লন্ডনে পুলিশের গুলিতে নিহত তরুণ একজন সন্ত্রাসী
লন্ডনে পুলিশের গুলিতে নিহত তরুণ একজন সন্ত্রাসী
নিহত আম্মান তার বান্ধীর বাবা-মাকে গলা কেটে হত্যার জন্য মেয়েটিকে প্রভাবিত করারও চেষ্টা করছিলো
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের দক্ষিণ অংশে পুলিশের গুলিতে এক ছুরি হামলাকারী এক তরুণ নিহত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম সুদেশ আম্মান। তাকে সন্ত্রাসী হিসাবে উল্লেখ করেছে লন্ডন পুলিশ। তাদের দাবি, ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় দু বছর আগে তার জেল হয়েছিলো। তাদের আরো অভিযোগ, নিহত আম্মান তার বান্ধীর বাবা-মাকে গলা কেটে হত্যার জন্য মেয়েটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলো।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানায়, রোববার সকালে লন্ডনের স্ট্রিথাম মহাসড়কে ওই তরুণ ছুরি নিয়ে দুই ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আম্মান।
পুলিশ বলছে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে থাকতেই আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেস্টের মতো জঙ্গিগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় আম্মান। তখন সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদির ছবি পোস্ট করেছিলে। গত বছরের অক্টোবরে সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় নিহত হন বাগদাদি। তারপরও আম্মান তার ভাইকে দেয়া এক বার্তায় বলেছিলো আইএসের ধ্বংস নেই।
পরে ২০১৮ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের কাগজপত্র রাখা এবং সেগুলো প্রচার করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয় আম্মান। এ ঘটনায় তখন তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এর আগে থেকেই তার তৎপরতার ওপর নজর রাখছিলো লন্ডন পুলিশ। কেননা বিভিন্ন সময়ে সে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে অনলাইনে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়দার ম্যাগাজিন শেয়ার করেছিল। এছাড়া স্কুলেও
রোববার পুলিশের নিহত হওয়ার পর তার মোবাইল ঘেঁটে দেখতে পায়, আম্মান তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং গার্লফ্রেন্ডের কাছে পঠানো বিভিন্ন বার্তায় তার চরম দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলো। এছাড়া কিছু বার্তায় তার ছুরি হামলা চালানোরও তীব্র ইচ্ছার প্রকাশ রয়েছে।
এমএ/
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/106037/লন্ডনে-পুলিশের-গুলিতে-নিহত-তরুণ-একজন-সন্ত্রাসী