আবরারের খুনি ইফতির মায়ের আর্তনাদ
আবরারের খুনি ইফতির মায়ের আর্তনাদ
জার্নাল ডেস্কবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত (৫ নম্বর আসামি) ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা ফকির মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।
শনিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে ছেলে ইফতির শুনানির দিন ছিল। ওইদিন ছেলের শুনানিতে মোশাররফ হোসেন ঢাকায় গিয়েছিলেন।
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই ছেলের জন্য দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তিনি। শনিবার রাতে হঠাৎ করে স্ট্রোক করেন। প্রথমে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মোশাররফ।
রোববার বিকেল ৫টা ১০মিনিটের দিকে পৌর ১নং ওয়ার্ডের ২৮ কলনি পৌর কবরস্থানের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পড়ে ওই কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ সময় ফকির মোশাররফ হোসেনের পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানাজায় অংশ নেন। ফকির মোশাররফ হোসেন রাজবাড়ী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ধুনচি গ্রামের আটাশ কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
বাবার মৃত্যুর সংবাদ আবরাব হত্যাকারী সকাল জানে কীনা জানতে চাইলে কেউ কিছু জানাননি।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী স্বামীর মৃত্যুতে পাগল প্রায় তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম।
শনিবার দুপুরে ইফতিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামীর জন্য বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘ছেলে জেলে, স্বামীও চলে গেল। এখন আমি ছোট্ট (ছেলে) স্বপ্নীলকে নিয়ে কিভাবে বাঁচব, স্বপ্নীল যে এতিম হয়ে গেল। ও কীভাবে মানুষ হবে?’
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। এর জেরে পর দিন রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।
নৃশংস এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত এই ২৫ আসামিসহ মোট ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/106041/আবরারের-খুনি-ইফতির-মায়ের-আর্তনাদ