ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে ইদ্রিস আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি হাতিশালা মোড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃদ্ধ ইদ্রিস আলী বয়স্ক ভাতা বা সরকারী সবধরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়ে অর্থাভাবে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডও হয়নি। তার দিনমজুর এক সন্তান থাকলেও সে থাকে ঢাকায়। ছেলের বৌ তাকে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে দিতে কার্পণ্য করতো। একবেলা খাবার খেতে দিলেও সে শ্বশুরকে বকাঝকা করত। আর এমন ঘটনা ছিল বৃদ্ধের জন্য নিত্যদিনের। সব কষ্ট বুকে চেপে রেখে ইদ্রিস আলী পেটে ক্ষুধা নিয়ে সবার সাথে মিশতেন হাসিমাখা মুখ নিয়ে। প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটতো অসহায় বৃদ্ধ ইদ্রিস আলীর।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দিনভর অনাহারে থেকে গভীর রাতে সে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে কষ্ট বুকে চেপে রেখে নিজ ঘরের বারান্দায় ডাফের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। মঙ্গলবার সকালে ছেলের বৌ ও এলাকাবাসী ইদ্রিস আলীর মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত ইদ্রিস আলীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ইদ্রিস আলী নামে ওই বৃদ্ধ খাবার কষ্টে থাকতেন সবসময়ই। বেটার বৌ তাকে দেখতে পারতেন না। একবেলা খাবার খেতে দিলেও করতেন বকাঝকা করতেন। এমন কষ্ট থেকে থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/177733/ক্ষুধার-জ্বালা-সইতে-না-পেরে-বৃদ্ধের-আত্মহত্যা