এবার নিহত আলাউদ্দিনকে আসামি করে মামলা

এবার নিহত আলাউদ্দিনকে আসামি করে মামলা

এবার নিহত আলাউদ্দিনকে আসামি করে মামলা

বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন (৪০) নিহত হয়।

বাংলাদেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিনকে ৩৬ নম্বর আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে কাদের মির্জার সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন পিটন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে ১০৫ জন সন্ত্রাসী মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা কামাল পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে জখম করে। এ সময় মামলার ৩১-৫৫ নম্বর আসামিরা (৩২ নম্বর এমদাদ হোসেন ও ৩৬ নম্বর মৃত আলাউদ্দিন) গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে ভীতি সৃষ্টি করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জার অনুসারী সালাউদ্দিন পিটন কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। সোমবার পিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী ও নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন (৪০) নিহত হয়।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়। পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/153113/এবার-নিহত-আলাউদ্দিনকে-আসামি-করে-মামলা