রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে দুই শিশুসহ নিহত ৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে দুই শিশুসহ নিহত ৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে দুই শিশুসহ নিহত ৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উখিয়া অংশে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন শিশুসহ আটজনের নিহতের খবর আসলেও এখন মৃতদেহগুলো দেখিনি।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনায় প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা বসতি ও শতাধিক স্থানীয়দের ঘর পুড়ে গেছে।

 

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দমকল বাহিনীর উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আগুন রাতে নিয়ন্ত্রণে এলেও পোড়া ধ্বংস্তুপের কোথাও কোথাও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপ সরাতে কাজ করছেন।

‘আমরা এ পর্যন্ত সাতজন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে এপিবিএনকে হস্তান্তর করেছি। তাদের মধ্যে দুটি শিশু, দুজন নারী এবং বাকি তিজন পুরুষ’ বলেন তিনি।

 

ক্যাম্পে আগুন লাগার পর পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয় বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে।

সেখানে দায়িত্বরত ব্র্যাকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রঞ্জু  মিয়া জানান, সোমবার বিকেলে থেকে দুই সহস্রাধিক আহত মানুষকে তারা চিকিৎসা দিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানান।

তিনি বলেন, ক্যাম্পের বসত ঘরগুলো ঝুপড়ির মতো লাগোয়া হওয়ায় এবং সে সময় বাতাসের গতি বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন লাগার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীসহ স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।

ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টার পর রাত সোয়া ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান কক্সবাজারের ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি আতিকুর রহমান। তবে ক্যাম্পের কোনো কোনো অংশ সারারাতই ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

কক্সবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, পাশাপাশি চারটি ক্যাম্পের মধ্যে ৮ নম্বর ক্যাম্প পুরোপুরি পুড়ে গেছে। বাকি তিনটি ক্যাম্পেরও বেশিরভাগ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তা নিরূপন করবে তদন্ত কমিটি।

ওই চার ক্যাম্পের ঘর হারানো বাসিন্দাদের খাবার ও আশ্রয়ের জন্য ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় কাজ করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুড়ল সাড়ে ৯ হাজার ঘর

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/153983/রোহিঙ্গা-ক্যাম্পে-আগুনে-দুই-শিশুসহ-নিহত-৭