সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ
দিনাজপুর প্রতিনিধিজঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ উল্লেখ করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যেকোন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের এখানে কোন ছাড় নেই । সন্ত্রাসবাদকে দমন করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেখানেই সন্ত্রাসবাদ সেখানেই সরকার সোচ্চার এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দিনাজপুরের কাহারোলে কান্তজীও মন্দিরে ঐতিহাসিক রাস উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসাবাদের কোন ধর্ম নেই। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্ম দিয়ে তাদের বিচার করা যাবেনা। সন্ত্রাসী সব সময় সন্ত্রাসী। তাদের ধর্ম হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। কিন্তু আমরা যখন পদক্ষেপ নেই, যারা সন্ত্রাসাবাদকে লালন করে, তখন তারা সন্ত্রাসের পক্ষে বক্তব্য দেয়। কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করল, তখন মীর্জা ফখরুলরা কী বলে! বলে এটা সাজানো নাটক। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
একটি মহল দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক শান্তি বিনষ্ট করার জন্য রাতের অন্ধকারে প্রতিমার হাতে কোরআন শরীফ রেখে দেয়া হয়। সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য বায়তুল মোকাররমে কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে তারা পারেনি।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসের পক্ষে যায়, তখন সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা থাকেনা। সেটা বিএনপি-জামায়াত এর সময়ে ছিল। রাজশাহীতে আমরা দেখেছি কীভাবে বাংলা ভাইয়েরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সেদিন পুলিশ অসহায় হয়ে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের চারণভূমি বানাতে এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান করা হয়েছিল। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আজকে শেখ হাসিনা আছে বলেই আমরা প্রতিবাদ জানাতে পারি। দাবি করতে পারি। শেখ হাসিনা না থাকলে, আওয়ামী লীগ না থাকলে সন্ত্রাসীরা এ বাংলাদেশ পরিচালনা করে দেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করত।
খালিদ বলেন, পঁচাত্তরের পর কোন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ছিলনা। কারণ ধর্ম ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার হাতিয়ার। জিয়া এরশাদ খালেদা জিয়ারা ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে দেশ দখল করে পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। এরকম একটি অবস্থা ছিল মানুষ মসজিদ-মন্দিরে যেতো ভয়ে ভয়ে। কারণ বাংলাদেশে কোন আইনের শাসন ছিলনা। জাতির পিতার হত্যার বিচার হবেনা বলে যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল, তারা আপনার আমার নিরাপত্তা দিতে পারেনা।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্বে এলেন, তখন মানুষের আনন্দাশ্রু দেখেছি। তারা তাদের নিরাপত্তা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবেনা- এমন কালাকানুন আমরা বাতিল করেছিলাম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বারিউল করিম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি।
এর আগে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে এবং নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে দিনাজপুর ম্যারাথন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। পরে বিরলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন এবং মরহুম মহসীন আলী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/182946/সন্ত্রাসবাদ-দমনে-সরকার-দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ-নৌ-প্রতিমন্ত্রী