শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-০৭-০৩ ১৬:৫৪:২৭
জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সরকারি অর্থায়নে স্থাপিত শতাধিক সোলার স্টি্রট লাইট বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, বাজার ও সড়কপথে স্থাপিত এসব লাইটে এখন আর আলো জ্বলে না। দীর্ঘদিন ধরে এসব লাইট অকেজো থাকায় রাত্রিকালীন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে উপজেলার হামিদপুর, দেওদিঘী, পলাশতলী, হেংগারচালা, কুতুবপুর, নলুয়া, বেড়বাড়িসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে লাইটগুলোর প্যানেলে ধুলোর স্তর জমে আছে, কোথাও ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে, কোথাও লাইটের ঢাকনা ভাঙা, আবার কিছু পোস্ট হেলে পড়েছে বা মাটিতে পড়ে আছে।
চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পরই লাইট নষ্ট হয়ে যায়। এখন আবার আগের মতো অন্ধকার রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়।
পলাশতলী বাজারের চা দোকানি হবি মিয়া বলেন, ব্রিজের পাশে একটি লাইটের খুঁটি বহুদিন ধরে হেলে পড়ে আছে। দেখার কেউ নেই।
উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিকদার মু. ছবুর রেজা বলেন, সরকার লোক দেখানো প্রকল্প চালিয়ে কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছে। তার দলের নেতাকর্মীদের খুশি করেছেন। নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের কারণেই আজ এসব লাইট অকেজো। এর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। আমি ইউএনও মহোদয়কে অনুরোধ করবো গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওয়াসীম মিয়া বলেন, ২০২০—২১ অর্থবছরের পর থেকে এ প্রকল্পে কোনো বরাদ্দ নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান লাইট বসিয়েছিল, তাদের চুক্তির মেয়াদও শেষ। নতুন বরাদ্দ না এলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, সোলার লাইট সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মানহীন প্রকল্প গ্রহণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণেই আজ এ অবস্থা। দ্রুত লাইটগুলো মেরামতের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন প্রকল্পে মাননিয়ন্ত্রণ ও দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা।