রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা নেই: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২০২৫-০২-১৪ ২০:০৫:৩৩

News Image

সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের (ছায়া রাষ্ট্র) কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

 

ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভি-তে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতীয় এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করছেন। ওই সাংবাদিক বলেছেন, "আপনি (ট্রাম্প) বাংলাদেশ ইস্যুতে কী বলবেন। আমরা দেখেছি এবং এটা স্পষ্ট যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসও (প্রধান উপদেষ্টা ড.  মুহাম্মদ ইউনূস) জুনিয়র সরোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?"

 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, "সেখানে (বাংলাদেশে) আমাদের “ডিপ স্টেটের” কোনো ভূমিকা ছিল না...এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্পষ্ট করে বললে কয়েক শ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে পড়ছি। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে (বলার ভার) আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব।"

 

ট্রাম্পের এই কথার পর মোদি উত্তর দিতে শুরু করেন। তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেন।

 

পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এক সাংবাদিক তাঁর কাছে—‘বাংলাদেশের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) ওপর ছেড়ে দেব’—ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান। মিশ্রি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যা বলব...দুই নেতার আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতামত জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও ভারত এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে, সে বিষয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন।"

 

ডিপ স্টেট বা ছায়া রাষ্ট্র বলতে সাধারণত অনির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাইভেট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে, যারা বেআইনিভাবে সরকারি নীতিতে প্রভাব বিস্তার ও তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।

 

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেছেন মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।

 

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সীমান্তবেড়া নির্মাণ ইস্যুতে একাধিকবার কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে, যাতে ভারত এখনো সাড়া দেয়নি।#





সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭