টিকা নিয়েছেন ১ কোটি আড়াই লাখ মানুষ

টিকা নিয়েছেন ১ কোটি আড়াই লাখ মানুষ

টিকা নিয়েছেন ১ কোটি আড়াই লাখ মানুষ

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু টিকা সঙ্কট দেখা দিলে গত ২৫ এপ্রিল সে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। টিকার মজুদ না থাকায় দুই মাস ৭ দিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় দেশের করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জন। এদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৮ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৬ জন। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৭৭৩ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেছে,  টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড নিয়েছেন ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৯  পুরুষ এবং ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৩৯ নারী। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৫ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৬ এবং নারী ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৯ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।

উপহার হিসেবে চীন থেকে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত সারাদেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৬ জন। এদের মধ্যে ৬২ হাজার ৩৫৮ জন পুরুষ এবং ৬১ হাজার ৩১৮ জন নারী রয়েছেন।  

সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

এছাড়া ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৭৭৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৮ ও নারী ২ হাজার ৭৩৫ জন। গত ২১ জুলাই এই টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এরপর গত ১ জুলাই থেকে ফাইজারের প্রথম ডোজ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ৭২৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৮৮ এবং নারী ২৩৫ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩৪ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৪২ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৮৬ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১১৫ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৬ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। 

খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৯২৫ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ২১৫ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৯৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।

চলতি বছরের  ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু টিকা সঙ্কট দেখা দিলে গত ২৫ এপ্রিল সে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ওই সময় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছিল। সম্প্রতি চীনের সিনোফার্ম এবং যুক্তরাজ্যের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা আসার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে আবারও গণটিকাদান শুরু হয়েছে। টিকার মজুদ না থাকায় মাঝখনে দুই মাস ৭দিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল- ওআই 

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/166329/টিকা-নিয়েছেন-১-কোটি-আড়াই-লাখ-মানুষ