লঞ্চডুবি তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

লঞ্চডুবি তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

লঞ্চডুবি তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ নারীর লাশ ও ২০ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ নারীর লাশ ও ২০ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া লঞ্চ ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।

মুক্তারপুর নৌ স্টেশনের ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছিল লঞ্চটি। প্রতিদিনের মতো নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে রাবিতা আল হাসান লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। শীতলক্ষ্যা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ডুবে যাওয়ার সময় প্রচুর বাতাস ও বৈরি আবহাওয়া ছিল। এ সময় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা গেছে। নদীর পার থেকে লঞ্চটি ৬০ থেকে ৭০ গজের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নদীতে তিনটি ডাইনিং টিম অপারেশন করছে। রাতের বেলায় পানির ভেতর দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবুও ডুবুরি দল অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে। রাতের বেলা বলে একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশা করি না যে, খুব বেশি মরদেহ থাকবে। কারণ নদীর তীর থেকে স্পটটি কাছেই। অনেকেই সাঁতরে উপরে উঠেছেন। আমরা আরও বিস্তারিত তথ্য কিছু সময় পরে দিতে পারব।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/155521/লঞ্চডুবি-তদন্তে-৪-সদস্যের-কমিটি