রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

Logo
Logo

জাতীয়

ভর্তি পরীক্ষা

মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ভর্তি স্থগিত

প্রকাশিত: ২০২৫-০১-২০ ২৩:৪৫:১৫

News Image

শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।


সোমবার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, তাদের ফলাফল আপাতত স্থগিত থাকবে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই করব। সেজন্য তিনটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কিনা তা আমরা যাচাই করব। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই না।


অধ্যাপক রুবীনা বলেন, এটা প্রাথমিক ফলাফল। সবকিছু ফাইনাল হবে কাগজপত্র দেখার পর। অন্য সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটার কাগজপত্র যাচাইবাছাই হয় সংশ্লিষ্ট কলেজে, এবার কলেজে যাওয়ার সুযোগ নেই।


এর আগে রবিবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন রয়েছেন।


এদিকে প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন।


অন্যদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


সোমবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য শাহাদাত হোসেন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের ব্যর্থতার কথা জানানো হয়।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, কোটার বদৌলতে ১০০ নম্বরের মধ্যে কেবল ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশেরই মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

 

২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তার শুরুই হয়েছিল মূলত বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি থেকে। ফলত, এই কোটাব্যবস্থার বহাল থাকা আসলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক; যা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
 





সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭