শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-১০-০৪ ২২:০৬:৩৬
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টির মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে বললেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন নিয়ে এত আলাপ আলোচনা হচ্ছে, সেটার বিষয়ে আমাদের মতামত হলো, এটা সঠিক অর্থে ঠিক নির্বাচন হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি না। এটা নির্বাচনের নামে কিছুটা প্রহসন হচ্ছে বলেই আমার বিশ্বাস। কেননা, শেখ হাসিনা সরকারের যে নির্বাচন নিয়ে আমরা এত সমালোচনা করেছিলাম যে শেখ হাসিনা নিজের দলের সঙ্গে দলের একটা নির্বাচন করেছিল যেখানে দল তার প্রতিপক্ষে নিজের দলের লোকের সঙ্গেই কম্পিটিশন করেছিল। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছিল, আমাদেরকেও সেখানে তারা নিয়ে এসেছিলেন কিছুটা বাধ্য করেই। এখনো মোটামুটি সরকারি দল এবং আধা-সরকারি দল এই দুটোর মধ্যেই নির্বাচন হচ্ছে।”
জিএম কাদের বলেন, “সাধারণত এই ধরনের নির্বাচনে একটা পক্ষ একেবারে নিউট্রাল গভর্মেন্টের আন্ডারে হয় তাহলে একপাশে থাকে একপক্ষ, আরেকপাশে থাকে তার প্রতিপক্ষ। এখানে মোটামুটি সরকার পক্ষ এবং অর্ধ-সরকারি পক্ষ এই ধরনের দুটি দলের কম্পিটিশন হচ্ছে। প্রতিপক্ষ সেভাবে আমরা দেখছি না। সে কারণে মনে করি এটা নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন হবে এবং সেখানে মোটামুটি কিছুটা হলেও শেখ হাসিনার মতো একেবারে পূর্বনির্ধারিত দলের সম্ভাবনা আছে।”
‘সরকারি দল হলো, সরকার যাদেরকে গ্রহণ করেছে যে এনারা আমাদের নিয়োগকর্তা এবং অভিভাবক। তারা যে দল গছন করেছে, সরকার সর্বাত্মকভাবে সেই দলকে সমর্থন করেছে এবং সেই দলের দুজন অ্যাভাইজার এখনো মন্ত্রিসভায় আছেন। তারা যেখানেই যাচ্ছে, যেকোনো দলীয় সদস্য একেবারে সরকারি প্রটোকল পাচ্ছেন, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। সরকারি দল হিসেবে যা পাওয়া দরকার সবই তারা পাচ্ছেন। তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যে দলটি আছে, তারা জামায়াতে ইসলামী এবং আরও কিছু দল। উনারা সরকারি দল হিসেবেই ফাংশন করছেন। আর আধা সরকারি দল হলো বিএনপি। তারা হান্ড্রেড পার্সেন্ট সরকারকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না’-উল্লেখ করেন তিনি।
জিএম কাদের আরও যোগ করে বলেন, “কিন্তু মোটামুটি ৫০ ভাগের বেশি হলেও তারা সরকারকে কন্ট্রোল করছে। সরকারের সঙ্গে সরকারের নির্বাচনের জায়গায়, সরকারের সঙ্গে আধা সরকারের একটা নির্বাচন হচ্ছে। এখনও ৫০ ভাগের বেশি লোককে বাইরে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনার সময়েও তাই হয়েছে, এখনও তাই চলছে, শেখ হাসিনা ৫০ শতাংশকে বাইরে রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন, এখন প্রশাসনিক আদেশে করা হচ্ছে।”