পল্লীকবি জসীমউদদীন এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

পল্লীকবি জসীমউদদীন এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

পল্লীকবি জসীমউদদীন এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীমউদদীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

রোববার দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

সকাল ৮টায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নেতৃত্বে শহরের গোবিন্দপুরে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জসীম ফাউন্ডেশন, পুলিশ সুপার, আনসার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল সোয়া ৮ টায় কবির বাড়ির আঙ্গিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল এর পরিচালনায় সভায় আরো ছিলেন- ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তসলিমা আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা, প্রফেসর এম এ সামাদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ আলী, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান, জেলা মহিলা লীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী বারী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পল্লীকবি জসীমউদদীন বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য তার সাহিত্য ও কবিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন। গ্রাম-বাংলার সেই রূপ সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লীকবি জসীমউদদীনকে, পড়তে হবে তাঁর কবিতা ও গ্রন্থাবলী। যিনি গাছের পাঁশে, নদীর পাড়ে মাটিতে বসে মাটির সাথে মিশে গিয়ে কবিতা, গল্প লিখতেন। পল্লীকবিকে স্মরণ রাখতে কবিকে নিয়ে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক আরও জানান, আগামী মে মাসে ঈদের পর জসীম পল্লী মেলা আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মেলার আয়োজন করা হবে। তবে এবারের মেলাটি ভিন্ন ভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মেলাটি যেন পল্লীকবি জসীমউদদীনকে স্মরণ করিয়ে দেয় সে জন্য মেলা চলাকালীন নিয়মিত কবির জীবনী নিয়ে আলোচনা, কবির রচয়িতা বিভিন্ন গান, কবিতা, গল্প ইত্যাদি উপস্থাপন এর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া এই জনপদে আরও যে সকল কবি, লেখক বা সাহিত্যিক রয়েছে তাদের নিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চিন্তা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম নেন পল্লীকবি জসীমউদদীন। কবির পিতার নাম আনছারউদ্দীন, মাতার নাম আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এমএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। তিন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/152986/পল্লীকবি-জসীমউদদীন-এর-৪৫তম-মৃত্যুবার্ষিকী-পালিত