শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

Logo
Add Image
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
এবার কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মূলত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নিজেদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে তাঁরা এমন আন্দোলনে যাচ্ছেন। 

 

দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার শিক্ষকরা সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে মাঠে নামছেন।

 

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এই কর্মসূচির আয়োজন করছে।

 

শিক্ষকদের ভাষ্য, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। অথচ সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন।

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা এই আন্দোলন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের প্রতিনিধি মো. মহিব উল্লাহ শিক্ষকদের এই আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

৩টি প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে;
১. দশম গ্রেড প্রদান: সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান: ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
৩. শতভাগ পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।

 

এই দাবিগুলো শুধু বেতনের বিষয় নয়, বরং প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশাগত মর্যাদা ও প্রণোদনার বিষয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার চত্বর থেকে সরে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। 

 

স্পিন বোলদাক শহরটির অবস্থান আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। 


স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে।


প্রতিবদন অনুযায়, নিহত এবং আহতদের সবাই বেসমারিক এবং একটি বড় অংশই নারী ও শিশু।


সীমান্তে গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার দিকে।


বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যারা বেঁচে গেছেন, তারা সবাই নিন্দা জানিয়েছেন এ হামলার।


হামলার শিকার এবং আহত হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি ইতিহাসে কখনও এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে- তারা এখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপরে হামলা করল।”


বিমান বাহিনীর অভিযানের পাশপাশি স্পিন বোলদাক শহরের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাকে একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে হতাহতও হয়েছেন অনেকে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত র‍্যালির পূর্বে সমাবেশে বললেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে, অন্যথায় জাতি তা মেনে নেবে না।”

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশে ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল, কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন সংস্কারের অগ্রদূত। দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।”

 

উপ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে গঠিত ঐকমত্য থেকে সরে এসে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে এমন অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

 

তিনি আরও বলেন, “তারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়েছে, তাতে আমরা একমত নই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়, তবে এতদিন ধরে চলা আলাপ-আলোচনার অর্থ কী?”

 

‘উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং নিজেরাই এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছেন যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। কিছু দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’-বলেও অভিযোগ তোলেন বিএনপির এ নেতা।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ দেয়া থেকে সরে যাচ্ছে বড় ক্রেতারা। ফলে অনিশ্চয়তার কবলে দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রপ্তানি খাত। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রেতাদের আস্থার সংকট এবং বিভ্রান্তিকর সরকারি বার্তায় বড় ক্রেতারা কার্যাদেশ দেয়া থেকে সরে যাচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রেতারা সরবরাহ স্থিতিশীলতা ও আস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন।

 

বর্তমানে বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। ফলে অনেক বড় ক্রেতাই বিকল্প দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে অর্ডার সরিয়ে নেয়ার শঙ্কা বাড়ছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সমপ্রতি নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধ হওয়া খারাপ কিছু নয় বলে জানান। তার মতে, এটা শিল্পের সুষ্ঠু ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত পোশাকশিল্পে নেতিবাচক ও জটিল প্রভাব ফেলতে পারে। কমপ্লায়েন্স বা নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা হুট করে বন্ধ করে দেয়া কোনো সমাধান নয়। বরং কারখানাগুলোতে পরিপালনযোগ্য ও উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরী। অন্যথায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ক্রেতারা কার্যাদেশ দেবে না। ইতিমধ্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে রপ্তানির নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে।

 

যদিও নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকেই পণ্য রপ্তানিতে পতন চলছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসও শেষ হলো ওই ধারায়। মাসটিতে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৭ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি কমেছে। ৫১ কোটি ডলার রপ্তানি কম হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় ছয় হাজার ১২০ কোটি টাকার মতো। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয় ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য। কিন্তু গত অক্টোবরে তা ৩৬২ কোটি ডলারে নেমে এলো। এ নিয়ে টানা তিন মাস রপ্তানি কমলো।


সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে গত এক বছরে দেশে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ২৫৮টি পোশাক কারখানা। তাতে এক লাখের বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান অবস্থায় অনেকে ক্ষুদ্র বা মাঝারি পরিসরে টিকে থাকার চেষ্টা করছে।  কিন্তু ক্রমবর্ধমান ব্যয়, বিদ্যুৎসংকট, মজুরি সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অনিশ্চয়তার কারণে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে একই সময়ে নতুন ১৬৬টি কারখানা চালু হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি সক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

কারণ কারখানা বন্ধের কারণে শুধু উৎপাদনই নয়, শ্রমিকদের জীবিকা, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। চাকরি হারালে পরিবারগুলোর আয় কমে যাচ্ছে, অনেকে বাসা ভাড়া দিতে পারছে না, শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। 


সূত্র আরো জানায়, নন-কমপ্লায়েন্স ইস্যুটি শুধু শাস্তিমূলক নয়, বরং এটি শিল্পনীতি, শ্রমিক সুরক্ষা, রপ্তানি সক্ষমতা ও বৈদেশিক ভাবমূর্তির সমন্বিত বিষয়। সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর একযোগে পরিকল্পনা নিয়ে দুর্বল কারখানাগুলোকে সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা প্রয়োজন। যাতে শিল্পের সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। সরকারের দায়িত্ব কারখানাগুলোর সংস্কার ও তদারকি জোরদার করা; কিন্তু সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য না দেখিয়ে এখন সরকার নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধের দিকেই ঝুঁকছে।


এদিকে তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, পোশাক খাত দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু বর্তমান সংকট শুধু শিল্প মালিকদের নয়, বরং সার্বিক অর্থনীতির ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে। আমেরিকার বাজারে মন্দা, চাহিদা কম এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় কমছে রপ্তানি । অনিশ্চয়তার মধ্যে বড় ক্রেতারা কার্যাদেশ দেবে না। তার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সর্বজ্ঞানী মুখপাত্রের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। আর দেশের বড় এবং কমপ্লায়েন্স কারখানা ভিয়েলাটেক্স বন্ধ হয়েছে। 


অন্যদিকে এ বিষয়ে শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ জানান, কমপ্লায়েন্স বা নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা হুট করে বন্ধ করে দেয়া কোনো সমাধান নয়, বরং কারখানাগুলোকে পরিপালনযোগ্য ও উপযুক্ত পরিবেশে নিয়ে আসতে হবে। ছোট-বড় সব কারখানায় বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে। তাই হঠাৎ বন্ধ হলে সরবরাহব্যবস্থা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে এবং ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যায়। তবে পোশাক খাতে কিছুটা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা গেলেও দেশের শিল্প-কারখানার বড় একটি অংশ এখনো অধরা। তাই কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া সব ক্ষেত্রে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অংশীদারি বাড়াতে হবে, যা এখনো পর্যাপ্তভাবে হয়নি।
 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
এবার কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মূলত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নিজেদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে তাঁরা এমন আন্দোলনে যাচ্ছেন। 

 

দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার শিক্ষকরা সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে মাঠে নামছেন।

 

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এই কর্মসূচির আয়োজন করছে।

 

শিক্ষকদের ভাষ্য, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। অথচ সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন।

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা এই আন্দোলন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের প্রতিনিধি মো. মহিব উল্লাহ শিক্ষকদের এই আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

৩টি প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে;
১. দশম গ্রেড প্রদান: সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান: ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
৩. শতভাগ পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।

 

এই দাবিগুলো শুধু বেতনের বিষয় নয়, বরং প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশাগত মর্যাদা ও প্রণোদনার বিষয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার চত্বর থেকে সরে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। 

 

স্পিন বোলদাক শহরটির অবস্থান আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। 


স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে।


প্রতিবদন অনুযায়, নিহত এবং আহতদের সবাই বেসমারিক এবং একটি বড় অংশই নারী ও শিশু।


সীমান্তে গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার দিকে।


বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যারা বেঁচে গেছেন, তারা সবাই নিন্দা জানিয়েছেন এ হামলার।


হামলার শিকার এবং আহত হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি ইতিহাসে কখনও এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে- তারা এখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপরে হামলা করল।”


বিমান বাহিনীর অভিযানের পাশপাশি স্পিন বোলদাক শহরের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাকে একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে হতাহতও হয়েছেন অনেকে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 


৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। 

 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, চালকসহ নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাস্কাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাছবাহী কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন। আহত চালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়, ফলে উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ দুকুমের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, “ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উপজেলার সাতজন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

 

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রবাসী সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন আমিন সওদাগর, আরজু, রকি, বাবলু, শাহাবউদ্দিন, জুয়েল, রনি ও আলাউদ্দিন।

 

দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
 

Pic

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি একাডেমিক গবেষণার ফলাফল দেখায় যে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন গত দুই বছরে ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং এই অঞ্চলে অভিযানের জন্য সামরিক সহায়তা দিতে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে যা ছাড়া গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখা অসম্ভব হত।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কমপক্ষে ২১.৭ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যার মধ্যে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার প্রথম বছরে এবং ৩.৮ বিলিয়ন ডলার দ্বিতীয় বছরে। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা অভিযানে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন স্কুলের "যুদ্ধের খরচ" প্রকল্প দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে এই ব্যাপক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে সক্ষম হত না। নথিপত্র দেখায় যে শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের পাঁচটি বড় চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

 

ইরানি স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের তদারকি এড়িয়ে দুবার অস্ত্র বিক্রির জন্য বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০৬.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৪,০০০ ট্যাঙ্ক শেল এবং ১৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অন্যান্য অস্ত্র বিক্রি।

 

হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণের অনুরোধের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইহুদিবাদী সরকার ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করে যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মারাত্মক দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি হাজার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও আহত করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অমান্য করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ এবং গাজা উপত্যকার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তেল আবিব গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
 

Add

Site Counter

Online

34

Total

31k

Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

আজ ০৭ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের মেইন রোডের পশ্চিম পাশে সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির নিজস্ব কার্যালয় এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিদের আসন গ্রহণ, অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ, কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ, সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী পেশসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতি আয়োজিত সাধারণ সভায় অত্র সংগঠনের সভাপতি মীর শামীমুর রহমান শামীম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ছিলেন, সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আরফান আলী খান। 

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির সভাপতি শামীমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আলম, সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির উপদেষ্টা আহ্সান খান আছু, মীর মহব্বত হোসেন, মাহফুজুর রহমান মামুন, সাইমন তালুকদার রাজিব, বাবু দুলাল চন্দ্র সাহা, মো: শাহ আলমসহ সংগঠনের অন্যর নেতৃবৃন্দ। 

 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোটের মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদী ২৪ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।  

 

এসময়  আবুল বাশার উজ্জ্বল ৬২ ভোট পেয়ে সভাপতি ও মীর শামীনুল ইসলাম শামীম ৫০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
 


Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ক্রিকেট অঙ্গনে উদীয়মান ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। ভালো ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্নে বিভোর দেবাশীষ। ক্রিকেটকে নিয়ে যেতে চান উচ্চ শিখরে এবং নিজের অস্তিস্ব প্রমাণ করতে চান বিশ্ব মঞ্চে।

 

দৃঢ় সংকল্প আর মনোবল নিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেবাশীষ। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে ইতোমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছে। অতীতের দু:খ-কষ্ট পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই এখন তার মূল লক্ষ্য। একটি সাধারণ গ্রামীণ পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবী ক্রিকেট খেলোয়াড় দেবাশীষ, দেশের অনেকের জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারেন।

 

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকার ও ময়না রানী দম্পতির একমাত্র ছেলে দেবাশীষ সরকার দেবা। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ। আর সেখান থেকেই এ পর্যন্ত উঠে আসা। 

 

গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচেই বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। ডানহাতি লেগ স্পিনার ও মিডল অর্ডার ব্যাটার দেবাশীষের লক্ষ্য বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করা।

 

বাসস এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন প্রতিভাবান ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ফুলকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১৬ সালে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় তার। এরপর পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে গ্রাম থেকে টাঙ্গাইল শহরে চলে আসেন ক্রিকেট শেখার জন্য। বিসিবির কোচ এবং টাঙ্গাইল স্পোর্টস একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা আরাফাতের অধীনে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকে দেবাশীষ। টাঙ্গাইল জেলার অনূর্ধ্ব ১৪, ১৬ ও ১৭ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 

দেবাশীষ জানান, পারফরমেন্স ভাল থাকায় ২০২২ সালে ভারত সফরে অনূর্ধ- ১৭ জাতীয় দলের খেলার সুযোগ হয়। শুধু তাই নয়, বয়সভিত্তিক এই দলটির অধিনায়কের দায়িত্ব পায় সে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন দেবাশীষ। আর একটি ওয়ানডে ম্যাচে ৪৮ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। এছাড়া দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে এবং সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফরেও ভালো পারফরম্যান্স করেন দেবাশীষ সরকার। 

 

তিনি আরো জানান, সম্প্রতি আরব আমিরাত সফর করেছে বাংলাদেশ  মিরপুর ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত তিনটি ওয়ানডের মধ্যে দুইটিতে খেলার সুযোগ হয় তার। এতে ৯ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে দেবাশীষ সরকার। এছাড়া প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে গাজী টায়ার দলের হয়ে খেলছেন। 

 

দেশে সাকিব আল হাসান আর বিদেশে শচীন টেন্ডুলকার তার প্রিয় খেলোয়াড়।

 

দেবাশীষ সরকারের বাবা আশীষ সরকার বাসস’কে বলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল দেবাশীষের। অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে সে আজ এ জায়গায় এসেছে। দেবাশীষ এখন অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড়। এই অর্জনে আমি গর্বিত। আমার ছেলে এক সময় জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলবে এটা আমার বিশ্বাস। এ জন্য তিনি সকলের কাছে আশীর্বাদ চাই।


সাবেক ক্রিকেটার আবু নাসের মানিক বলেন, ‘দেবাশীষ সত্যিকার মেধাবী ও দূরন্ত ক্রিকেটার। টাঙ্গাইল জেলার প্রথম কোন খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা তার আছে। আমি দেবাশীষের সর্বাঙ্গীণ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

 

ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে প্রাইম ধলেশ্বর ক্লাবের হেড কোচ ও টাঙ্গাইল স্পোর্টস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আরাফাত রহমান জানান, ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার আমার সরাসরি ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই সে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে টাঙ্গাইলের ছেলে দেবাশীষ খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। টাঙ্গাইল থেকে এ পর্যন্ত কোন ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পায়নি। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার যোগ্যতা রাখে।
 

নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে—অন্যথায় জাতি তা মানবে না: মির্জা ফখরুল

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাই ডেস্ক:
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত র‍্যালির পূর্বে সমাবেশে বললেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে, অন্যথায় জাতি তা মেনে নেবে না।”

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশে ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল, কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন সংস্কারের অগ্রদূত। দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।”

 

উপ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে গঠিত ঐকমত্য থেকে সরে এসে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে এমন অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

 

তিনি আরও বলেন, “তারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়েছে, তাতে আমরা একমত নই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়, তবে এতদিন ধরে চলা আলাপ-আলোচনার অর্থ কী?”

 

‘উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং নিজেরাই এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছেন যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। কিছু দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’-বলেও অভিযোগ তোলেন বিএনপির এ নেতা।
 

অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা 

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি জানান, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কাছে আমি নমিনেশন চেয়েছি। আমি আশাবাদী নমিনেশন পাব।”

 

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, “আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনও। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।”

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি অভিযোগ করেন যে, কোনো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।

 

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর তিনি যে রায় পরিবর্তন করেছেন, তা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী একটি অপরাধ। কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেয়া হয়েছিল। যে রায় আপিল বিভাগ দেবেন, সেই রায় আগামী প্রজন্ম ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩টি আসনে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। 


গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 


মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন। 


তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল।


তারেক রহমান এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার পর দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
 

Pic

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ওয়াও – উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ গ্র্যান্টস ২০২৫–২০২৬ -এর আবেদন গ্রহণ শুরু

লিঙ্গ-বৈষম্যের বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কাজ করছেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এমন শিল্পী এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের শিল্প ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আবেদন করার আহ্বান

ঢাকা, ০২  নভেম্বর, ২০২৫

উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড (ওয়াও) গ্রান্টস ২০২৫ -এ আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির জন্য দুই ধরনের গ্রান্ট প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।  শিল্প, সংস্কৃতি, লৈঙ্গিক সমতা এবং  সমকালীন সমাজের নানা বিষয় নিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো যাবে আগামী  ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত। এছাড়াও আগ্রহী আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি ইনফরমেশন ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে যা আয়োজিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং ওয়েবিনারে নিবন্ধন করতে ভিজিট করুন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ওয়েবসাইট।

 

বিশ্বজুড়েই লৈঙ্গিক সমতা অর্জন করা জরুরি এবং অর্জন সম্ভবও, এ বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘ওয়াও-উইমেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড।’ ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজিত হয় ওয়াও।  বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত এই ‘ওয়াও ফেস্টিভ্যাল’ পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালে ঢাকায় জাতীয় উৎসব হিসেবে আয়োজিত হয়। এবারের ‘ওয়াও বাংলাদেশ ২০২৫–২০২৬’ -এর জন্য শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনগুলোকে শিল্পমাধ্যমে অথবা সাংস্কৃতিক কাজ বা উদ্যোগের মাধ্যমে লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে কাজ করবে এমন প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে; যেখানে এই থিমগুলির এক বা একাধিক থাকতে হবেঃ ১) চলচ্চিত্র, চলমান চিত্র ও মিডিয়া অ্যাস্থেটিকস; ২) হাইপারঅবজেক্ট মিটস হাইপারঅবজেক্ট: লৈঙ্গিক সমতা এবং জলবায়ু নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ; ৩) স্টেম (STE(A)M): বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, (শিল্পকলা), প্রকৌশল ও গণিত। 

 

ঘোষিত দুইটি আহবানের মধ্যে প্রথমটি হল ‘ওয়াও বাংলাদেশ কমিশন্স ২০২৫’। এই আহবান যুক্তরাজ্যে কিংবা বাংলাদেশে অবস্থানরত শিল্পী, শিল্পীদল কিংবা শিল্প-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ বারো হাজার পাউণ্ড (বাংলাদেশী টাকা সমমূল্য) অনুদান প্রদান করবে, যেন নির্বাচিতরা শিল্পকর্ম, প্রদর্শনী, পারফরমেন্স বা প্রদর্শনীমূলক কর্মসূচি তৈরি, প্রযোজনা ও উপস্থাপন করতে পারে।

 

অন্যদিকে, দ্বিতীয় আহবান ‘ওয়াও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারস ২০২৬’- শুধুমাত্র চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটভিত্তিক শিল্পী সংগঠনগুলোর জন্য, যেন তারা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে যে কোনো একদিন দিনব্যাপী ‘ওয়াও বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’-এর আয়োজন করতে পারে। এ বিভাগে সর্বোচ্চ তেইশ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকা সমমূল্য) পর্যন্ত গ্রান্ট প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিভাগে একাধিক গ্রান্ট প্রদান করা হবে। 

 

এই গ্রান্ট সকল সাংস্কৃতিক ও শিল্পক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত। আবেদনকারীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে তাদের যৌথ কাজের ভিত্তিতে ‘ওয়াও বাংলাদেশ ২০২৫-২০২৬’ -এর নির্ধারিত বিষয় ও প্রতিপাদ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনী, আলোচনা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা প্রকল্পের প্রস্তাবে উল্লেখ করার।  


ওয়েবিনারে নিবন্ধন করতে, আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে ও আবেদন নির্দেশিকা পড়তে এবং আবেদন করতে ভিজিট করুন: https://www.britishcouncil.org.bd/en/programmes/arts 


বাংলাদেশে ওয়াও এর যাত্রা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ   https://www.britishcouncil.org.bd/en/programmes/arts/wow-women-world 
 

Pic

নারী ফুটবল অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন কামরুন্নাহার মুন্নি

টাঙ্গাইলের কামরুন্নাহার মুন্নি একজন স্কুল শিক্ষক। সেই সাথে তিনি সফল নারী ফুটবল কোচ এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। 

 

মুন্নি শুধু ফুটবল প্রশিক্ষণই দেন না, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা নিয়েও কাজ করেন। তিনি মেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করতে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে তিনি টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমায় মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন। 

 

কামরুন্নাহারকে নিয়ে তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র ৭৪তম কানচলচ্চিত্র উৎসবে বাণিজ্যিক শাখায় ‘মার্সে দ্য ফিল্ম’-এ নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার লাভ করে। প্রামাণ্যচিত্রটির কারণে কামরুন্নাহারের বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কথা দেশ পেরিয়ে বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিতে আলাপকালে সমাজের ‘প্রতিকূল’ পরিবেশের বিরুদ্ধে ‘সংগ্রাম’ চালিয়ে যাবার গল্পই তুলে ধরেন মুন্নি।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি জানান, সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মেয়েদের হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল। যে বয়সে মেয়েদের লেখাপড়া আর হাসি খেলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে তাদের ধরতে হচ্ছিল সংসারের হাল। নিজ ছাত্রীদের এমন পরিণতি দেখে স্কুলশিক্ষিকা কামরুন্নাহার মুন্নি তাদেও জন্য কিছু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাই বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কৌশল হিসেবে ছাত্রীদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।

 

পেশায় শিক্ষিকা কামরুন্নাহার নারীদের ফুটবলে ‘বিপ্লব ঘটানো’ এবং ‘বাল্যবিবাহ রোধে’ সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ দিয়ে এরই মধ্যে অনেক মেয়ের জীবনের গতিপথে পরিবর্তন এনেছেন। পুরুষদের পাশাপশি নারীদের ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৮ জন নারীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন। এই এডাডেমিতে ৪৭  জন মেয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই একাডেমির ছাত্রী হিসেবে বর্তমানে বয়স ভিত্তিক ও সিনিয়র টিমে ৪ জন ফুটবলার রয়েছেন। তারা হলেন রিতু আক্তার,মারিয়াম বিনতে আন্না,আলমিনা আক্তার  ও রুপা আক্তার। বর্তমানে একাডেমির ছাত্রী সংখ্যা ৩৫ জন।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন কামরুন্নাহারের স্বামী আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল ও টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মির্জা মাসুদ রুবেল।

 

মুন্নি আরও জানান, ২০১০ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে নানা খেলাধূলার আয়োজন করতেন। ২০১২ সালে ‘টাঙ্গাইল প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে’ এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে স্কুলে ফিরে গিয়ে দেখেন অনেক মেয়েই নেই, কারণ তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। 

 

কিছুদিন পর বাল্যবিয়ের শিকার এক ছাত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। তার কাছ থেকে জানতে পারেন, ছোট ছোট মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঘটনা। তখনই তিনি মেয়েদের বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। যেহেতু বিষয়টা সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে, তাই কীভাবে মেয়েদের রক্ষা করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেন।

 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তার সামনে ছিলো- বিশেষ কওে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদেও নিয়ে যেকোন কাজ করা অনেক সময়ই কঠিন। তার উপর মেয়েদের ফুটবল খেলায় আগ্রহী কওে তোলা মানে সমাজের রেওয়াজের বিরুদ্ধে যাওয়া। তারপরও তিনি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মেয়েদের ফুটবল শেখাতে থাকেন। সে সময় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের নিয়ে ফুটবল দল গঠন করা হয়। তিনিও তার স্কুলে ফুটবল দল গঠন করেন।

 

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কামরুন্নাহার টাঙ্গাইল শহরের ‘উত্তরণ শিশু শিক্ষালয়ে’ বদলি হয়ে আসেন। এরপর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দল গঠনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পান তিনি। এ সময় গ্রামের বিভিন্ন স্কুলের মেয়েদের ফুটবল খেলায় সম্পৃক্ত করতে থাকেন। কিন্তু দেখা যায়- অনেক পরিবার মেয়েদের খেলাধূলায় আসতে দিতে চাচ্ছে না।

 

অনেক দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা নিয়মিত টাঙ্গাইলে এসে অনুশীলনে অংশও নিতে পারে না। সেই মেয়েদের নিজের বাসায় রেখে অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা করেন। এক পর্যায়ে ‘মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি’ গঠন করেন মুন্নী। এই একাডেমিতে নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের সবার থাকা-খাওয়া ও অনুশীলনের সব দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নেন।

 

শুরুর দিকে নিজের আয়ের জমানো টাকা খরচ করে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিতেন মুন্নী। পরে এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ডেইলি স্টার আনসাং উইমেন্স নেশন বিল্ডার্স’ পুরস্কার লাভ করেন। সেই পুরষ্কারের দুই লাখ টাকার পুরোটাই তিনি খরচ করেছেন তার একাডেমিতে।

 

মুন্নী বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভূঞাপুরের সপ্তম শ্রেণীর এক মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাদের বুঝিয়ে মেয়েটিকে নিজের একাডেমিতে নিয়ে যান। কিছুদিন পর শোনেন বিয়ে ভেঙে গেছে। মেয়েটি পরে বিকেএসপিতে প্রমীলা ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সুযোগ পায়।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বি ডিপ্লোমা কোচেস কোর্স শেষ করেছেন। এর আগে ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স করেছেন। বিকেএসপিতেও করেছেন কোচেস কোর্স। মুন্নীর একাডেমির মেয়েদের নিয়ে গড়া টাঙ্গাইল জেলা দল ২০২১ সালে এবং ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেণ্টে ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে আনসারের হয়ে খেলেছেনে একাডেমির ফুটবলার সিরাত সাবরিন ও রূপা আক্তার। বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্যজয়ী রাগবি দলের সবাই এই একাডেমির ছাত্রী । বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগওে পেয়েছেন আট নারী ক্যাডেট ফুটবলার। এ ছাড়া বিকেএসপির ফুটবলে স্বল্প মেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন ছাত্রী।

 

৩৭ বছর বয়সী কামরুন্নাহার জানান, একাডেমির মেয়েরাই তার আদরের সন্তান, তাদের নিয়েই তার সব ভাবনা। মেয়েরা খেলতে চায়। কিন্তু অনেক পরিবার মেয়েদের খেলতে দিতে চায় না। তিনি মনে করেন, খেলার মাধ্যমেই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। খেলায় যুক্ত হলে মেয়েদের মধ্যে একটা নেতৃত্ববোধ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি মনের সংকীর্ণতা দূর হয়।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে কামরুন্নাহার জানান, “বাল্যবিয়ে রোধ ও এবং ফুটবল নিয়ে চলমান কাজের প্রসার ঘটাতে চাই। প্রথম যখন মেয়েদের নিয়ে ফুটবল অনুশীলন শুরু করি, তখন অনেকেই বলতেন- এটা আমার পাগলামি। ধীরে ধীরে সফলতা আসছে।” এখন অনেকেই এটাকে আর পাগলামি মনে করে না। কোনো মেয়ের শিক্ষাজীবন যেন ঝরে না যায়, কাউকে যেন বাল্যবিয়ের শিকার হতে না হয় সেজন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই।”

 

মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল বলেন, সুবিধাবঞ্চিত, বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণে কামরুন্নাহারের এ ইচ্ছেকে আমি সম্মান দেই। তার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো, এটা ভালো লাগে। প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম। এখন আমিও উৎসাহ দেই এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। তার অবসর সময়কে সে সামাজিক সচেতনতার কাজে লাগায় সেটা আমারও ভালো লাগে। আগে পাগলামি মনে হলেও এখন সেটা, মনে হয় না। কারণ অনেক মেয়ে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত হচ্ছে তার চেষ্টায়।

 

একাডেমির সভাপতি মির্জা মাসুদ রুবেল বলেন, কামরুন্নাহার সাধারণ জীবন-যাপনের বাইরে ভিন্নভাবে সমাজকে নিয়ে ভাবে। সে মেয়েদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে এবং তাদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে কাজ করছে। বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে তার এই উদ্যোগ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণামূলক মনে করি।
 

Pic

তারুণ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কফি পান সহায়ক হতে পারে!

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে কফি অন্যতম। প্রতিদিন মানুষের মধ্যে কফি খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

 

ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন কিলোগ্রাম কফি পান করা হয়। কফির রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণও।

 

সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে নারীরা নিয়মিত কফি পান করলে তারুণ্য ধরে রাখে। শরীর-মন থাকবে তরতাজা। এমনই চমকে দেওয়া তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন কফি পানের অভ্যাস নারীদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ বার্ধক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

 

বিগত ৩০ বছর ধরে প্রায় ৫০ হাজার নারীর উপরে এই গবেষণায় চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সে প্রতিদিন এক থেকে তিন কাপ ক্যাফেইনযুক্ত কফি পানকারী নারীরা বার্ধক্যে অনেকটা সুস্থ ছিলেন। তারা বড় কোনো অসুস্থতা ছাড়াই ছিলেন শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সুস্থ। কফি মস্তিষ্কের তীক্ষ্নতা, মনের জোর বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী একাধিক জটিল রোগ থেকে দূরে রাখে।

 

৬০ বছর বা তার বেশি বয়সে কোনো গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই জীবনযাপন করতে পেরেছেন এই নারীরা। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকোষের ক্ষতি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন ছাড়াও কফিতে থাকা অন্যান্য বায়োঅ্যাক্টিভ সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কফির এই উপকারিতা শুধু ক্যাফেইনযুক্ত কফির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। চা, ডিক্যাফ কফি বা কোলা জাতীয় অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে এই উপকার পাওয়া যায়নি। বরং কোলা বা সফট ড্রিংক বেশি পান করলে সুস্থ বার্ধক্যের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন বার্ধক্য রোধ করার পাশাপাশি কোষের ক্ষতি হওয়া আটকাতে সহায়তা করে। ডিএনএ মেরামত করে স্ট্রেস প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কফি খেলে মেজাজ উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বিষণ্নতা বা অ্যালজাইমার রোগের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

 

এছাড়া ফ্যাটি লিভার, লিভার ফাইব্রোসিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লু কিও মনে করেন, সকালের দিকে কফি পান করা স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে দিনের অন্যান্য সময় কফি পান করলে সুফল কমে যেতে পারে।

 

কফি থেকে দূর থাকবেন যারা
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই কফি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এই সমস্যাগুলো বাড়াতে পারে।
 

Pic

বয়স বাড়লেও সুস্থ জীবন চান? ৫০-এর পর এই ৫ নিয়ম মেনে চলুন 

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:

বর্তমান সময়ে ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা যেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। মানসিক চাপ, ভেজাল খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন সব মিলিয়ে শরীর ও মনের উপর পড়ছে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব। তবে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ অভ্যাস যোগ করলেই দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনধারণ করা সম্ভব।

 

কম-চাপের নিয়মিত ব্যায়াম করুন
বয়স ৫০ এর পর ভারী ব্যায়াম না করে সাঁতার, নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও তাই চির মতো ধীর-গতির অনুশীলন উপকারী। এতে করে মাংসপেশি সক্রিয় থাকে, জয়েন্টে চাপ পড়ে না এবং মানসিক চাপও অনেক হ্রাস পায়।

 

সমাজ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকুন
সমাজচ্যুতি ও একাকীত্ব... মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা মস্তিষ্ককে সচল রাখে।

 

প্রতিদিন মানসিক ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন একটি ক্রসওয়ার্ড বা পাজল করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চর্চা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন
ধূমপান থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে।

 

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস করুন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কমে যায়। ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ ও লিন মাংস ও মুরগি -এই উপাদানগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর শক্তিশালী থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
 

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭