শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-০৬-২২ ২২:৩৯:১৭
ছবি : সংগৃহীত
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থান হবার পরও “এ দেশের রাজনীতিবিদ-আমলা কেউই কিন্তু চান না দুর্নীতির অবসান বা বন্ধ হোক” এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২১ জুন, শনিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেট সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ এবং দেশের অর্থনীতিবিদরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “অপচয়, দুর্নীতি, অদক্ষতা ও স্বজনপ্রীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। পানির উৎস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কেবল একজন মন্ত্রীর সুবিধার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় রাস্তা তৈরী করা হয়েছে এবং অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় অর্থও নষ্ট করেছে। এ যেন অপচয়ের কোন পরিসীমা নেই। এ ধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, সেদিকে নজর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত নিয়ে তিনি বলেন, “দেশে গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজির উপর নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকিও দিতে হচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণকল্পে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব।”
তার বক্তেব্যে তিনি আরও বলেন, “ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকেও অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।’’