নতুন ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা
নতুন ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া এবং কাশিয়ানীসহ ১০টি ইউনিয়নে গরম বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিদর্শন করেছে গোপালগঞ্জ ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের একটি দল।
বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: own-reporterগোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া এবং কাশিয়ানীসহ ১০টি ইউনিয়নে গরম বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিদর্শন করেছে গোপালগঞ্জ ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের একটি দল।
পরিদর্শন শেষে তারা বলছেন, লু হাওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আর লু হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে প্রয়োজনীয় পানি দিলে এবং পটাশ (প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ১০ লিটার পানিতে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম পটাশ মিশিয়ে) স্প্রে করলে নতুন ভাবে ফলন হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে চললে এ অপূরণীয় ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া এবং কাশিয়ানীসহ ১০টি ইউনিয়নে গরম বাতাস বয়ে যায়। এই গরম বাতাসে উঠতি বোরো ধানের শিষে ‘দুধ এর মতো পানি’ এসেছে, সেই ধান সব চিটায় পরিণত হয়ে সাদা রঙ ধারণ করেছে। ধানের শীষে হাত দিলে এতে কোনো ধানের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু চিটা আর চিটা। এতে জেলার শত শত কৃষকরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কী করে ধার-দেনার টাকা শোধ করবেন। সন্তানদের নিয়ে সারা বছর কী খাবেন! এসব ভেবে শুধু কাঁদছেন।
এই ঘটনার পরপরই কৃষি বিভাগ ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মাঠে নামে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার গোপালগঞ্জ ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের একটি দল টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘ভাঙ্গা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের একটি দল টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেছেন। তারা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ মেনে চললে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।’
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/বাসা/কেআই
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/155902/নতুন-ফলনের-সম্ভাবনা-দেখছেন-গবেষকরা