কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ১৯ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ১৯ বস্তা টাকা

মোঃ মনির হোসেন, কিশোরগঞ্জ থেকে 



কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক চার মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্বাবধানে দানবাক্স গুলো খোলা হয়। এবার ৮টি দানবাক্স খোলে পাওয়া গেছে ১৯ বস্তা টাকা । চলছে গণনার কাজ।


এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ উপস্থিত ছিলেন।

টাকা গণনা কাজে সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।



অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, ৮টি দানবাক্স খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে টাকার পরিমাণ কত?

এর আগে সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি ২০২৩ সালে  দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৮টি দানবাক্স থেকে তিন মাস ছয় দিনে পাওয়া গিয়েছিল মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এছাড়াও দান হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।



কথিত আছে প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার ১২ ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী ১২ জন জমিদারের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।