শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-০৬-০৭ ০১:১৩:৪৫
নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঈদযাত্রার শেষ দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত হতে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যানজটে দুপুর থেকে প্রায় ৩ঘন্টা আটকে ছিলেন উত্তরবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ। নানা শ্রেণি পেশার এবং শিশুসহ সব বয়সী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
৬ জুন, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যমুনা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে করটিয়া বাইপাস পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রীদের ব্যাপক চাপ, সেতুর ওপর যানবাহন বিকল হওয়া এবং মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের কারণে বুধবার (৫ জুন) ভোর থেকে যানজট শুরু হয়, যা শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্তও অব্যাহত রয়েছে।
মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট—এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা গেছে, বাসের পাশাপাশি গরু বহনকারী ফেরত ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, লেগুনা এমনকি বাসের ছাদে করেও যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন। অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আবার কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা পরিবহনে গন্তব্যে ছুটছেন।
যাত্রীরা জানান, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে দুই ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব, সেখানে এখন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগছে। দীর্ঘ সময় গাড়িতে আটকে থেকে পানিশূন্যতা ও অসুস্থতায় ভুগছেন অনেকে। গণপরিবহনের সংকটের পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। যানজট কমাতে যমুনা সেতুর সীমিত সক্ষমতার কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী গাড়িগুলোকে ভূঞাপুর হয়ে ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ শরীফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে একাধিক বাস বিকল হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যানজট নিরসনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।