কাঁটাবনের ৪০০ প্রাণীর মৃত্যুর বিচার দাবি জয়ার

কাঁটাবনের ৪০০ প্রাণীর মৃত্যুর বিচার দাবি জয়ার

কাঁটাবনের ৪০০ প্রাণীর মৃত্যুর বিচার দাবি জয়ার

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক

নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান পশুপাখির প্রতি সবসময়ই সংবেদনশীল। লকডাউন চলাকালে তাকে দেখে গেছে, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর জন্য খাবার নিয়ে বের হতে।  সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালে রাজধানী সবচেয়ে বড় পোষা প্রাণীর বাজার কাঁটাবনে ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার খবর চোখে পড়েছে এই অভিনেত্রীর। 

পশুপাখিপ্রেমী জয়া আহসান কাঁটাবনে ৪০০ প্রাণীর মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যাদের অবহেলায় এতগুলো প্রাণী মারা গেছে, ‘প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯’-এর আওতায় তাদের বিচার দাবি করেছেন তিনি। 

রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জয়া আহসান এই দাবি জানান। এ বিষয়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই তারকা দেওয়া স্ট্যাটাসটি বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো=

‘করোনা মহামারির দুঃসহ এই সময় আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারের মধ্যেই কোনো না কোনো অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। প্রায় সবারই মধ্যে কোনো না কোনো তাজা ক্ষত আছে। মানুষের কষ্টের কোনো সীমা নেই। মানুষের বাইরে মানুষের ওপর নির্ভরশীল প্রাণীগুলোরও কষ্টের কত খবর যে আমরা পাচ্ছি। কিন্তু একটা খবরে মনটাকে আর বশে রাখা গেল না। ১ জুলাই থেকে যে লকডাউন হলো তাতে ঢাকার কাঁটাবনের পোষা প্রাণীর বাজারে অনেকগুলো পশুপাখি নির্মম মৃত্যুর শিকার হলো। পোষা প্রাণীর মালিকেরা এই পুরো লকডাউনে তাঁদের দোকানপাট রুদ্ধ করে রেখেছিলেন। আলো–বাতাসহীন দমবন্ধ অন্ধকারে ৪০০ পাখি আর ডজনের পর ডজন কুকুর, বেড়াল, খরগোশ, গিনিপিগ তড়পাতে তড়পাতে মারা গেছে। এই মৃত্যুর কারণ স্রেফ অবহেলা। যাঁরা এসব পোষা প্রাণীদের বাজার বসিয়েছেন, তাদের মনে মায়া নেই? মায়া যদি নাও থাকে, আইনের প্রতি ন্যূনতম কোনো শ্রদ্ধা নেই? তাঁরা পোষা প্রাণীর কারবারে নেমেছেন, ‘প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯’–এ প্রাণীদের প্রতি যেসব সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা তাদের নেই? খবরটি শিরোনাম হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। লকডাউনে তারা প্রতিদিন সকালে–সন্ধ্যায় দু ঘণ্টা করে দোকানের শাটার খোলা রাখার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট? যে প্রাণীগুলো মর্মান্তিকভাবে মারা গেল, তার দায়ভার কেউ নেবে না? এখানে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ও দায়ী দোকান মালিকদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া দরকার। তবু শাস্তি তো আর শেষ কথা নয়। পোষা প্রাণীর বাজারে তাদের প্রতিপালনের জন্য আইনের সম্পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। না হলে এ বাজার তুলে দেওয়াই কর্তব্য। প্রাণ–প্রকৃতির প্রতি আমরা আর কবে সংবেদনশীল হব!’

বাংলাদেশ জার্নাল- ওআই

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/entertainment/167644/কাঁটাবনের-৪০০-প্রাণীর-মৃত্যুর-বিচার-দাবি-জয়ার