চট্টগ্রামে করোনায় নগরের চেয়ে গ্রামে মৃত্যু বেশি

চট্টগ্রামে করোনায় নগরের চেয়ে গ্রামে মৃত্যু বেশি

চট্টগ্রামে করোনায় নগরের চেয়ে গ্রামে মৃত্যু বেশি

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। মৃত্যুর হার কোনো কোনো দিন কমলেও পরদিন আবার ফনা তুলে বেড়ে যাচ্ছে ।

বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। মৃত্যুর হার কোনো কোনো দিন কমলেও পরদিন আবার ফনা তুলে বেড়ে যাচ্ছে । সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। 

পরিসংখ্যানের তথ্যমতে করোনা মহামারিতে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার প্রথম ধাপে শহরমুখি থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয়ধাপে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। সেকারণে শহরের চেয়েও গ্রামে বসবাসকারী মানুষের মৃত্যুহার বেশি। 

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের ৪ জন নগরের বাকি ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯৮৪ জনে। এরমধ্যে ৫৮৭ জন নগরের ও ৩৯৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৯৮৫ জন। তারমধ্যে ৬৯২ জন নগরের ও ২৯৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৮৭১ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৭৮০ জন নগরের বাসিন্দা ও ২১ হাজার ৯১ জন বিভিন্ন উপজেলার।

রোববার দিবাগত রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ৮টি ল্যাব ও বিভিন্ন এন্টিজেন বুথে সর্বমোট ২ হাজার ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ১৪২ ও উপজেলার ৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া গেছে।  

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১৩৭ ও উপজেলার ৪৭ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।

নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ১ হাজার ৪৮ জনের মধ্যে ২৮১ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৮১ জন ও উপজেলার ২০০ জন। চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহকারী কয়েকটি কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে।

এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরন ল্যাবে ৩৩৪টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরের ৫১ ও উপজেলার ১২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ৩২৪ নমুনা পরীক্ষা নগরের ১৩৭ জন ও উপজেলার ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। 

আরটিআরএল ল্যাবে ১৪ নমুনা পরীক্ষা নগরের ১১ জন আর উপজেলার ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬৮ নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৩৭ জন ও উপজেলার ১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।  

ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৯৬ জন ও উপজেলার ৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কেবল ১৩টি এর মধ্যে উপজেলার ২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।

সর্বশেষ গত একদিনে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ২২ জন, সাতকানিয়ার ১১ জন, বাঁশখালীর ১৫ জন, আনোয়ারার ১৪ জন, চন্দনাইশের ৩ জন, পটিয়ার ৪৪ জন, বোয়ালখালীর ৩১ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৫৭ জন, রাউজানের ১৫ জন, ফটিকছড়ির ২৭ জন, হাটহাজারীর ৪ জন, সীতাকুণ্ডের ১৬ জন, মিরসরাইয়ের ১৩ জন ও সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ২১ জন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/169094/চট্টগ্রামে-করোনায়-নগরের-চেয়ে-গ্রামে-মৃত্যু-বেশি