শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

Logo
Add Image

জেলা খবর

অনিয়মের অভিযোগে

বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বদলির আবেদন

প্রকাশিত: ২০২৫-০৭-০২ ০০:৪৪:৫৩

News Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরকে অন্যত্র বদলির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন ইউপি সদস্য মোছা. কল্পনা বেগম, মোছা. নুরনাহার বেগম, মোছা. ছবিয়া বেগম, মো. সুমন খান, মো. লুৎফর রহমান, মো. নয়ন মিয়া, মো. হারুন অর রশিদ, ইয়াছিন, মোহাম্মদ কায়সার আহমেদ, মো. ফরমান আলী, মো. মনিরুজ্জামান ও মো. আক্তার হোসেন। ইতিপূর্বে ঈদ ঘিরে ভিজিএসফের চাল আত্মসাদসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ হয়েছিলো সামাউন কবিরের বিরুদ্ধে। 

 

লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন ৮ নং বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবির যোগদানের পর থেকে ইউপি সদস্যদের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছে। ইউপি সদস্যদের পরামর্শ না করে সামাউন কবির তার মতো স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাত করে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইউনিয়নের জনসাধারনের জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধনসহ যে কোন কাজে আসলে তাদেরকে আইনের ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে সরকারী ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করেনি। এতে জনসাধারণ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারন জনগন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

 

ইউপি সদস্যরা জানান, সামাউন কবির বাঘিল ইউনিয়নে আসার পূর্বে যে সকল ইউনিয়নে চাকরি করেছে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের একই ধরনের আচারন করেছেন। নানা অনিয়মের অভিযোগে ইতিপূর্বে কয়েকবার শারিরীকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। তার মতো দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারি দিয়ে পরিষদের কাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই তাকে ধনবাড়ী বা পাশ্ববর্তী কোন উপজেলা বদলি করা যেতে পারে। বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরকে বদলি করার জোর দাবি করেন ইউপি সদস্যরা।

 

বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামাউন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত আবেদনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

 

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. শিহাব রায়হানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
 

Logo
Logo





Logo
Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭