আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ‘রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ’
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ‘রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ’
বাংলাদেশের দ্বিতীয় তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ। বুধবার পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের...
নিজস্ব প্রতিবেদকবাংলাদেশের দ্বিতীয় তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ। বুধবার পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
পয়েন্টারের তথ্য যাচাই কার্যক্রম পলিটিফ্যাক্ট ২০০৯ সালে সাংবাদিকতার নোবেল পুরষ্কার খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পায়। ফলে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য-যাচাই সাংবাদিকতায় একটি গ্রহণযোগ্য ধারা হয়ে উঠতে শুরু করে।
বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পয়েন্টারের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া আইএফসিএন চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে।
আইএফসিএন পাঁচটি মূল নীতির ভিত্তিতে কোনো তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।
এগুলো হলো:
• নিরপেক্ষতা এবং ন্যায্যতা
• তথ্যের উৎসের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা
• অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা
• যাচাইপদ্ধতির মান এবং স্বচ্ছতা
• উন্মুক্ত এবং সৎ সংশোধন নীতি
৫ টি মূল নীতি এবং ৩১ টি মানদণ্ড মেনে চলার প্রমাণ স্বাপেক্ষে ১০১ তম ভেরিফাইড সিগনেটরি হিসেবে তথ্য যাচাইয়ের বৈশ্বিক মানচিত্রে রিউমর স্ক্যানার এখন এপি, এএফপি এবং রয়টার্সের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে।
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিষ্ঠাতা সুমন আহমেদ জানান, ‘আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়, এমন একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন বেশ সুখকর। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য ছাড়া এই যাত্রাটা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তবে আমাদের টিম মেম্বারদের ডেডিকেশনের কারণে যাত্রাটা কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে।’
বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রথম ধাপ শুরু হয় গতবছরের মার্চ মাসের শুরুতে এবং সেইসাথে আমাদের যাত্রাও শুরু হয় একই সময়ে। করোনা মহামারির ফলে দেশে লকডাউন দেয়ার কারণে মানুষ ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে তাই অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রচারও ব্যাপকভাবে ছড়াতে থাকে।
প্রতিষ্ঠা পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই কোভিড-১৯ নিয়ে ছড়ানো প্রায় ২৫ টি গুজব শনাক্ত করেছিলাম আমরা। প্রতিষ্ঠানকাল থেকে এখন পর্যন্ত রিউমর স্ক্যানার টিম মোট ২০০টি গুজব শনাক্ত করেছে এবং আমাদের ফ্যাক্ট চেকিং কন্টেন্টগুলো ৮০ লক্ষ বারেরও বেশি ইন্টারনেটে দেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি আমাদের সার্বিক কার্যক্রমকে আগামীতে আরো বেগবান করবে।
রিউমর স্ক্যানার সহ দেশের অন্যান্য তথ্যযাচাইকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমেই গুজবমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/information-technology/168747/আন্তর্জাতিক-স্বীকৃতি-পেল-রিউমর-স্ক্যানার-বাংলাদেশ