রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০২৫-০৩-০৭ ০০:২০:১১

News Image

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির (পিওকে) ভারতের মানচিত্রভুক্ত করাই নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে কাশ্মির ইস্যুতে দীর্ঘদিনের সংকটের সমাধান হবে। ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।  


জয়শঙ্কর বলেন, “কাশ্মির ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। প্রথম ধাপে আমরা সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি। দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে গতিশীল করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছি। তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি, যেখানে বিপুল সংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছেন। এখন আমাদের সামনে চতুর্থ ধাপ রয়েছে, যেখানে আমাদের লক্ষ্য হলো জম্মু-কাশ্মিরের চুরি যাওয়া অংশ উদ্ধার করা। অর্থাৎ, পাকিস্তান যেটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে, সেটিকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা।”


তিনি আরও যোগ করেন, “আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যদি আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারি, তাহলে কাশ্মির ইস্যু নামে আর কোনো সংকট থাকবে না। এটিই এই সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।” 


কাশ্মির ইস্যু ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সবচেয়ে বড় বাধা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের সময় থেকেই এই সংকটের সূত্রপাত। জম্মু-কাশ্মিরের শেষ রাজা হরি সিং প্রথমে স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও পাকিস্তানি সেনাদের আগ্রাসনের মুখে ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকে জম্মু-কাশ্মিরের ৪৩ শতাংশ ভারতের, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের এবং বাকি ২০ শতাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  


২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়। জয়শঙ্করের বক্তব্য অনুযায়ী, এখন ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা।  


জয়শঙ্করের এই মন্তব্য ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের এই অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং কাশ্মির ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। অন্যদিকে, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিজেপি সরকারের এই অবস্থানকে শক্তিশালী করার একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
 





সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭