লইছকা বিলে ২২ মরদেহ, সেই মাঝিকে খুঁজছে পুলিশ

লইছকা বিলে ২২ মরদেহ, সেই মাঝিকে খুঁজছে পুলিশ

লইছকা বিলে ২২ মরদেহ, সেই মাঝিকে খুঁজছে পুলিশ

বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লইছকা বিলে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায়  পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বালুভর্তি ট্রলারের মাঝি ও তার দুই সহযোগী রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝিকে এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- বালুভর্তি ট্রলারের মাঝি ও জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি এলাকার আলী আফজালের ছেলে জমির মিয়া (৩৩) একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মো. রাসেল (২২) ও কাশের মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (২২), মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো. সোলায়মান (৬৪) ও বিজয়নগরের কালারটেকের মিস্টু মিয়া (৬৭)।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় শনিবার সকালে বিজয়নগর থানায় উপজেলার চম্পকনগরের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তার পরিবারের চারজন সদস্য এই ট্রলারডুবিতে নিহত হয়েছেন। মামলায় আটক পাঁচজনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, বালুভর্তি ট্রলারের মাঝি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা গেলেও যাত্রীবাহী ট্রলারের মাঝির কোন সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে বালুভর্তি ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের আবদুল্লাহর মেয়ে তাকওয়া (৮), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের জহিরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ মামুন ভূঁইয়া (২০), চম্পকনগর ইউনিয়নের গেরারগাঁওয়ের মৃত কালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), একই এলাকার জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), জজ মিয়ার মেয়ে মুন্নি (৬), একই ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাক ওরফে মন মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম, বিজয়নগর উপজেলার আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জলী বিশ্বাস (৩০), পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে ত্রিদিবা (২), বিজয়নগর উপজেলার গেরারগাঁওয়ের মৃত আবদুল হাসেমের স্ত্রী কমলা বেগম ওরফে রৌশনারা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), একই উপজেলার গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলী বেগম, একই এলাকার হারিজ মিয়ার মেয়ে নাশরা আক্তার (৩), পৌর এলাকার দাতিয়ারার হাজী মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মীম (১২), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার রামগোপালপুর গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫), বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হাজী আবদুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিরু (৫৮), বিজয়নগর উপজেলার বাদেহারিয়া গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে মাইদা আক্তার-(৬), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার রামগোপালপুর গ্রামের শাওন মিয়ার ছেলে সাজিদ (৩), বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড় গ্রামের সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী রুবিনা আক্তার ও বিজয়নগর উপজেলার সোনাবর্ষীপাড়া গ্রামের আবদুল বারী ভূঁইয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/172167/লইছকা-বিলে-২২-মরদেহ-সেই-মাঝিকে-খুঁজছে-পুলিশ