শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-১০-০৫ ১৭:৪৩:১৩
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মোছা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর জারি করা এ আদেশ অনুযায়ী, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশের মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে।
অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, বাড়িভাড়া ভাতা পরিশোধে আর্থিক বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
গত ৭ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই আদেশ জারি করা হয়। তবে শিক্ষকরা এই বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী রোববার (৫ অক্টোবর) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করেছি। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের উৎসবভাতাও মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং এত দিন ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন। এর বাইরে তাঁরা বছরে দুটি উৎসবভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে এবং বৈশাখী ভাতা ২০ শতাংশ হারে পেয়ে থাকেন।
গত ১৩ আগস্ট শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। পরবর্তীতে তাদের প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের শতকরা হারে নির্ধারণের দাবি জানায়।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা উপদেষ্টা তখন বলেছিলেন, বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা এবং চিকিৎসাভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে শিক্ষক নেতারা সেই প্রস্তাব যথেষ্ট মনে করেননি।