বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Logo
Add Image

আন্তর্জাতিক

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ২০২৫-০৫-১৪ ২৩:৫৯:৩৫

News Image

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

 

 এ প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট। 


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি বাংলাদেশের সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী?


জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন, “আমরা জানি যে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। আমরা সব দেশের- তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে - প্রতি আহ্বান জানাই- মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা যেন সবার জন্য রক্ষা করা হয়।”


পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেভাবে উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র বৈঠক হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন বাড়ছে। এই বৈঠকটি বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।


জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন: “আমি আগের প্রশ্নের উত্তরেই একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলাম-সেটিই পুনরায় বলব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই। আমরা এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী এবং এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছি।”
 

Logo
Logo





Logo
Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭