বিনা সুদে স্মার্টফোন কেনা যাবে বিকাশ ‘পে-লেটারে’

বিনা সুদে স্মার্টফোন কেনা যাবে বিকাশ ‘পে-লেটারে’

ঋণ নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করলে কোনো সুদ দিতে হবে না।

সাত দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে ফোরজি ও ফাইভজি স্মার্টফোন কেনার সুবিধা দিতে ‘পে-লেটার’ এর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিকাশ, গ্রামীণফোন ও সিটি ব্যাংক।

এর মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহকরা অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ সেবা ‘পে-লেটার’ ব্যবহার করে ‘গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স’ এবং এর বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা স্মার্টফোন পার্টনার ব্র্যান্ড সেলস পয়েন্ট থেকে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।

শনিবার বিকাশ ও গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকাশের গ্রাহকদের জন্য বেসরকারি সিটি ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ স্কিম হচ্ছে ‘পে-লেটার’। এর মাধ্যমে বিকাশের গ্রাহকরা সিটি ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

ঋণ নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করলে কোনো সুদ দিতে হবে না। সাত দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া গ্রাহকের নামে ৩ মাস মেয়াদি ক্ষুদ্র ঋণ তৈরি করবে সিটি ব্যাংক।

আর ঋণটি ছয় মাস মেয়াদি করতে চাইলে ২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ ছয় মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। তবে মেয়াদ যাই হোক, উভয়ক্ষেত্রেই বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

সিটি ব্যাংকের ‘পে-লেটার’ সেবা নিতে ঋণ প্রক্রিয়া বাবদ এককালীন ভ্যাটসহ শূন্য দশমিক ৫৭৫ শতাংশ দিতে হবে গ্রাহকদের।

স্মার্টফোন কেনা গ্রাহকরা মাইজিপি অ্যাপ থেকে ১৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদে ৭ জিবি (৪জিবি রেগুলার ও ৩জিবি সোশ্যাল মিডিয়া) ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে পারবেন ছয় মাস।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম বলেন, “ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে অন্যতম বাধা স্মার্টফোনের দাম। তাই সুলভ ও গ্রাহকবান্ধব অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি মানুষকে ডিজিটালি কানেক্টেড সোসাইটির সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে চাই।”

বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় গ্রাহকদের জরুরি প্রয়োজন পূরণ করতেই ‘পে লেটার’ সেবা চালু করা হয়েছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে উন্নত ডিজিটাল সেবা প্রদান এবং গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পার্টনারশিপ।”

সিটি ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার বলেন, “ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে গ্রাহকদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে একাধিক পার্টনাররা মিলে ‘পে-লেটার’ এর মত একটি উদ্ভাবনী সেবা চালু করেছে।”