অ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার লাশ রেখে পালালো প্রেমিক

অ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার লাশ রেখে পালালো প্রেমিক

অ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার লাশ রেখে পালালো প্রেমিক

এক যুবক সদর হাসপাতালের গেইট থেকে লাশটি গাড়িতে তুলে বাইশারির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছলে পানি কেনার নাম করে ওই যুবক পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরের জইল্যার দোকান এলাকা থেকে একটি লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহত তরুণীর নাম ফরিদা বেগম। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দক্ষিণ বাইশারী এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে।

গত শনিবার রাতে লাশটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয় হাসপাতালের কয়েকজন ওয়ার্ড বয়। অ্যাম্বুলেন্সটির চালক জানান, এক যুবক সদর হাসপাতালের গেইট থেকে লাশটি গাড়িতে তুলে বাইশারির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছলে পানি কেনার নাম করে ওই যুবক পালিয়ে যায়।

তবে নিহত ফরিদার মোবাইল ফোন ফেলে যায় ওই যুবক। ওই ফোন থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে চালক নিহতের বাড়িতে খবর জানায়। এর দুই দিন পরে নিহতের স্বজন এসে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় কক্সবাজার শহরের জইল্যার দোকান এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর বিদেশে পাড়ি জমান ফরিদা বেগম। সেখানে তিন বছর থাকার পর দেশে ফিরে পরিচয় হয় বাইশারী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নোমানের সঙ্গে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর পরিবারের অজান্তে গেল ১৩ মার্চ নোমানের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে আসে ফরিদা। কিন্তু সোমবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স চালকের মাধ্যমে ফরিদার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তারা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক-তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আমরা মামলা নেব।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/153105/অ্যাম্বুলেন্সে-প্রেমিকার-লাশ-রেখে-পালালো-প্রেমিক