জালিয়াতির দায়ে ঢাবি'র বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের দাবি

জালিয়াতির দায়ে ঢাবি'র বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের দাবি

জালিয়াতির দায়ে ঢাবি'র বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের দাবি

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ঢাবি প্রতিনিধি

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসার পরেও তাদের পরিচয় প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

এদিকে এরই মধ্যে নাম প্রকাশে প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। সোমবার প্রক্টর অফিসে গিয়ে তিনি বহিষ্কৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করার জন্য লিখিত আল্টিমেটামের মাধ্যমে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে গত ১৪ জানুয়ারি  ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়। সে সময় প্রক্টর সাংবাদিকদের বলেছিলেন বহিষ্কারাদেশ সিন্ডিকেটে চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের পর তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরও বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। বহিষ্কৃতদের পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে উপাচার্য ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করলেও প্রক্টরের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাকসুর সদস্য সৈকত প্রক্টর বরাবর লিখিত আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‌‘গত ৩০ জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি জালিয়াতির কারণে ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে। বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশে উপাচার্য প্রক্টরকে বলার পরেও তিনি বহিষ্কৃতের নাম প্রকাশ না করে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তাতে শিক্ষার্থীরা তাকে ধিক্কার জানিয়েছে। কোনোভাবেই প্রক্টরের মতো দ্বায়িত্বশীল জায়গায় দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এই ধরনের প্রতারণা কাম্য নয়। যার দায়ভার সম্পূর্ণ প্রক্টরের।

নাম প্রকাশ করা না হলে প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোরে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রক্টরের ভূমিকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে এবং শিক্ষাথীরা সরিষার ভেতরে ভূত দেখতে পাচ্ছে। বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ না করা ইতিমধ্যেই জালিয়াতদের রক্ষার কৌশল হিসেবে শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে। শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এই জালিয়াতির সাথে প্রক্টর কোনও ভাবে সম্পৃক্ত কিনা? আগামী ৫ দিনের মধ্যে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ করার মাধ্যমে সকল প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে আরেকটি সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। অন্যথায়, প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলাতে বাধ্য হবে।’

ডাকসু নেতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এগুলো কোন অভিযোগ নয়, এগুলো কোন শিক্ষার্থীর কাজ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ, এগুলো প্রশাসনিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় এগুলোতে সব তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে  বাংলাদেশ জার্নালকে প্রক্টর বলেন, ‘এগুলো অন্য একটি শাখা থেকে করা হচ্ছে তো। তবে আমার কথা হয়েছে আজকেই খুব দ্রুত দিয়ে দেওয়ার জন্য, যত দ্রুত সম্ভব।’

তবে এই তালিকা সাংবাদিকদের কাছে ঠিক কখন প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/education/106180/জালিয়াতির-দায়ে-ঢাবির-বহিষ্কৃতদের-নাম-প্রকাশের-দাবি