মৃত্যুর পরেও বিশ্বরেকর্ড গড়লো রানি

মৃত্যুর পরেও বিশ্বরেকর্ড গড়লো রানি

মৃত্যুর পরেও বিশ্বরেকর্ড গড়লো রানি

সাভারের আশুলিয়ায় শিকড় এগ্রো নামের একটি খামারে বেড়ে ওঠে বামন গরু রানি।

বাংলাদেশ

সাভার প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় শিকড় এগ্রো নামের একটি খামারে বেড়ে ওঠে বামন গরু রানি। এই রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু দাবি করে স্বীকৃতি পেতে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের কাছে শিকড় এগ্রো কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে রানি মারা যায়। মৃত্যুর ৩৯ দিন পর রানি স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে।

সোমবার রাতে সাভারে চারিগ্রাম এলাকার শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানির গিনেজ বুকে স্থান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে। তিন দিন আগে রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে তারা।

আবু সুফিয়ান বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তারা শুধু দেখেছেন হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করা হয়েছিল কি-না? 

তবে আশার কথা হলো, রিপোর্টে এমন কিছুই পায়নি তারা। এরপর রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্থান দেয়া হয়।  

তিনি আরও বলেন, ‘রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল। প্রাণি হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছুদিন বাকি, তখন আমরা ওকে হারিয়েছি। রানির মৃত্যু কোনভাবেই ওই সময় মেনে নিতে পারিনি আমরা। আমরা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। তবে রানি বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যেতো।’

প্রায় এক বছর আগে নওগাঁ থেকে গরুটি সংগ্রহ করে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এই বক্সার ভুট্টি জাতের খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি, দুটি দাঁতও ছিল। রানির বয়স হয়েছিল দুই বছর। গিনেজ বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। ৪ বছর বয়সী ওই গরু উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ছিল ৪০ কেজি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/175858/মৃত্যুর-পরেও-বিশ্বরেকর্ড-গড়লো-রানি