ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ ঢাকায়
ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ ঢাকায়
গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেন মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স এ মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
এর আগে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ মরদেহটি উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখে। পরে ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় মরদেহটি।
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। সেই কমিটির সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম, মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও মাহফুজুর রহমান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তাই মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিকে নেয়ার জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেন মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে সেলিম হোসেনের ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/185033/ফরেনসিক-পরীক্ষার-জন্য-কুয়েট-শিক্ষকের-মরদেহ-ঢাকায়