নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ার আশ্বাসে আ. লীগ নেতার অর্থ আদায়

নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ার আশ্বাসে আ. লীগ নেতার অর্থ আদায়

নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ার আশ্বাসে আ. লীগ নেতার অর্থ আদায়

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরদিন টাকা ফেরতের বিষয়টি ঘটলেও শুক্রবার এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসন ও এক ওয়ার্ড সদস্যকে নির্বাচিত করে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাস্টারের বিরুদ্ধে। গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে পরাজিত হলে ওই দুই প্রার্থীকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরদিন টাকা ফেরতের বিষয়টি ঘটলেও শুক্রবার এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। 

এদিকে এ ঘটনায় আগামী ৩ দিনের মধ্যে আব্দুল হান্নান মাস্টারকে সেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা। শুক্রবার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাষ্টার ইউপি নির্বাচনে নৌকা বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। এছাড়া ইউপি নির্বাচনে কয়েকজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীদের কাছে থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার কথা বলে টাকা আত্মসাত করেছে, যা তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের সমস্ত টাকা ফেরত ও সেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে।

ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালাসহ একযোগে ১৩ ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণার পর আমি ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ছিলাম। গ্রামের সবাইকে ম্যানেজ করে জিতিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বিনিময়ে আমার নিকট থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নেন। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আমি পরাজিত হই। রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন টাকা ফেরত দেন হান্নান মাস্টার।

অপরদিকে, জেহালা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সানজিদা খাতুন সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড এর প্রার্থী ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, হান্নান মাস্টার বলেন ভোট চাইতে হবে না। সবাইকে ম্যানেজ করে বিপুল ভোটে বিজয়ী করা হবে। আপনার বিজয় সুনিশ্চিত। এ কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন। পরে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হলে আমার টাকা ফেরত দেন আব্দুল হান্নান।

এ বিষয়ে জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাস্টার বলেন, আমি নোংরা রাজনীতির শিকার। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য নয়, স্বেচ্ছায় ওই দুই প্রার্থী ক্লাব বাবদ ও কর্মীদের জন্য টাকা দিয়েছিল। আমি টাকা নিতে না চাইলেও জোর করে দিয়েছে। পরে তাদের টাকা আমি ফেরত দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/183730/নির্বাচনে-জিতিয়ে-দেয়ার-আশ্বাসে-আ.-লীগ-নেতার-অর্থ-আদায়