৮২ রানে ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের

৮২ রানে ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের

৮২ রানে ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের

জার্নাল ডেস্ক

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩১৮ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেে একের পর এক আউট হয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। দলীয় ৮২ রানে ৭ উইকেটের পতন হয়েছে সফরকারীরাদের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান।

প্রথমেই ব্যর্থ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বড় দায়িত্ব ছিল তামিমের কাঁধে। তবে সে দায়িত্বের ভার নিতে পারলেন না তিনি। দলীয় ১০ রানের মাথায় হ্যানরি নিকোলসের বলে আউট হন ১ রান করে।

আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। আজ তার ব্যাটে রানের অপেক্ষায় ছিল গোটা দল। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না তিনি। তামিমের আউটের পর ক্রিজে এসে হ্যানরি নিকোলসকে উড়িতে মারতে গিয়ে বোল্ডের হাতে ধরা পরে ১ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য।

এরপরও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছিলেন লিটন দাস। ৩১৯ রান টপকাতে নেমে শুরুটা নেহায়েত মন্দ করেননি। তবে ভাগ্য সঙ্গ দিল না লিটন দাসকে। নিকোলসের ফুল লংথের বলটি পুল করতে গেছিলেন, তাতেই বিপত্তি বাধে। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে ২১ রানে থাকা লিটনকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ড।

ধৈর্য রাখতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৮ বল খেলে জেমিসনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৬ রানে নিজের উইকেট হারিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাকানো মিঠুন।

দলের ব্যটিং অর্ডারের আস্থার প্রতীক মুশফিক। তবে এদিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনি। ৪৪ বল খেলেও সেট হতে পারলেন না মুশফিক। নিশামের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ২১ রান করে। একই ওভারে নিজের উইকেটটি দিয়ে আসেন মুশফিকের পর ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। আউট হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

এরপরেই আরেক মেহেদি হাসান ৩ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান। 

এর আগে শুক্রবার ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রান তুলেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও হ্যানরি নিকোলস। ব্যক্তিগত ১৮ রানে তাসকিনের বলে আউট হোন নিকোলস। আর ২৬ রানে রুবেলের বলে ফিরেছেন গাপটিল। আর দুই ম্যাচ পর মাঠে ফেরা রস টেইলর সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৭ রানে। অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৮ রান।

ব্যাট হাতে প্রথমে কেউই সুবিধা করতে না পারলেও পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারেল মিচেলের গড়া ১৪৯ রানের জুটিতে রানের পাহাড় গড়তে থাকে স্বাগতিকরা। দুজনই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

১১০ বলে ১২৬ রানে কনওয়ে ফিরলেও মিচেল কেলে গেছেন শেষ পর্যন্ত। ৯২ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/sports/154355/৮২-রানে-৭-উইকেট-নেই-বাংলাদেশের