বিমান ভ্রমণে টিকা বাধ্যতামূলক করার চাপ

বিমান ভ্রমণে টিকা বাধ্যতামূলক করার চাপ

বিমান ভ্রমণে টিকা বাধ্যতামূলক করার চাপ

আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণে যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারগুলোর কাছ থেকে চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংস্থা কোয়ান্টাসের প্রধান।

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণে যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারগুলোর কাছ থেকে চাপ আসছে বলে  জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংস্থা কোয়ান্টাসের প্রধান। বিবিসি।

কোয়ান্টাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস বিবিসিকে বলেছেন একে একে অনেক দেশের সরকার এখন বলতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া না থাকলে অন্যদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ঢোকার অনুমতি মিলবে না।

জয়েস বলেন, সরকারি নির্দেশ না এলেও বিমান সংস্থাগুলোর উচিৎ স্ব-উদ্যোগে এই শর্ত আরোপ করা। ‘যাত্রী এবং ক্রুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। বিমানের ভেতর সবাইকে নিরাপত্তা দিতে হবে।’ তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে টিকেট বুক করার শর্ত বদলাতে হবে।  জয়েস মনে করেন যাত্রীরাও নতুন এই শর্ত মেনে নেবে। ‘আমাদের সিংহভাগ যাত্রীই মনে করেন টিকা বাধ্যতামূলক করা যথার্থ একটি পরিকল্পনা।’

তিনি জানান, কোয়ান্টাসের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৯০ শতাংশ যাত্রীই মনে করে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। অর্থাৎ টিকা নেয়া না থাকলে বিমানে ভ্রমণ করা যাবেনা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ অনেকেই বিমান যাত্রায় কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করার বিপক্ষে।

ডব্লিউএইচও‘র একজন পরিচালক বার্নার্ডো মারিনো বিবিসিকে বলেন, ‘বিমান যাত্রায় ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা আমরা অনুমোদন করছি না।’ তিনি বলেন বেসরকারি খাত চাইলেও এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে সবগুলো দেশের সরকারকে অভিন্ন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিমান পরিবহণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সমিতির (আইএটিএ) হিসাব মতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিমান পরিবহন খাতের অবদান ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।

কিন্তু করোনাভাইরাস সামলাতে বিশ্বজুড়ে নানা বিধিনিষেধের কারণে গত বছর যাত্রীসংখ্যা নজিরবিহীনভাবে কমে যায়। ২০১৯ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৫০ কোটি যে সংখ্যা গত ৭৬ শতাংশ কমে যায়। জয়েস মনে করেন টিকা কর্মসূচি চললেও যাতায়াত বাড়লে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়বে। ‘মানুষকেও সে কারণে বুঝতে হবে যে এই ভাইরাস থেকে একশ ভাগ নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়।’

কোয়ান্টাস তাদের আন্তর্জাতিক রুট পুনরায় শুরুর দিনক্ষণ জুলাই থেকে পিছিয়ে অক্টোবরের নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার মনে করছে ঐ সময়ের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের টিকা দেওয়া শেষ করা যাবে। জয়েস বলেন মহামারীর পর লং-হল ফ্লাইটের অর্থাৎ দূর পাল্লার বিরতিহীন ফ্লাইটের চাহিদা বাড়বে, কারণ যাত্রীরা এখন মাঝপথে অন্য কোনো বিমানবন্দরের ভিড় এড়াতে চাইবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/153866/বিমান-ভ্রমণে--টিকা-বাধ্যতামূলক-করার-চাপ