মিয়ানমারে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের সমালোচনায় বিশ্ব সম্প্রদায়

মিয়ানমারে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের সমালোচনায় বিশ্ব সম্প্রদায়

মিয়ানমারে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের সমালোচনায় বিশ্ব সম্প্রদায়

মিয়ানমারে শনিবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ১১৪ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় এক ডজন দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে শনিবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ১১৪ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে  যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় এক ডজন দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। বিবিসি,রয়টার্স। 

যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া এবং ইউরোপের সামরিক কর্মকর্তাদের রবিবার যৌথভাবে দেয়া এক বিরল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি পেশাদার সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই কাজকর্মে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে, ‘এবং তাদের দায়িত্ব দেশের মানুষকে রক্ষা করা, তাদের ক্ষতি করা নয়।’ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, বার্মার জান্তা সরকার দেখিয়েছে যে, তারা গুটিকয়েক ব্যক্তির জন্য মানুষের জীবন কেড়ে নেবে। কিন্তু বার্মার সাহসী মানুষ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদের রাজত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এর আগে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করছে। মিয়ানমারে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস ‘সন্ত্রাস ও অসম্মানের দিন’ হিসেবে খোদাই করা থাকবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিয়ানমারে শনিবারে প্রাণহানির ঘটনায় ‘আতঙ্কিত’ ওয়াশিংটন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস-ও শনিবার শতাধিক বিক্ষোভকারীর প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। শনিবার দেশটির সশস্ত্রবাহিনী দিবসে এই হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে নিরাপত্তাবাহিনী। দিনটিকে বিক্ষোভকারীরা দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর জন্য লজ্জা দিবস বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদিন নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এসব সমালোচনায় যোগ দেয়নি চীন বা রাশিয়া, এর মানে হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়াটা কঠিন হবে। কারণ পরিষদে তাদের ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।

ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও অন্যান্য শহরে সেনাবাহিনীর মাথায় ও পিঠে গুলির হুমকি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে জান্তাবিরোধীরা। মিয়ানমার নাউ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। 

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/154706/মিয়ানমারে-নির্বিচারে-হত্যাকাণ্ডের-সমালোচনায়-বিশ্ব-সম্প্রদায়