাদ্যবান্ধবসহ অন্যান্য কর্মসূচি।
গত আগস্টে ২২ লাখ মেট্রিক টন মজুতের ইতিহাস গড়ার পর দুই মাসের ব্যবধানে তা ১৪ লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবরের তথ্যানুযায়ী, ওই দিন পর্যন্ত মজুতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন। তার মধ্যে চাল ১৩ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন, গম ৫৩ হাজার ৫০৪ মেট্রিক টন। মূলত বিতরণের তুলনায় সংগ্রহ কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবার সুবিধাভোগী পরিবার সংখ্যা ৫ লাখ বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে। তাছাড়া ওএমএস-সহ অন্যান্য কর্মসূচিতেও খাদ্য বিতরণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে দ্রুত মজুত কমছে। প্রতি মাসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ৩ লাখ টনের কাছাকাছি খাদ্য যাচ্ছে। নভেম্বরে আরো ৩ লাখ মেট্রিক টন যাবে। তবে ডিসেম্বর থেকে আমন মৌসুমের সংগ্রহ শুরু হতে পারে। যদিও আমন মৌসুমে সংগ্রহ খুব বেশি হয় না। কৃষক ওই ধান মজুত করে। এমন অবস্থায় বিকল্প উপায়ে সংগ্রহ বাড়াতে না পারলে খাদ্যের মজুত আপৎসীমার নিচে চলে আসবে। তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি।
সূত্র জানায়, সরকারের খাদ্য আমদানি চলতি অর্থবছরে সন্তোষজনক নয়। বিগত ১ জুলাই থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে ১৪ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি হয়েছে। সরকারি খাতের আমদানির পরিমাণ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন (৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৪৩ হাজার মেট্রিক টন গম)। আর আমদানির বেশির ভাগ প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন বেসরকারি খাতের মাধ্যমে এসেছে। ফলে আমদানি সরকারি মজুতে ভূমিকা রাখছে না।
গত অর্থবছরে সরকার ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি করেছিল। যার মধ্যে ছিলো ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ মেট্রিক টন গম। আর গত অর্থবছরের সমান আমদানি করতে চাইলেও সরকারকে বাকি আট মাসে আরো ১২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি করতে হবে। সরকার বোরো মৌসুম থেকে যে পরিমাণ সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছিল তা পূরণ হয়নি। গত বোরো মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ধান ও চাল মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু ১৭ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়। আগামী আমন মৌসুমেও খুব বেশি সংগ্রহ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় আমদানির মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, দেশে দ্রুত খাদ্য মজুত না বাড়ালে খাদ্য-নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ চালের দাম বেড়ে গেলে ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও সচল রাখতে হবে। সেজন্যই জরুরি ভিত্তিতে চাল ও গমের মজুত বাড়ানো প্রয়োজন। যাতে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তা ব্যবহার করা যায়।
এদিকে খাদ্য মজুত নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাল যাচ্ছে। রেশনিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্য যাচ্ছে। যে কারণে মজুত কমছে। জরুরি ভিত্তিতে ৪ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। আরো তিনটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমন মৌসুম সামনে রেখে ১৫ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শুরু হবে।
দেশে খাদ্যশষ্য বিতরণের তুলনায় সংগ্রহ কম হওয়ায় দেশে কমেছে খাদ্যের মজুত। বর্তমানে দেশে খাদ্যের মজুত আপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছেছে। ১৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যকে আপৎকালীন মজুত হিসেবে নিরাপদ বিবেচনা করা হয়। তার নিচে চলে গেলে তা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বর্তমানে যে মজুত পরিস্থিতি তা আপৎকালীন মজুত সীমার কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত মজুত বাড়াতে ব্যর্থ হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খাদ্যবান্ধবসহ অন্যান্য কর্মসূচি।
জাতীয়
আমার লোক, তোমার লোক ব্যাধি থেকে দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে: আইন উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘প্রথম আলো’র কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ‘আমার লোক, তোমার লোক’ কালচার থেকে বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় দলগুলোকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “এনসিপি এবং ছোট দলগুলোকেও এই কালচার (আমার দল, তোমার দল) কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছোট দলগুলো বা উদীয়মান দলগুলো এ ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়।”
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমার লোক, তোমার লোক-ডেফিনেটলি এটা আওয়ামী লীগ আমলে ভয়াবহ অবস্থায় গিয়েছে। বাংলাদেশে যত খারাপ কাজ, শয়তানি কাজ, সেটা প্রথম আওয়ামী লীগ আমলে শুরু হয়েছে, ৭৩ সালের আওয়ামী লীগের আমলে। সমস্ত খারাপ কাজ, গুম বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলেন, হেফাজতে নির্যাতন বলেন, হেফাজতে মৃত্যু বলেন, ভুয়া নির্বাচন বলেন, দলীয়করণ বলেন-সবকিছু শুরু করেছে আওয়ামী লীগ, বাকিরা কন্টিনিউ করেছে।”
‘আমার লোক, তোমার লোক’ সংস্কৃতি নাগরিক সমাজের মধ্যেও থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি উদাহরণ হিসেবে আওয়ামী লীগ আমলে সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ আক্তান্ত হওয়ার পর কোনো প্রতিবাদ না হওয়ার কথা বলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশকে একটি ‘নির্মম, অত্যাচারী, পাশবিক, দানবীয় বাহিনী’তে পরিণত করেছিলেন’-যোগ করেন তিনি।
পুলিশি নির্যাতনের নানা দিক তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা সরকারি দলের আদেশে, সরকারি দলের ইচ্ছাপূরণের জন্য। কেউ কেউ করে নিজ স্বভাবে, সে ক্ষমতাশালী হতে চায়, টাকা বানাতে চায়। সরকার তাকে যতটুকু অত্যাচার করতে বলে, তার থেকেও দশগুণ বেশি করে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘প্রথম আলো’র কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ‘আমার লোক, তোমার লোক’ কালচার থেকে বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় দলগুলোকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয়
আমরা ‘মদিনার ইসলাম’ চর্চা করি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ঈদগাহ ময়দানে কাসেমি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আজমতে সাহাবা মহা সম্মেলন-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বললেন, “একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ফায়দা হাসিলের চেষ্টা লক্ষ্য করি। ইদানিং সেটা আরও বেশি লক্ষ্য করি এজন্যে, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভাজিত করতে চায় ও ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশে শতকরা ৯০ থেকে ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামের চর্চা করি, আমরা রসূল (স.) যেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, সাহাবায়ে কেরাম যেই ইসলাম চর্চা করেছেন সেই ইসলামের অনুসারী আমরা।”
‘আমরা মওদুদী ইসলামের অনুসারী নই কেউ। সুতরাং যারা ফেতনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে। তাদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
হাসিনা সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’, ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ ও ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ সরকার বলে অভিযুক্ত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দেখেছে। এটা ইসলাম বিরোধী, আলেম নির্যাতনের রাজনীতি, মুসলিম বিদ্বেষী রাজনীতি করেছে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির সমাপ্ত হয়েছে আমরা সবাই সাক্ষী।
‘আমাদের পয়লা দ্বীন, বাদমে দুনিয়া। ... আমরা এমনভাবে রাজনীতি করি যাতে আমাদের ভালো আদর্শ স্থাপিত হয়। আদর্শিক রাজনীতি করতে হবে, ভালো রাজনীতি করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে অপরাজনীতি বিদায় হবে ইনশাআল্লাহ’-যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ঈদগাহ ময়দানে কাসেমি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আজমতে সাহাবা মহা সম্মেলন-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বললেন, “একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ফায়দা হাসিলের চেষ্টা লক্ষ্য করি। ইদানিং সেটা আরও বেশি লক্ষ্য করি এজন্যে, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে বিভাজিত করতে চায় ও ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়।”
রাজনীতি
“নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা হবে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল” মতবিনিময় সভায় আইজিপি
এম আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ নভেম্বর, ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহী পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) ও রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের যৌথ আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিপিএম।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পেছনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি হলো পুলিশ। তাই নির্বাচনকালীন পুলিশের আচরণ হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, ন্যায়নিষ্ঠ ও পেশাদার। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে কেবল আইন ও দেশের প্রতি।”
আইজিপি আরও বলেন, “যে সরকারই আসুক না কেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে আইন অনুযায়ী কাজ করা। কেউ যেন আগাম ধারণা করে বা কাউকে খুশি করার জন্য দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত না হয়। একজন পুলিশ সদস্য হয়তো কাউকে ফেভার করলে তা হয়তো প্রকাশ পাবে না, কিন্তু একদিন নিজের বিবেকের কাছেই তাকে জবাব দিতে হবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, পুলিশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ইন্টেগ্রিটি, সততা ও পেশাগত দায়িত্ববোধ। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, পুলিশের কাজ কঠিন। কখনো আসামি ধরতে গেলে বাধা আসে, হুমকি আসে, এমনকি আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়। তবুও দায়িত্ব থেকে পিছু হটবেন না। পুলিশের ঐতিহ্য ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে আইজিপি মহোদয় বলেন, “এই পুলিশ বাহিনী একদিনে গড়ে ওঠেনি। দেড়শ বছরের ঐতিহ্য, ত্যাগ ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান আজকের অবস্থানে এসেছে। ব্রিটিশ আমলে পুলিশ যেমন জীবনবাজি রেখে দায়িত্ব পালন করত, আজও সেই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।” তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টে পুলিশ কঠিন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলো। ধাপে ধাপে সেই পরিস্থিতি অতিক্রম করে আজকের অবস্থানে এসেছে। যদিও এখনো কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে, তবুও একসময় সমালোচিত সেই পুলিশ বাহিনী আজ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।”
আইজিপি বলেন, “সমাজে পুলিশের প্রতি অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, সমালোচনাও আছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ দায়িত্ব থেকে সরে যায়নি, বসে থাকেনি এটাই পুলিশের শক্তি। তিনি জানান পেশাদার ভূমিকার কারণে অনেক স্থানে পুলিশ এসল্টের শিকার হয়েছে। পুলিশ এসল্টের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশা দিয়েছেন যাতে দ্রুত এসব মামলার বিচার সম্পন্ন করা যায়। তাহলে সমাজে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আগামী নির্বাচন পুলিশের জন্য একটি বড় পরীক্ষা এবং একই সঙ্গে সুযোগও। অতীতের ভুল সংশোধন করে সততা, ন্যায় ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দোয়া প্রত্যাশা করে পুলিশকে সংকল্পবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং তা সমাধানে আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় রাজশাহী রেঞ্জ, আরএমপি এবং রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত পুলিশের সকল ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীতে বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


জাতীয়
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মী সম্মেলন-২০২৫
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মী সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩১ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় ইসলামগঞ্জ (বুধবারী বাজার) এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রচার সম্পাদক আইনুল হক স্বাধীন।
উপজেলার ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী আব্দুল মন্নান। প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন তালুকদার।

উক্ত কর্মী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন। আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শুক্কুর আলী মহাজন, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সুলেমান তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সালাম, উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম- সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
কর্মী সম্মেলনে-২০২৫ এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল-এর উপস্থাপনায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মো. রতন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, যুগ্ম-সম্পাদক ফারুক আহমদ, বশির আহমদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া সহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কিবরিয়া আহমেদ ও আব্দুল আলী, সদস্য বাদশা মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তেরা মিয়া, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাবেক সভাপতি একরাম আলী, উপজেলা যুবদল নেতা সাদ্দাম হোসেন, মাহবুবুল আলম, মাহমুদুল হাসান, আলী আমজদ, এবং ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদ সহ প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মী সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


রাজনীতি
এই প্রথম বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ইসলামিক প্রবক্তা ড. জাকির নায়েক
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আসছে নভেম্বরে ডা. জাকির নায়েক বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় তিনি পা রাখলেই যেন তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করছে ভারত। বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ)।
গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। তাই আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।’
স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর জাকির নায়েকের এই অনুষ্ঠানটির স্থান হতে পারে আগারগাঁও এলাকায়।
ইসলামিক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করা ৬০ বছর বয়সী এই ধর্মপ্রচারক ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছিলেন। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার’ ও একাধিক অর্থ পাচারের মামলা করা হয় এবং তার নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে তিনি ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান, যেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পান। ভারতে ফেরা প্রসঙ্গে জাকির নায়েক একাধিকবার বলেছেন, ‘আমি ভারতে ফিরে যাব না, যতক্ষণ না ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পাই।’ মালয়েশিয়ায় থাকার কারণে তিনি ভারতের বিচারিক আওতার বাইরে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী ‘জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত’ ছিল বলে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশও তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে শেখ হাসিনার পতনের পর আরও অনেক নিয়মের মতো সেই নিষেধাজ্ঞাও শিথিল হয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবার ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির, এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে হস্তান্তরের আশা করছে। সূত্র : ইত্তেফাক
আসছে নভেম্বরে ডা. জাকির নায়েক বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় তিনি পা রাখলেই যেন তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করছে ভারত। বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ)।
আলোচিত খবর
বিদেশ থেকে কেনা ব্যক্তিগত মোবাইল নিবন্ধনে গুরুত্ব: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধনে গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ ধরনের নিবন্ধন বিশ্বব্যাপী একটি আদর্শ চর্চা।
আজ শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে এবং এটি সারাবিশ্বে একটি সাধারণ নিয়ম।
তিনি লিখেছেন, এটি বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে ভুল সিম নিবন্ধন, ভুল এমএফএস নিবন্ধন, সিম সম্পর্কিত অপরাধ, মোবাইল অর্থায়ন সম্পর্কিত অপরাধ, অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণা, অবৈধ ক্লোন করা মোবাইল সম্পর্কিত অপরাধ, পেটেন্ট এবং প্রযুক্তিগত রয়্যালটি পরিশোধ না করা, ভ্যাট এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়া, ভারত ও চীন থেকে মোবাইল অবৈধভাবে আমদানি প্রতিরোধ, লাগেজ পার্টি এবং সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ ও স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পের সুরক্ষার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বিদেশ থেকে মোবাইল যথাযথ নিয়ম মেনে আনবেন এবং সেই অনুযায়ী নিবন্ধন করবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশব্যাপী মোবাইল ব্যবহারকারীদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছে। ওইদিন থেকে সরকার সব অবৈধ এবং ক্লোন করা ডিভাইসগুলোর জাতীয় মোবাইল নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস নিষিদ্ধ করবে।
ফয়েজ লিখেছেন, যদি আপনার (ব্যবহারকারীর) নামে নিবন্ধিত সিমটি এমন কোনো মোবাইলে ব্যবহার করা হয় যা ক্লোন করা হয়নি, তাহলে আপনাকে কখনোই কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এজন্য আপনার সিমটি নিজের নামে নিবন্ধিত রাখুন।
তিনি আরো বলেন, আপনার ব্যবহৃত সিমটি যদি আপনার নিজের নামে নিবন্ধিত হয়, তাহলে (হ্যান্ডসেটের) নিবন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সহজ।
তৈয়্যব বলেন, আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানি করা এবং চোরাচালান মোবাইল বন্ধ করব।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা নিয়ম মেনে বিদেশ থেকে এক বা দু’টি মোবাইল বিনা শুল্কে আনতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী নিবন্ধন করতে পারবেন। এতে কোনো জটিলতা থাকবে না। দু’টির বেশি মোবাইলের জন্য এনবিআরের অধীনে পৃথক নিয়ম রয়েছে, যার জন্য ফি প্রয়োজন, এটি বিদ্যমান নিয়ম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পরামর্শ চেয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের জন্য নিবন্ধন, নিবন্ধন বাতিল এবং পুনঃনিবন্ধনের প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে সহজ করা যায় সে সম্পর্কে যৌক্তিক পরামর্শ দিন।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু হচ্ছে, তাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া চালু করেছে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে যা করবেন : যেকোনো উৎস থেকে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, অথবা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আপনাকে নীচে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদটি নিরাপদে রাখতে হবে।
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হবে।
ধাপ ১ : আপনার মোবাইল মেসেজ অপশনে যান এবং KYD <space> 15- IMEI নম্বর টাইপ করুন।
উদাহরণস্বরূপ : KYD 123456789012345|
ধাপ ২ : বার্তাটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ ৩ : হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে আপনাকে একটি ফিরতি বার্তা পাঠানো হবে।
বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে কেনা বা প্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া :
বিদেশ থেকে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকবে। ব্যবহারকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য একটি এসএমএস নির্দেশনা দেওয়া হবে। জমা দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের পর কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নিবন্ধিত হবে এবং নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে কেনা বা প্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের পদ্ধতি নিম্নরূপ :
ধাপ ১: neir.btrc.gov.bd লিঙ্কটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ২: পোর্টালের ‘বিশেষ নিবন্ধন’ বিভাগে যান এবং হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর লিখুন।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি আপলোড করুন (যেমন ভিসা/ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প, ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি দেখানো পাসপোর্ট পৃষ্ঠা) এবং জমা দিন বোতাম টিপুন।
ধাপ ৪: হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হলে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে এবং ডিভাইসটি নেটওয়ার্ক থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নেই এমন ব্যবহারকারীদের জন্য বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র এবং ইউএসএসডি কোড *১৬১৬১# এর মাধ্যমে যাচাইকরণ এবং নিবন্ধন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে।
কর্মকর্তারা জানান, ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা কোনো প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।
দেশের জন্য আরো নিরাপদ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করতে, জালিয়াতি, চুরি এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের শুধু যাচাইকৃত আইএমইআই নম্বরসহ হ্যান্ডসেট ব্যবহার করার জন্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
এর আগে বুধবার বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ঘোষণা করেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জাতীয় সরঞ্জাম পরিচয় নিবন্ধন (এনইআইআর) পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান টেলিকম নেটওয়ার্ক নীতিমালার আলোকে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৩৮ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ফিচার ফোন ব্যবহার করেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাজারে চুরি যাওয়া এবং সংস্কার করা হ্যান্ডসেটের উপস্থিতি মোবাইলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হওয়ার পর দেশের ১৮টি কোম্পানি যারা স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করে, তারা আরো প্রতিযোগিতামূলক দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হবে।
এনইআইআর সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিটিআরসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, স্থানীয় মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতারা ভবিষ্যতে কেবল অভ্যন্তরীণ চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বিদেশেও হ্যান্ডসেট রপ্তানি শুরু করবে।
এনইআইআর বাস্তবায়নে মোবাইল অপারেটরদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, এনইআইআর সিস্টেম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধনে গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ ধরনের নিবন্ধন বিশ্বব্যাপী একটি আদর্শ চর্চা।
ধাপ ১ : আপনার মোবাইল মেসেজ অপশনে যান এবং KYD <space> 15- IMEI নম্বর টাইপ করুন।
উদাহরণস্বরূপ : KYD 123456789012345|
ধাপ ২ : বার্তাটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ ৩ : হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে আপনাকে একটি ফিরতি বার্তা পাঠানো হবে।
বিদেশ থেকে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকবে। ব্যবহারকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য একটি এসএমএস নির্দেশনা দেওয়া হবে। জমা দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের পর কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নিবন্ধিত হবে এবং নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
ধাপ ১: neir.btrc.gov.bd লিঙ্কটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।


















































