সাম্প্রদায়িক হামলা: দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে দুর্বার আন্দোলন

সাম্প্রদায়িক হামলা: দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে দুর্বার আন্দোলন

সাম্প্রদায়িক হামলা: দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে দুর্বার আন্দোলন

শিক্ষা

ঢাবি প্রতিনিধি

সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাঙচুর, নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীদের দেয়া ৩ দফা দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের সমন্বয়ে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক জয়দ্বীপ দত্ত।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের তৎপরতার সন্তুষ্ট হয়ে দাবি আদায়ের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের সমন্বয়ে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে গত সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর এবং হিন্দুদের বাড়িতে আগুন, নির্যাতনের সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিতসহ ৭ দফা দাবিতে  শাহবাগ অবরোধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। পরে দাবি আদায়ের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় তারা।

গত সোমবার (১৮ অক্টোবর) শাহবাগ অবরোধের পর ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। পরে তারা তাদের দাবিগুলোকে ৭ দফার পরিবর্তে ৩ দফার রূপান্তর করে। তাদের দাবিগুলো হলো :

>> দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মাধ্যমে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান করতে হবে।

>> ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।

>> সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু যন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক সাহিত্য সম্পাদক জয়দ্বীপ দত্ত। লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পাকিস্তানি ভাবাধারাপুষ্ট মৌলবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, নির্যাতন, লুট এবং অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ অক্টোবর শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীর দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট এবং পরবর্তীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা, লুট ও হত্যা প্রতিহত করতে প্রশাসন কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেনা। সারাদেশে এখনও বিভিন্ন জায়গায় হামলার পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জয়দীপ আরো বলেন, সরকার ইতিমধ্যে সম্প্রতি বজায় রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশাবাদী, সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে আমরা আপাতত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এবং ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে ১ নভেম্বর শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের সমন্বয়ে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/education/178660/সাম্প্রদায়িক-হামলা-দাবি-না-মানলে-১-নভেম্বর-থেকে-দুর্বার-আন্দোলন