আটকে গেলো নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি

আটকে গেলো নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি

আটকে গেলো নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি

দিল্লিতে মেডিকেল শিক্ষার্থী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ফাঁসি কার্যকরের কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে এক আসামির প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে আটকে গেলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসি কার্যকর।

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দিল্লিতে মেডিকেল শিক্ষার্থী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ফাঁসি কার্যকরের কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে এক আসামির প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে আটকে গেলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসি কার্যকর।

আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ ফাঁসি হচ্ছে না নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের। পরবর্তী নির্দেশ না জারি করা পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত থাকবে বলে রায় দেন দিল্লির পাটিয়ালা কোর্টের বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা রায়।

এ রায় শুনে নির্ভয়ার বাবা-মা ভেঙে পড়েন। তাদের দাবি, দণ্ডিত আসামিদের আইনজীবীর চালেই ফাঁসি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় বা দিল্লি সরকার এতে কিছুই করছে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল টুইটে লিখেন, খুবই দুঃখের যে, আইনের ফাঁক খুঁজে সাজাপ্রাপ্তরা এভাবে ফাঁসি এড়িয়ে যাচ্ছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগের দিন শুক্রবার প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণ বাতিল করা হয়েছে। দিল্লির আদালত শুক্রবার এ আদেশ দিয়েছেন। এখন আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিং ও পবন গুপ্ত। তাদের মধ্যে পবন গুপ্তা দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ওই অপরাধ করার সময় সে নাবালক ছিলেন। তবে সর্বশেষ অভিযুক্ত বিনয় শর্মা প্রাণভিক্ষা আর্জির কারণেই শুক্রবার ফাঁসির হাত থেকে আপাতত বেঁচে গেছেন অভিযুক্তরা।

শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন পিটিশন ফাইল দাখিল করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেন। এর পর পরই বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতি বরাবর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানান।

এদিকে ভারতের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেও আবেদন খারিজের ১৪ দিনের আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে ফেরার সময় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই প্যারামেডিকেল ছাত্রী। ছয় পাষণ্ড ধর্ষণের আগে তার বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তাদের দু’জনকেই চলন্ত বাস থেকে ফেলা দেয়। প্রায় ২ সপ্তাহ পর ২৮ ডিসেম্বর মারাত্মক আহত ওই ছাত্রী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজ়াবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় ভারতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/105755/আটকে-গেলো-নির্ভয়ার-ধর্ষকদের-ফাঁসি