জুমার দিন গোনাহ মাফের বিশেষ আমল

জুমার দিন গোনাহ মাফের বিশেষ আমল

জুমার দিন গোনাহ মাফের বিশেষ আমল

জুমার দিন নামাজ আদায়কারীর জন্য বাড়তি কিছু কাজের কথাও বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা দিনটির এবং নামাজের গুরুত্ব মর্যাদা প্রকাশ করে।

ধর্ম ডেস্ক

শুক্রবার সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বার। সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)

মহান প্রভুর ইচ্ছায় সপ্তাহের এ দিনটিতে উম্মতে মুহাম্মাদি মসজিদে এসে একত্রিত হবে। সপ্তাহের জন্য নসিহত গ্রহণ করবে। দিনভর ইবাদত বন্দেগি করার মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করবে। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-

‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সুরা জুমা: আয়াত ৯)

এ দিনের ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের গুরুত্ব তুলে ধরতে হাদিসে একাধিক বর্ণনা ওঠে এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিনটিতে তার প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারেও উৎসাহিত করছেন।

পরপর তিন জুমা পরিত্যাগকারীর জন্য ঘোষণা করা হয়েছে দুঃসংবাদ। যদি কেউ এমনটি করে তবে তার অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। (নাউজুবিল্লাহ)

পক্ষান্তরে যদি কেউ জুমার নামাজ আদায় করেন তবে তার পেছনের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়। হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা দেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তারপর জুমায় (নামাজ পড়তে মসজিদে) আসে, মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনে এবং নিরব থাকে। তার তখন থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি (অহেতুক) কংকর স্পর্শ (শব্দ করে খুতবা শোনায় ক্ষতি) করল, সে অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম)

জুমার দিন ক্ষমা লাভের বিশেষ আমল

জুমার দিন নামাজ আদায়কারীর জন্য বাড়তি কিছু কাজের কথাও বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা দিনটির এবং নামাজের গুরুত্ব মর্যাদা প্রকাশ করে। হাদিসে এসেছে-

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন-

- গোসল করে;

- যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে;

- তারপর (শরীরে) তেল মেখে নেয় অথবা

- সুগন্ধি ব্যবহার করে;

- তারপর মসজিদে যায় এবং

-দুই জনের ফাঁক করে না (কাউকে অতিক্রম করে সামনে না যাওয়া)

- আর তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ (নফল) নামাজ আদায় করে।

- ইমাম যখন খুতবার জন্য মিম্বারে আরোহন করে তখন চুপ থাকে।

তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ)

সুতরাং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক অপূর্ব নিয়ামাত হলো জুমার দিন। এ দিনের প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। হাদিসে বর্ণিত বিশেষ কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা জরুরি।

বাংলাদেম জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/religion/155203/জুমার-দিন-গোনাহ-মাফের-বিশেষ-আমল