গোপালপুরে পুলিশ অফিসারের শিশুপুত্রকে অপহরণের পর হত্যা; গ্রেফতার ২

গোপালপুরে পুলিশ অফিসারের শিশুপুত্রকে অপহরণের পর হত্যা; গ্রেফতার ২


মোঃ নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গাঙ্গাপাড়া গ্রামের এক পুলিশ অফিসারের শিশু পুত্রকে মুক্তিপনের দাবিতে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার গোপালপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো গোপালপুর উপজেলার নবধুলটিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে নুরনবী এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুর কাদিরের ছেলে মোকাব্বির হোসেন।

গোপালপুর থানার এসআই এবং তদন্তকারি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গোপালপুর উপজেলার গাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক খন্দকার রাসেলের একমাত্র সন্তান রাহেনুল ইসলাম আরাফ (৬) গত ৮ অক্টোবর বাড়ি থেকে পরিকল্পিতভাবে অপহৃত হন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নুরনবীকে প্রথম আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজলার শরীফপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপর আসামী মোকাব্বির হোসেনকে আটক করা হয়। তবে অপহৃত শিশুটিকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে চালান দিলে আদালত আসামীদের চার দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।

মামলার বাদি এবং অপহৃত আরাফের দাদা নাসির উদ্দীন জানান, তার পুত্র খন্দকার রাসেল পাকুন্দিয়া থানায় চাকরি করলেও তার স্ত্রী সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন চকোলেট এবং চিপ্সের লোভ দেখিয়ে আরাফকে কৌশলে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর দুবর্ত্তরা পরিবারের নিকট ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একটি আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চক্র অপহরণের সাথে জড়িত বলে তার ধারণা। গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দীন খবরটি নিশ্চিত করেন।

এদিকে থানায় রিমান্ডে আনা আসামীরা আজ শনিবার কালিয়াকৈর রেলস্টেশনের কাছে শিশুটি হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে আসামীদের নিয়ে কালিয়াকৈরে এক ডোবা থেকে শিশুটির গলিত লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন লাশটি সনাক্ত না করতে পারায় ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। লাশটি গাজীপুরের তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ করে শিশুটির বাড়িতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।


গোপালপুরে বাজার গুলোতে হঠাৎ বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
বাজার তদারকির দাবি ক্রেতাদের

মোঃ নুর আলম গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে, টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা তরকারি, কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
এতে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়া, ফসল সংগ্রহ করতে না পারা এবং পরিবহন সমস্যার কারণে আড়ৎ এ পণ্য আমদানি কম থাকায় মূল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে, গোপালপুর বাজার, নলিন হাট ঘুরে দেখা যায়  টমেটো,গাজর, শসা, করলা, লাউ, পটল, বেগুন, আলু, মিষ্টি কুমড়ার দাম ১সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। ৪০-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলো ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নলিন হাটে বেগুনের দাম প্রতি কেজি ১০০টাকা ও লাউ‌ প্রতিটি ১০০টাকা বিক্রি হচ্ছিল। 
বুধবার গোপালপুরসহ অন্যান্য বাজারে পটল ৬০টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, মুখি কচু ৬০-৭০ টাকা, করল্লা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০টাকা, মুলা শাক৩০-৪০টাকা,
কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা সোয়াবিন তেল ১৬০-১৭০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০-৮০টাকা। ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩৬০ টাকা, লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকা,
সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  মুরগির ডিম ৫৫-৬০টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

চালপ্রতি বস্তা প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেড়ে, ২৯চাল ৫০কেজি বস্তা ৩০০০টাকা, পাইজাম চাল ৩৪০০টাকা বিক্রি হচ্ছে। 
গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ২০০-৩০০টাকা। চারিদিকে অথৈ পানি থাকলেও মাছ বাজারে নেই স্বস্তির খবর। 

ক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিকে পুজি করে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছেন। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে, বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতো না। 

অটো ভ্যান চালক আব্দুস সালাম জানান, বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন যাবৎ আয় রোজগার কমে গেছে। জিনিস পত্রের দাম এতো বেড়েছে যে, সামান্য আয় করা টাকা নিয়ে বাজারে এসে ব্যাপক হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গোপালপুর বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী ফেরদৌস বলেন, সাধারণত এসময় সবজির দাম কম থাকে, কিন্তু বৃষ্টির জন্য সবজির ক্ষেত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন মাল কিনতাম ২০-২৫ মন এখন মাল কিনতে হচ্ছে ৫-৭ মন। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল হাসান বলেন, মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আমরা অবশ্যই  ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।







গোপালপুরে বাজার গুলোতে হঠাৎ বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
বাজার তদারকির দাবি ক্রেতাদের

মোঃ নুর আলম গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে, টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা তরকারি, কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
এতে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়া, ফসল সংগ্রহ করতে না পারা এবং পরিবহন সমস্যার কারণে আড়ৎ এ পণ্য আমদানি কম থাকায় মূল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে, গোপালপুর বাজার, নলিন হাট ঘুরে দেখা যায়  টমেটো,গাজর, শসা, করলা, লাউ, পটল, বেগুন, আলু, মিষ্টি কুমড়ার দাম ১সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। ৪০-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলো ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নলিন হাটে বেগুনের দাম প্রতি কেজি ১০০টাকা ও লাউ‌ প্রতিটি ১০০টাকা বিক্রি হচ্ছিল। 
বুধবার গোপালপুরসহ অন্যান্য বাজারে পটল ৬০টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, মুখি কচু ৬০-৭০ টাকা, করল্লা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০টাকা, মুলা শাক৩০-৪০টাকা,
কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা সোয়াবিন তেল ১৬০-১৭০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০-৮০টাকা। ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩৬০ টাকা, লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকা,
সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  মুরগির ডিম ৫৫-৬০টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

চালপ্রতি বস্তা প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেড়ে, ২৯চাল ৫০কেজি বস্তা ৩০০০টাকা, পাইজাম চাল ৩৪০০টাকা বিক্রি হচ্ছে। 
গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে ২০০-৩০০টাকা। চারিদিকে অথৈ পানি থাকলেও মাছ বাজারে নেই স্বস্তির খবর। 

ক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিকে পুজি করে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছেন। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হলে, বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতো না। 

অটো ভ্যান চালক আব্দুস সালাম জানান, বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন যাবৎ আয় রোজগার কমে গেছে। জিনিস পত্রের দাম এতো বেড়েছে যে, সামান্য আয় করা টাকা নিয়ে বাজারে এসে ব্যাপক হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গোপালপুর বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী ফেরদৌস বলেন, সাধারণত এসময় সবজির দাম কম থাকে, কিন্তু বৃষ্টির জন্য সবজির ক্ষেত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন মাল কিনতাম ২০-২৫ মন এখন মাল কিনতে হচ্ছে ৫-৭ মন। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল হাসান বলেন, মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আমরা অবশ্যই  ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।