শেষ সময়ে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি
শেষ সময়ে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি
নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে রোববার রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর কম দামে পেয়ে ক্রেতাদের মাঝেও ইলিশ কেনার ধুম...
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিনিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে রোববার রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর কম দামে পেয়ে ক্রেতাদের মাঝেও ইলিশ কেনার ধুম পড়ে।
রাত ৯ টার পর পৌর শহরের নতুর বাজার মোড় ও ফেরিঘাট এলাকায় বসে প্রকারভেদে তুলনামূলক সস্তা দামে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের। এ সময় প্রতিটি পয়েন্টে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২দিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আজ মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে ইলিশ ধরবে না জেলেরা। ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও মজুদকরণেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে শেষদিনের মতো বাজারে ইলিশ বেচাকেনায় ধুম পড়েছে।
এদিন ছোট সাইজের (জাটকা) ইলিশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে মাইকিং করে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ৪৫০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৪০০ টাকা, ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৯০০-৯৫০ গ্রাম ওজনের ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে ১৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ইলিশ বিক্রেতা জবেদ আলী বলেন, মহিপুর-আলীপুর মাছের মোকামে তুলনামূলক কম দামে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। ছোট সাইজের ইলিশ (জাটকা) এক কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এমন বিক্রি চলবে রাত ১২ টা পর্যন্ত।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সাগরে জালে ইলিশ কম ধরা পড়েছে। তারপরও মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২দিন অবরোধ পালনের লক্ষ্যে সব ট্রলারই ঘাটে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে মহিপুর-আলীপুর আড়ৎ ঘাটে হাজার হাজার ট্রলার নোঙরও করা রয়েছে।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, রাত ১২টার পর কোন ইলিশ বেচাকেনা করা যাবে না। এছাড়া ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও মজুদকরণের উপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবরোধ সফল করতে সাগর ও নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/176638/শেষ-সময়ে-মাইকিং-করে-ইলিশ-বিক্রি