পরিবহন সঙ্কটে তৃতীয় দিনেও জনদুর্ভোগ

পরিবহন সঙ্কটে তৃতীয় দিনেও জনদুর্ভোগ

পরিবহন সঙ্কটে তৃতীয় দিনেও জনদুর্ভোগ

সড়কে রাজত্ব বেড়েছে সিএনজি, উবার, রিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের। যারা আজ ভাড়া হাকাচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট। এতে রাজধানীর সড়কে যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কর্মজীবী মানুষদের পায়ে হেঁটে এবং কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা-অটোরিকশায় কর্মস্থলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

এদিকে পরিবহন ধর্মঘট তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতি। তারা জানিয়েছে, আজ রোববার থেকেই চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস চলাচল করবে।

তবে, দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস। সেই সঙ্গে চলছে না কোনো আন্তঃপরিবহন। এই সুযোগে সড়কে রাজত্ব বেড়েছে সিএনজি, উবার, রিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের। যারা আজ ভাড়া হাকাচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ।

বাস ও ট্রাকের পর সারাদেশে বন্ধ রয়েছে লঞ্চও। এখন চলছে শুধু ট্রেন ও সীমিত আকারে বিআরটিসির বাস। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। গণপরিবহণ না পেয়ে বিকল্প যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, গাবতলী,  মিরপুর ও ধানমন্ডি এলাকার প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান থাকা যাত্রীদের ভিড়। পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে মানুষের ভোগান্তির তীব্রতা আরও বাড়বে এমন আশঙ্কা চাকরিজীবীদের। এদিকে বাস-লঞ্চ বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে ট্রেনের ওপর।

বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা খোলা থাকায় কর্মজীবীদের ভোগান্তিও বেড়েছে কয়েকগুণ। এর সুযোগ নিয়েছে রিকশা ও অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন। একই চিত্র দেখা গেছে দূরপাল্লার রুটেও। বাস বন্ধ থাকায় প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মিনি ট্রাকে গাদাগাদি করে ভেঙে ভেঙে যেতে দেখা গেছে। কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া যাত্রী উঠতে দেখা যায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী রবিউল আলম। তিনি যাবেন মতিঝিল। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে কোনো গাড়ির দেখা পাননি তিনি। বাংলাদেশ জার্নালকে তিনি বলেন, ধর্মঘট অমান্য করে কয়েকটি গাড়ি চলছে কিন্তু তাতে উপচে পড়া ভিড়। একবারই গাড়িতে ওঠা যাচ্ছে না।

গাবতলীর এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন আলম সরকার। তিনি জানান, মালিবাগ থেকে গাবতলী পর্যন্ত যেতে সিএনজি অটোরিকশাচালক ভাড়া চেয়েছেন ৬০০ টাকা। পরে বাধ্য হয়ে ৫০০ টাকায় যেতে হয়েছে।

পরিবহন খাতের অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাসের ভাড়া আমরা নির্ধারণ করে থাকি। ট্রাকের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় না।

নজরুল ইসলাম বলেন, তেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারের দাবিতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি আমাদের আওতাধীন নয়। যৌক্তিক কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। তেলের দাম কমানোর এখতিয়ার ওই মন্ত্রণালয়ের।

তিনি আরও বলেন, বাস ভাড়ার বিষয়টি আমরা দেখছি। সবার জন্য ভালো হয় এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

‘থমকে আছে’ সারাদেশ

দাবি না মানলে ধর্মঘট চলবে

ধর্মঘট প্রত্যাহার, আগামীকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে চলবে বাস

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/180590/পরিবহন-সঙ্কটে-তৃতীয়-দিনেও-জনদুর্ভোগ