বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

Logo
Logo

বিনোদন

ঈদের ছুটিতে যমুনা নদীর পাড়সহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভীড়

প্রকাশিত: ২০২৫-০৪-০৩ ২৩:৫৯:৪৩

News Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবারের দীর্ঘ ছুটির কারণে ঈদ-উল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে টাঙ্গাইলে যমুনা সেতুর পূর্ব পাড় যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় দেখা গেছে। যমুনার সৌন্দর্য, সূর্যাস্ত ও যমুনা সেতু দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ভীড় জমিয়েছেন। এছাড়াও টাঙ্গাইলের অন্যন্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ভীড় লক্ষ করা গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভীড় করছেন দর্শনার্থীরা। তবে অন্য সময়ের তুলনায় এবার দর্শনার্থীদের ভীড় একটু কম লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শনীয় স্থানগুলো।

 

ঈদের  চতুর্থ দিন  দিন বৃহস্পতিবার  দুপুরের পর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যমুনা সেতু ও যমুনা পাড়ে ঘুরতে এসেছেন হাজারো দর্শনার্থী। লেগুনা, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে সেতু পূর্ব এলাকায় ঘুরেছেন তারা।

 

যমুনা সেতুর উপর নির্মিত দেশের বৃহত্তম রেল সেতু। অনেকেই রেলসতুতেও দেখতে ভীড় করেছন। এছাড়া জেলার মহেড়া জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল রেলস্টেশন ডিসি লেক ও এসর্পি পার্কেও ভীড় লক্ষ করা গেছে।

 

সরেজমিনে যমুনা সেতুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা নৌকায় চড়ে যমুনার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। যমুনা ও রেল সেতুর নিচ দিয়ে চলন্ত নৌকায় বেড়ানো যেন আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। এতে নদীতে ঘুরতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য যমুনা নদীর পাড় খুবই সুন্দর। বিশেষ করে সূর্যাস্ত দেখতে অন্যরকম লাগে। আবার ঈচ্ছে করলেই সেতু কাছ থেকে দেখতে পারছি। সব মিলিয়ে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। সেতুর পার এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি করছি।

 

ছোট ও বড় সাইজের নৌকার চালকরা বলেন, যমুনা ব্রীজের নিচ দিয়ে ঘুরে আসতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। জনপ্রতি ৫০ টাকা নেয়া হয়। সারা বছর তেমন তেমন লোকজন হয় না। তবে ঈদের ৪ থেকে ৫ দিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে অন্যান্য উৎসবেও দর্শনার্থী আসে। এতে আমাদের আয় রোজ ভালই হয়। ঘুরতে আসা শিশুরা বলে, বাবা মায়ের সাথে ঘুরতে এসেছি। ঘুরে খুব ভালো লাগছে। নৌকায় উঠে আমাদের বেশি ভালো লেগেছে।

 

টাঙ্গাইল সদর থেকে আসা মীর সাব্বির হোসেন সৈকত বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। যমুনা সেতু ও রেল সেতুর নিচ থেকে ঘুরে আসলাম। সব মিলেয়ে ভালো লেগেছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঘুরে আনন্দ পেয়েছি। জাহিদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, যমুনা সেতু ও রেল সেতু এক সাথে হওয়ায় অনেক দর্শনার্থীই ঘুরতে আসছেন। বন্ধুদের সাথে আমিও ঘুরতে এসেছি। ঘুরে খুব ভালো লাগছে।

 

ভ্রমণ পিপাসু তামজিদ আহমেদ খান বলেন, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যমুনা নদীর পাড়। রাস্তায় কিছুটা যানজটের কারণে বিরম্বনায় পড়তে হয়েছিলো। তবে সেতু পাড়ে আসার পর খুবই ভালো লাগছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। টহল পুলিশ ও মোবাইল টিম পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যথাযথ নজরদারি করছেন।
 





সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭