ভোটের অপেক্ষায় ঢাকা

ভোটের অপেক্ষায় ঢাকা

ভোটের অপেক্ষায় ঢাকা

প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) একযোগে ভোট হতে যাচ্ছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি আর আয়োজন সবই শেষ ইতোমধ্যেই। ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এখন কঠোর নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসবের আমেজে সকালের ভোটের অপেক্ষায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ভোটাররা। সকাল ৮টা থেকে ইভিএম'র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ

জার্নাল ডেস্ক

প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) একযোগে ভোট হতে যাচ্ছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি আর আয়োজন সবই শেষ ইতোমধ্যেই। ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এখন কঠোর নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসবের আমেজে সকালের ভোটের অপেক্ষায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ভোটাররা। সকাল ৮টা থেকে ইভিএম'র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।   নির্বাচনে এবার বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ ৯ টি দলের ১৩ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ৭ শ প্রার্থী রয়েছে ভোটের মাঠে।   ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন অর্থাৎ তিন পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩৪ জন।

ঢাকা দক্ষিণে (ডিএসসিসি) মেয়র পদে সাতজন, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮২ জন অর্থাৎ ৪২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।

ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির তাবিথ আউয়াল, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ডা. আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক রুবেল।    অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির (জাপা)  মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন, ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, এনপিপির বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।

ইসি সূত্র জানায়, এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ এবং নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তরে মোট ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৩১৮। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ এবং নারী ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৫০।

ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ভোটের প্রচারণা। ভোটের ফলাফল গেজেটে আকারে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রকার মিছিল, মশাল মিছিল, মোটরসাইকেল মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। বাইক বন্ধ থাকবে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর সব যন্ত্রযান বন্ধ থাকবে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত। তবে অনুমতি সাপেক্ষে কিছু যানবাহন চলতে পারবে। জরুরি বাহন এর আওতামুক্ত থাকবে। সদরঘাটে নৌ চলাচলও শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।

দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তরে ৫৪ জন ও ঢাকা দক্ষিণে ৭৫ জন নির্বাহী। তারা ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।

পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার থাকবে ভোটের নিরাপত্তায়। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে ৫০ হাজারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/105753/ভোটের-অপেক্ষায়-ঢাকা